১. ছেলে পরীক্ষাতে ফেল করেছে...
বাবাঃ " তুমি আমাকে আর বাবা বলে ডাকবে না..."
ছেলেঃ " আরে বাবা তুমি এত সিরিয়াস কেন?? এটা তো শুধু একটা স্কুলের পরীক্ষা... DNA Test তো আর না।।
২. আব্দুল মামা হসপিটালের বেডে, মামীকে বলল “তুমি খুব সুন্দর দেখতে।” একটু পরে বলল “তুমি দেখতে মোটামুটি।” এর কিছুক্ষন পর বলল “তুমি দেখতে আর এমন কি?”
মামী ঘাবড়ে গিয়ে ডাক্তারকে বলল “ও এমন করছে কেন?”
ডাক্তার বলল “ভয় পাবেন না, ওনার একটু একটু করে জ্ঞান ফিরছে।"
৩. এক গ্রামের মাতবরের বাড়িতে ডাকাত পড়লো... ডাকাতি করতে বাধা দেয়ায় ডাকাতরা মাতবরকে বাড়ির গোয়াল ঘরে উলংগ করে দড়ি দিয়ে বেধে রেখে দিলো। গোয়ালে ছিল একটি গরু ও বাছুর। সকালে যখন প্রতিবেশিরা এসে মাতবরের বাধন খুলে উদ্ধার করলো তখন মাতবর ছাড়া পেয়েই কোথায় সে গায়ে কাপড় দিবে তা না করে একটা লাঠি যোগাড় করে বাছুরটা কে সপাটে পেটাতে লাগলো আর বলতে থাকলো...
"হা--মজাদা... কতবার করে করে বললাম যে আমি তোর মা না... তুই শুনলিই না"
৪. গ্রামে চাচার খামারে বেড়াতে গেছে ছোট্ট বাবু। কয়েকজন অতিথির সাথে চাচা গল্প করছে, এমন সময় সে ছুটতে ছুটতে এলো।
‘চাচা, চাচা, জলদি দেখে যাও! তোমার ষাঁড় একটা গরুকে লাগাচ্ছে!’
বিড়ম্বিত চাচা অতিথিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ছোট্ট বাবুকে কানে ধরে বাইরে নিয়ে এলেন। ‘শোন, এখন থেকে বলবে, “ষাঁড়টা গরুটাকে চমকে দিয়েছে”, বুঝলে? '
পরদিন আরো কয়েকজন অতিথির উপস্থিতিতে ছোট্ট বাবু ছুটতে ছুটতে এলো। ‘চাচা, চাচা, জলদি দেখে যাও! তোমার ষাঁড় গরুগুলোকে চমকে দিয়েছে!’
অতিথিরা সমঝদারের মতো মুচকি হাসলেন। চাচা বললেন, ‘ঠিক আছে, ছোট্ট বাবু। কিন্তু তুমি নিশ্চয়ই বলতে চাইছো যে ষাঁড়টা একটা গরুকে চমকে দিয়েছে, গরুগুলোকে নয়?’
ছোট্ট বাবু বললো, ‘না, সব গরুকেই ব্যাটা চমকে দিয়েছে, কারণ সে এখন মাদী ঘোড়াটাকে লাগাচ্ছে!’
৫. একজন স্ট্রীট ম্যাজিশিয়ান ম্যাজিক দেখাচ্ছেন কোন এক আবাসিক এলাকার এক রাস্তার উপরে। সবাই সাগ্রহে তাকে ঘিরে আছে। মূল আকর্ষণ হচ্ছে নাকি তার ম্যাজিক স্পেল আউড়ানোর সাথে সাথে কোথাও নাকি কিছু দাঁড়িয়ে যাবে আর সবাই মিলে যদি ফুঁ দেয় তবে তা বসে পড়বে।
প্রথম বারঃ হ্রিঙ্গা ত্রিঙ্গা ছট্টে... সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাচ্চাটির পকেট থেকে পেন্সিলটি উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। সবাই মিলে একযোগে ফুঁ... বসে পড়লো পেন্সিলটি তা
র জায়গায়।
দ্বিতীয় বারঃ ম্যাজিশিয়ানের মন্ত্র... মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ভদ্রমহিলার মাথা থেকে তার হেয়ার পিনটি উঠে দাঁড়ালো। সবাই আবারও ফুঁ... বসে পড়লো হেয়ার পিন।
শেষ বারঃ মন্ত্র পড়া শেষ... সবাই ফুঁ দেবার অপেক্ষায়... কিন্তু কেউ বুঝতে পারছে না কোথায় কি দাঁড়ালো!
আকস্মিক ভাবেই পাশের এক বাড়ীর দরজা খুলে একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ বেরিয়ে এসে হাঁক ছাড়লেন, "এই পাজির দল, নচ্ছারগুলো, খবর্দার বলে দিচ্ছি, কেউ কিন্তু ফুঁ দিবি না হতচ্ছাড়ারা...!!"
৭. একদিন চান্দু আমেরিকাতে গেছে…
সেইখানে সকালে ব্রেড জ্যাম জেলি নিয়া মনের সুখে খাচ্ছে, তখন সেখানে এক আমেরিকান চুইংগাম চাবাইতে চাবাইতে তার কাছে এসে আজাইরা আলাপ শুরু করলো-
আমেরিকানঃ তোমরা বাঙ্গালীরা পুরা ব্রেড খাও?
চান্দুঃ অবশ্যই!
আমেরিকানঃ চুইংগাম চাবাইতে চাবাইতে আর ফুলাইতে ফুলাইতে বলতে থাকলো “আমরা শুধু ভিতরেরটা খাই আর বাইরেরটা প্রসেসিং করে কনটেইনারে ভরে বাংলাদেশে বেচে দেই!
… …
আমেরিকানঃ তোমরা কি ব্রেডের সাথে জ্যাম খাও?
চান্দুঃ অবশ্যই!
আমেরিকানঃ আবার চুইংগাম চাবাইতে চাবাইতে বলল আমরা খাইনা, কারন আমরা ব্রেকফাস্টে ফল খাই আর ওইগুলার ছোকলা আর ঝুটাগুলা দিয়ে জ্যাম বানাইয়া বাংলাদেশে পাঠাইয়া দেই!
এই বার চান্দু বললঃ তোমরা কি আমেরিকাতে সে** কর?
আমেরিকানঃ অবশ্যই করি!
চান্দুঃ তাইলে কন** ইউজ করলে ওইটা কি করো?
আমেরিকানঃ ফেলে দেই!
চান্দুঃ আমরা ফালাইনা! ওইগুলা দিয়া চুইংগাম বানাইয়া আমেরিকাতে বিক্রি করি…
৮. সি. আই. এ অফিসে নতুন এজেন্ট দরকার। প্রার্থী দুইজন পুরুষ, একজন মহিলা।
এদের নার্ভ কেমন শক্ত তা পরীক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রত্যেককে একটি করে পিস্তল দিল। এদের কাজ হবে পাশের রুমে এদের একজন প্রিয় মানুষ আছে। তাকে গুলি করতে হবে। তবে এদের জানানো হয়নি পিস্তলে আসলে কোন গুলি নেই।
প্রথম প্রাথী রুমে প্রবেশ করে দেখল একটি চেয়ারে হাত মুখ বাধা অবস্থায় তার স্ত্রী। প্রিয় জনকে দেখে তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে
। গুলি করার বদলে ছুটে গিয়ে সে তার স্ত্রীকে মুক্ত করল । ফলে এই পরীক্ষায় সে ফেল মারল।
দ্বিতীয় প্রার্থীর বেলায়ও একই ব্যাপার ঘটল।
তৃতীয় মহিলা প্রার্থী ভেতরে প্রবেশ করে তার স্বামীকে হাত বাধা অবস্থায় পেল। অনেকক্ষণ পর সেই মেয়ে হাপাতে হাপাতে বেরিয়ে আসল। রেগে মেগে বলতে লাগল আপনারা কি পিস্তল দিয়েছেন গুলিই বের হয় না। শেষ পর্যন্ত পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে আমার স্বামীকে মারতে হয়েছে।
৯. আমেরিকায় তখন ভয়ানক মন্দা চলছে। একদিন এক বারে এক লোক ঢুকে বারটেন্ডারকে বললো, 'আজকে এই বারের সবাইকে আমার তরফ থেকে এক পেগ।'
বারটেন্ডার বললো, 'তা ঠিক আছে। কিন্তু এই মন্দার সময় তোমার কাছে এতো টাকা আছে তো...?'
লোকটি একতাড়া ডলার বের করে দেখালো। বারটেন্ডার অবাক হয়ে গেলো, 'তুমি এতো টাকা কোথায় পেলে?'
লোকটি উত্তর দিলো, 'বাজি ধরা আমার পেশা।'
বারটেন্ডার বললো, ' কিন্তু বাজি মানেই তো ৫০:৫০ চান্স। তাহলে?'
লোকটি
বললো, 'ঠিক আছে, চলো ৫০ ডলার বাজি ধরি, আমি আমার ডান চোখে কামড় দিবো।'
বারটেন্ডার রাজি হলো। বাজিকর তখন তার নকল ডান চোখ খুলো কামড়ে দিলো।
বারটেন্ডার বাজিতে হেরে ৫০ ডলার দিয়ে দিলো।
বাজিকর বললো, 'হেরে তোমার মন খুব খারাপ হয়েছে বুঝতে পারছি। চলো তোমাকে আরেকটা চান্স দেই টাকা ফেরত নেবার। এসো বাজি ধরি, আমি আমার বাম চোখে কামড় দিবো।'
বারটেন্ডার খুশি হয়ে উঠলো, 'তোমার ডান চোখ নকল, আবার বারে তুমি দেখে দেখেই ঢুকেছো, তোমার বাম চোখটা তাহলে নকল না। আমি বাজিতে রাজি।'
বাজিকর তখন তার নকল দাঁত খোলে বাম চোখে কামড় দিলো।
'ধুত' - বারটেন্ডার বিরক্ত হয়ে বললো।
'দেখলে, এভাবেই আমি আমার বাজিগুলো জিতি। এবারের ৫০ ডলার আমি তোমার কাছ থেকে নিলাম না। তার বদলে এক বোতল হুইস্কি দাও।'
এক বোতল হুইস্কি নিয়ে বাজিকর চলে গেলো জুয়ার রুমে। প্রায় সারারাত ধরে সে জুয়া খেললো আর হুইস্কির বোতলটা প্রায় খালি করে ফেললো। ভোরের দিকে সে বারটেন্ডারের কাছে এগিয়ে এলো। সে নেশার কারণে ঠিকমতো পা ফেলতে পারছিলো না।
কোনমতে বারের উপর ভর রেখে বাজিকর জড়ানো কণ্ঠে বললো, 'আমি তোমার সাথে শেষ বাজি ধরতে এসেছি। আমি তোমার এই টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে তোমার পেছনের একটা খালি হুইস্কির বোতলে প্রস্রাব করে দেখাবো। বাজি ১,০০০ ডলার।'
বারটেন্ডার বাজিকরকে সারারাতই হুইস্কি খেতে দেখেছে। সে নিশ্চিত সে কোনভাবেই এই বাজিতে জিততে পারবে না। তাই সে খুশি মনে রাজি হয়ে গেলো।
বাজিকর টেবিলের উপর উঠে পেছনের একটা হুইস্কির খালি বোতলে পেশাব ফেলার অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু সে এমনভাবে কাঁপছিলো যে সে বোতল বাদে আর সব জায়গাতেই পেশাব দিয়ে ভরিয়ে দিলো।
শেষমেষ লজ্জিত কণ্ঠে বললো, 'বারটেন্ডার, আমি পারলাম না।'
বারটেন্ডার খুশিতে লাফ দিয়ে বললে, 'ইয়েস, আমি ১,০০০ ডলার জিতেছি।'
বাজিকর খুশিমনে তাকে ১,০০০ ডলার দিয়ে দিলো। বারটেন্ডার অবাক হয়ে বললো, 'কি ব্যাপার! তুমি এতো সহজে হার স্বীকার করে নিলে?'
বাজিকর বললো, 'জুয়ার রুমের লোকগুলোর সাথে আমার বাজি রয়েছে যে আমি তোমার পুরো বারে প্রস্রাব করবো কিন্তু তুমি হাসবে আর আমাকে মারবে না। ওদের সাথে আমি ৫,০০০ ডলার জিতেছি।'