- বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশন করবেন না।
-কেন ? :O
- এতে করে আপনার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করলে আমাদের ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট বেসরকারী মোবাইল ফোন কোম্পানী এবং বিদেশীদের হাতে চলে যাবে।
- ও আল্লাহ, তাহলে তো করাই যাবে না, ভাই একটা প্রশ্ন?
- কি?
- আপনি যে এতদিন সিম রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তখন হাতে লিখে যে ফর্মটা ফিল আপ করেছেন, তখন যে বৃদ্ধ আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছিলেন খেয়াল পড়ে ?
- হ্যা, তো ?
- তো তখন যদি অফলাইনে দিতে পারেন তো এখন অনলাইনে দিতে সমস্যা কোথায় ?
- ওয়েল, যেখানে ডেটাবেজটা স্টোর হচ্ছে সেই ওয়েবসাইটটা যদি হ্যাক হয়? তখন ?
- ভাই, আপনার ভোটার আইডি কার্ডেও তো ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছিলেন, তো সেটা যে সাইটে স্টোরড আছে সেটা কি হ্যাক হয়েছে শুনেছেন নাকি কখনও এমন কোন আভাস পেয়েছেন ?
- (আমতা আমতা)
- আচ্ছা ভাই বাদ দেন, আপনার যে বিক্যাশ একাউন্ট আছে ওটাতে যে পিন ইউজ করেন সেটা তো তাহলে কোন না কোন মোবাইল অপারেটরের কাছে স্টোর আছে ? কখনও কি শুনেছেন এভাবে বিক্যাশ ক্রাইম হয়েছে ? মানে কারও পিন চুরি হয়েছে ?
- না মানে, ইয়ে হল গিয়ে............
.....................
.................................
এটা গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) চ্যানেল আইয়ে বিবিসি প্রবাহ অনুষ্ঠানে বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী ও একজন সাংবাদিক (নামটা মনে পড়ছে না) বলেছেন, তা জাষ্ট ফানি আকারে লিখা।
১। একচুয়ালি ব্যাপারটা হচ্ছে, জাতীয় পরিচয় পত্রে (NID) আপনি যে আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছিলেন সেই ছাপের সাথেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আপনার দেওয়া আঙুলের ছাপ কেবল মাত্র মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আর জাতীয় পরিচয় পত্রে দেওয়া আপনার সেই আঙুলের ছাপটি মিললেই সবুজ কালির টিক চিহ্ন দিয়ে সিমটি নিবন্ধন সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং আপনার নামে সিমটি নিবন্ধিত হয়ে যাচ্ছে।
২। ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট আপনার ব্যাক্তিগত সম্পদ, সো আপনি চাইলে দিবেন, না চাইলে দিবেন না, প্রযুক্তি বুঝলে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করবেন, না বুঝলে করবেন না, বাট আরেকজনকে ডিসকারেজও করবেন না, এতে আপনার অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছু প্রকাশ পায় না।