ইহুদি সম্প্রদায়কে ইউরোপে কিভাবে দেখা হতো তার বড় উদাহরণ হতে পারে উইলিয়াম শেকসপিয়ারের “ মার্চেন্ট অব ভেনিস “ নাটকের শাইলক চরিত্রটি। যে শরীরের মাংশ কেটে তার পাওনা আদায়ের দাবী জানায়। সম্পূর্ণ ভিন্ন সমাজের প্রেক্ষাপটে নিয়ে লেখা রাশিয়ান লেখক নিকোলাই গোগল তার তারাস বুলবা উপন্যাসে আরেক ইহুদি সুযোগ সন্ধানী চরিত্র ইয়ানকেল-কে সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন তাদের সম্পর্কে তখনকার শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের মনোভাব।
ইংল্যাণ্ড, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়মিত তাড়া খেয়ে তাড়া মিডল ইস্টে ঢুকতে থাকে। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান একটি চালও ছিলো। কৃশ্চিয়ানরা যেহেতু ইহুদিদের পছন্দ করতো না তাই তারাও চাচ্ছিল মুসলমানদের এলাকায় তাদের ঢুকিয়ে দিতে। আর প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে যাযাবর জীবনের অবসানও চাচ্ছিলো ইহুদিরা।
প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস একজন ইহুদি ।
কিন্তু যে পশ্চিমারা আজ ইহুদীদের দান খয়রাত করে টিকিয়ে রাখছে এরাই এই কমিউনিজম এর মূল শত্রু।
৩য় বিশ্ব যুদ্ধ জিততে হলে আরবের সমর্থন অবশ্যই লাগবে শুধু ইসরাইল দিয়া কিছুই হবেনা । কিছু মূল কারণ -
> রাশিয়ার সাথেই মূল যুদ্ধ হবে । রাশিয়ার আছে বিশাল তেল প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ । যুদ্ধে যাই হোক যুদ্ধের পর রাশিয়া তেল গ্যাস ইউরোপ পশ্চিমের জন্য বন্ধ করে দিবে । উপায় আরব ছাড়া কোন উপায় নাই ।
> আরব ব্যবহার না করে রাশিয়া চীন আক্রমণ কল্পনার বিষয় ।
> এই সকল বা ৩য় বিশ্বযুদ্ধের হিসাবে ইসরাইল গৌণ । যতই আরবে পশ্চিমের অবস্থান শক্ত হচ্ছে ততই ইসরাইল রাষ্ট্রের যৌক্তিকতা হারাচ্ছে। প্রতিটি আরব দেশে ইরান এবং অন্য কিছু রাষ্ট্র ছাড়া ৯০ ভাগ আরব রাষ্ট্রে পশ্চিমা সৈন্যদের অবস্থান আছে।
> যে জিনিস বিনিময়ের মাধ্যমে সস্তায় পাচ্ছে তা নিয়ে যুদ্ধ করা বোকামি । আরবে পশ্চিমের অবস্থান আরব দখল না রাশিয়া চীন অর্থাৎ ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ । আরবের তেল স্বর্ণ না বেচলে আরবের মানুষ না খেয়ে মরবে তা আরব এবং পশ্চিম উভয়েই জানে। আরবের তেল স্বর্ণ বিক্রির জন্যই সাজিয়ে রাখার জন্য না।
আমি জানি প্রমাণ করা বা বের করা বেশ কষ্ট আসলে ইসরাইল নিয়ে পশ্চিম কি করবে । তবে যা দেখাচ্ছে পশ্চিম ইহুদির বন্ধু সত্য তা না এটুকু আমার দৃঢ় বিশ্বাস । বাংলার ইতিহাসে মীরজাফর ইংরেজদের কুত্তা শেষ পর্যন্ত ওকে মারা হয়েছিল চিঁড়ে ফেলে । ঠিক যখন বাংলা পুরো ইংরেজদের কব্জায় চলে যায় । লক্ষ্যণীয় আমেরিকা কিন্তু প্রথম রাজি ছিলনা কিন্তু ব্রিটিশ , ফ্রান্স রাজি ছিল । এখানেই প্রশ্ন কেন ? তাহলে কেন কি স্বার্থে ইহুদীদের জন্য এত মায়াকান্না পশ্চিমের ? ইহুদীদের কাছ থেকে নেয়ার কিছু নাই কিন্তু তাদের ব্যবহার করে অনেক কিছুই করা যায়।
, যুগের পর যুগ অত্যাচারিত একটি জাতির কাছে কি আছে ? বা যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত একটি জাতি কি এমন দিতে পারে যার জন্য ব্রিটিশ , ফ্রান্সের এত পিরিতি ? ইহুদির অর্থ বিত্ত সবই ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর তাও ব্রিটিশ আমেরিকা ফ্রান্স বা মিত্র শক্তির দয়ায় চলে ইহুদীদের সকল ব্যবসা। ইহুদীরা বহু আগে থেকেই বিতাড়িত যাযাবর উদ্বাস্তু অসভ্য অভিশপ্ত জাতি। তাদের দেয়ার মত বা তাদের কাছ থেকে নেয়ার মত কিছু কখনই ছিলনা।যার উৎকৃষ্ট প্রমান ইউরোপ জুড়ে ইহুদীদের ঘৃণা বিদ্বেষ, হলোকাস্ট। এই সময়ে ইহুদীদের সহযোগিতা করার বা নিজেরা কিছু করার মত কোন অবস্থান তাদের ছিলনা।এটি ২য় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনা ১৯৩৯-১৯৪৫ হলোকাস্টের মত ইহুদী বিদ্বেষের ঘটনাও তখন।আবার ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৮ সালে।
ব্রিটিশরা দীর্ঘ একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করে ১৯১৭-১৯৪৮ এই দীর্ঘ ৩১ বছর সময় ধরে ব্রিটিশরা ইহুদীদের আনে ফিলিস্তিনে রাখে।মূলত ইহুদীদের অর্থনৈতিক উথান ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর পরই।এখানে উল্লেখ্য বা ভাবনার বিষয় ২য় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৫ সালে আর অবৈধ ইসরাইল হয় ১৯৪৮ সালে। এখানে প্রশ্ন আসে তখন বা মাত্র ৩ বছরে ইহুদীরা কি এমন যাদু মন্ত্রের বা আলাদিনের চেরাগের মালিক হয় যে ব্রিটিশ , ফ্রান্স আমেরিকা বা মিত্র শক্তি ইহুদীদের আলাদা অবৈধ রাষ্ট্র দেয়। ইতিহাসের শুরু থেকে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদী নির্যাতন নিপীড়নের ইতিহাস। যেহেতু জার্মানরা ইহুদী বিরোধী তাই ব্রিটিশরা রাজনৈতিক কারণেই ইহুদীদের সমর্থন করে ১৯১৭ সালের ২রা ডিসেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরথার ইহুদীদের ফিলিস্তিনে রাষ্ট্র দেয়ার ঘোষণা করে। আসলে এর মাধ্যমে ইউরোপে অবস্থিত ইহুদীদের তাদের সমর্থনে নিয়ে আসাই ছিল মূল লক্ষ্য। আর ফিলিস্তিনে রাষ্ট্র দেয়া তো পরিষ্কার আরবদের সম্পদ লুট করা। ব্রিটিশরা খুব ভালো ভাবেই জানত ইহুদীদের পক্ষে কোনদিন নিজের ভূমি দেশ দখল করার শক্তি বা ক্ষমতা নেই বা হবেনা বা করতে দেয়া হবেনা। আজও কি ইহুদীরা পারবে ব্রিটিশ আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া দেশ ভূমি টিকিয়ে রাখতে ? ইহুদীদের সম্পদের কথা বলা হয়। কি সম্পদ আছে ইহুদীদের ? কিছু ব্যবসা আছে যা ব্রিটিশ আমেরিকা মিত্র শক্তির দয়ায় চলছে । যে সকল কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয় আরবের খুব ছোট্ট একটি রাষ্ট্র কুয়েতের ২/৩ জন আমির তা এক বসায় কিনে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। ব্রিটিশ আমেরিকা বা মিত্র শক্তি ছাড়া ইসরাইল নেপাল , ভুটানের মত রাষ্ট্র পরিচালনা বা রক্ষার সক্ষমতা রাখেনা। আগামী ১০০ বছরেও কি পারবে ইসরাইল নিজের পায়ে দাড়াতে বা ব্রিটিশ, ফ্রান্স মিত্র শক্তি কি দিবে সেই সক্ষমতা অর্জন করতে ? হাতে গোনা কয়েকটা খাবার , সংবাদ , আর কাপড়ের কোম্পানি দিয়ে কি একটি রাষ্ট্রের অর্থনীতি চলবে?
ব্রিটেন ফ্রান্স ঠিক সেই কাজটি করেছে সাথে নিয়েছে আমেরিকাকে । ইহুদীদের নিয়ে পশ্চিমের অঙ্ক পরিষ্কার। আরবের সম্পদ লুট এবং ৩য় বিশ্বযুদ্ধ। রাজনীতিটা বেশ পুরনো । বস্তির ছেলে কোন কাজ নাই বেকার সমাজের সবাই ঘৃণা করে । চুরি ভিক্ষা যার অভ্যাস। আমরা বা আমাদের সমাজ এদের বলে কাঙ্গালি । বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে এমন বহু কাঙ্গালি টপ টেরর হওয়ার ঘটনা সবাই জানে।আবার রাজনৈতিক দল বা নেতারা নিজেদের প্রয়োজনে যেমন এই কাঙ্গালি ব্যবহার করে ঠিক তেমনি কাজ শেষ হলে বা প্রয়োজন শেষ হলে কুত্তার মত রাস্তায় মেরে ফেলে রাখে। তখন সমাজের কেউ প্রতিবাদ করেনা বরং স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে যাক একটা বিপদ শেষ হল। ঠিক এই বিষয়টি হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইহুদীদের নিয়ে । ইহুদীরা এখন যা করছে এখন যদি এই জাতিটিকে পুরো শেষ করে দেয়া হয় তাহলে পুরো বিশ্ব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।
২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইহুদীদের কি ছিল দেয়ার মত ? কয়টা ইহুদী ব্যবসায়ী ছিল? কোথায় ইহুদীরা প্রতিষ্ঠিত ছিল ? পৃথিবীর কোথাও ইহুদীদের এক খণ্ড ভূমি ছিলনা । পৃথিবীর সর্বত্র এরা ছিল অচ্ছুৎ ঘৃণিত। ব্রিটিশ ফ্রান্স নক্সা করল এই ইহুদী ব্যবহারের আরবের মধ্যে এনে রাখল নিজেরা সাহায্য করল সাথে নানা ব্যবসা বানিজ্যের সুযোগ দিল।আজ ইহুদীরা বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ স্থানে আছে বলা হয় ঐ পশ্চিমাদের দানেই বা একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সেই মিত্র শক্তির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এরা কর্মরত। সেই সাথে ইউরোপ তাদের দেশগুলো থেকে আবর্জনা দূর করে দিল ইহুদীদের ভূমির লোভ দেখিয়ে। কিছু মাত্র ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নামে মাত্র রাখল। সারা পৃথিবী থেকে এই আবর্জনা এনে রাখল ইসরাইল নামে পশ্চিমা গিনপিগ বা পশ্চিমা ভৃত্যগোষ্ঠী করে পশ্চিমারা মুখে বলে বন্ধু যার নাম ইসরায়েল।
কিন্তু ইহুদীদের কাঠের পুতুল করে রশিটা নিজেদের হাতে রাখল। এমন জায়গায় ওদের রাখল যেখানে চারদিকে থাকবে শত্রু বেষ্টিত । এক মুহূর্তের জন্যও যদি ওরা রশি ছেড়ে দেয় আরবদের মাত্র কয়েক ঘণ্টা লাগবে ইহুদীদের শেষ করে দিতে।
ইহুদীরা সব বড় ব্যবসায়ী খুব ভালো কথা কিন্তু তাদের এই ব্যবসার সুযোগ কারা দিল ? কে তাদের পুঁজি দিল? উত্তর- পশ্চিমারা মিত্র শক্তি। মূলত ইহুদীরা বহুভাবে শৃঙ্খলে আবদ্ধ প্রতিটি ইহুদী পায়ে পশ্চিমাদের দাসত্বের শৃঙ্খল। পুরো পৃথিবীতে ইহুদির সংখ্যা ১৪ মিলিয়ন যার ৫০ ভাগ ইসরাইলে বাকী কিছু আমেরিকা এবং ইউরোপে । এই সামান্য সংখ্যার জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারী পশ্চিমাদের জন্য জলবৎ তরলং। ইহুদীদের ব্যবসা কি তাদের নিজের কোন ভূমিতে ? না ওদের সকল ব্যবসা পশ্চিমা মিত্র শক্তির দেশগুলোতে সুতরাং পশ্চিমাদের ইশারা ব্যতীত একটি ডলারও ইহুদীরা নিজেদের মত ব্যয় করতে পারেনা।আরও মজার বিষয় হচ্ছে ইহুদীদের অনেকগুলো সংগঠন আছে যেখানে ইহুদীদের কল্যাণে কাজ করা হয়। এই ধরনের সংগঠন ইহুদীদের যেমন আছে তেমনি আছে পশ্চিমাদের তাদের প্রত্যেকের কাছে পৃথিবীর কোন কোনায় কয়টা ইহুদী আছে ঠিক আজকে এই মুহূর্তে কোন ইহুদির জন্ম হল তা সাথে সাথে রেকর্ড হয়ে যায় । ব্যস কল্যানের নামে প্রত্যেকটি ইহুদীর বিস্তারিত পশ্চিমাদের কাছে আছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী এবং তাদের বিশাল সামরিক শক্তি আছে বলা হয়। সঠিক তথ্য বের হলে দেখা যাবে ইসরাইলী সেনা বাহিনীতে যে কয়টা ইহুদী আছে তার চেয়ে বহু বেশী আমেরিকা ব্রিটেনের সৈন্য আছে হয়ত ৮০ ভাগই পশ্চিমা সৈন্য। যে সামরিক যন্ত্রপাতি ইহুদীরা আবিস্কার করেছে দাবী করে তদন্ত করলে তার ১০০ ভাগ হয় আমেরিকা বা ব্রিটিশরা করেছে কিন্তু নাম দেয় ইসরাইলের যাতে আরবরা ভয় পায়। যখন এই লেখাত্তি লিখছিলাম তা ছিল কেবল আমার ধারণা কোন তথ্য ছিলনা। কিন্তু পরে তথ্য পেয়ে গেলাম খব মার্কিনরা স্বীকার করেছে ইসরাইলের বাহিনীতে ওদের সেনা আছে এবং হামাসের হামলায় মারা গেছে( প্রথম আলো ৭ম পাতা,২২জুলাই ২০১৪) । এই লেখাটি তৈরি করার বেশ পরে আমি কিছু তথ্য পাই আমার ভাবনার সমর্থনে -
Click This Link
ওবামা গোপনে ২০০০ সেনা পাঠিয়েছে ইসরাইলের পক্ষে
Click This Link
ঠিক যেভাবে বলা হয় ইহুদীদের কাছে পরমানু বোমা আছে শতাব্দীর সবচেয়ে মজার হাস্যকর জোকস। ওদের কাছে এক কনা পরমাণু নেই । এটিও পশ্চিমাদের বানানো গল্প যা ইহুদী নিয়ন্ত্রিত cnn , ABC , BBC দ্বারা এই গল্প প্রচলিত । মোসাদের ৯০ ভাগ লোক আমেরিকা ব্রিটিশদের। কিন্তু নামে মোসাদ বা ইহুদী গোয়েন্দা বাহিনী।পশ্চিমারা জানে ইহুদীরা যদি পরমানু বোমা পায় তা প্রথমে মারবে ইউরোপে তাই এটা কখনই ওদের হাতে যেতে দিবেনা। একটু যদি খেয়াল করি জার্মানির এঙ্গেলা মারকেলের ফোনে আড়ি পাতা এই সাম্প্রিতক গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে জার্মান থেকে ৩ মার্কিন কূটনীতিক বহিস্কার এগুলো কিন্তু ইহুদীদের সাজানো গল্পেই।উল্লেখ্য জার্মানের নেতৃত্বে অক্ষ শক্তি গঠিত হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধে যা আমেরিকা ব্রিটেনের মিত্র শক্তির বিরুদ্ধে। কাল্পনিক ইহুদী লবির কথা বলা হয় আমেরিকার রাজনৈতিকি দলগুলোতে। ইহুদীদের অনেক টাকা তাই আমেরিকার দলগুলো ওদের কথা শুনে। ওই টাকা পশ্চিমাদের দেয়া দান। পৃথিবীর সামনে বন্ধু মূলত ইহুদীরা পশ্চিমা ভৃত্য। পশ্চিমা হুকুম ছাড়া এক পা নড়ার অনুমতি নাই কোন ইহুদির। মুখে যাই বলুক এটাই বাস্তবতা।আজও যা হচ্ছে সবই আমেরিকা-ব্রিটেনের নির্দেশে।
যদি একটু ভাবি ইসরাইলের শেষ কি ? ওরা আরবে শত্রু বেষ্টিত হয়ে কোনদিন নিজেরা মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে ?যেদিন পশ্চিমাদের স্বার্থ শেষ হয়ে যাবে সেদিন ইহুদীরা কি করবে? অর্ধ শতাব্দীর বেশী সময় ধরে পশ্চিমাদের দানে ইহুদীরা টিকে আছে কিন্তু তা কি অনন্তকালের? ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ শেষে যদি পশ্চিমের জয় হয় তখন ইহুদীদের পেছনে পশ্চিমাদের এই বিশাল ব্যয় করার আর কোন কারণই থাকবেনা কারণ তখন পুরো পৃথিবী ওদের কেউ কিছু বলার নাই । অযথা আবর্জনার পেছনে ব্যয় করার কোন অর্থ নাই। আর যদি পশ্চিমারা ৩য় বিশ্ব যুদ্ধে হারে মুসলমানরা কুরবানির ঈদ করবে একটা ইহুদী ইসরাইল থেকে ফেরত যাবেনা প্রত্যকটা ইহুদীর দাফন ইসরাইলেই হবে মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। কারণ ৩য় বিশ্ব যুদ্ধে হারার পর পশ্চিমাদের আর সামর্থ্য থাকার কথা না যে সারা পৃথিবীতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার।অর্থাৎ ইসরায়েল নিয়ে পশ্চিমাদের বা মিত্র শক্তির এত আয়োজন মূলত ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ নিয়েই ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হলে ইসরাইলের প্রয়োজনও শেষ এখন মিত্র শক্তি জয়ী হোক বা পরাজিত হোক।
এটা কি ইহুদীরা জানেনা ? জানে কিন্তু কিছুই করার নাই। এই পৃথিবী অনেক ছোট ওদের যাওয়ার বা কিছু করার কোন উপায় নাই। কারণ আপাতত পশ্চিমাদের প্রভাব নাই এমন কোন স্থান পৃথিবীতে নাই আর যে সামান্য কিছু অংশে পশ্চিমাদের প্রভাব কম সেখানে ইহুদীদের কোন স্থান নাই।পশ্চিমা বলয় থেকে বের হওয়ার চিন্তাও ওরা করতে পারেনা কারণ জানে তাহলে মুহূর্তে কর্পূরের মত মিলিয়ে যাবে। কথা খুব পরিষ্কার যে কয়দিন বাঁচবি ভৃত্য হয়ে থাকবি অথবা এক দিনও বাঁচতে পারবিনা।
পশ্চিমাদের মুখে বন্ধু নাম আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা চাল মাত্র আসলে ইহুদীরা পশ্চিমাদের জন্য একটি গিনিপিগ একটি জাতিকে পশ্চিমারা নিজেদের ইচ্ছা মত যেভাবে খুশি ব্যবহার করছে।
এখন আসুন দেখি ইহুদীদের সাথে মুসলমানরা কি করেছে বা করছে ? এই জন্য আমাদের একটু আলোকপাত করতে হবে ইসলামের রাজনীতির আদর্শ এবং বর্তমান আরবদের রাজনীতির আদর্শের দিকে।
ইসলামে বা খেলাফতের কোথাও রাজতন্ত্রের অনুমতি নাই বা রাজতন্ত্রের আদর্শ ইসলামে নিষিদ্ধ। এখানে ইজমা কেয়াসের মাধ্যমে নেতা বা আমির নির্বাচিত হয়। মহানবী(স) র কোন উত্তরসূরি ওনার ওফাতের পরই আমির নির্বাচিত হয়নি বা অন্য খলীফা যারা ছিলেন তাদের ওফাতের পরই তাদের কোন রক্তের উত্তরসুরি আমির নির্বাচিত হয়নি। যারা হয়েছেন তারা অনেক পরে এবং নির্দিষ্ট ইজমা কেয়াস বা নীতির মধ্য দিয়েই নির্বাচিত হয়েছেন। কেবল আমিরের বংশধর এটাই তাদের একমাত্র যোগ্যতা ছিলনা।
আজ আরবের রাজনীতির দিকে যদি দেখি রাজতন্ত্র আরবের অন্যতম প্রধান আদর্শ। গুটিকয়েক আরব দেশ এর বাইরে যেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার নির্বাচিত হয়। কিন্তু ৯০ ভাগ আরব দেশে রাজতন্ত্র। যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। এমনকি পবিত্র মক্কা নগরী যেখানে সেই সৌদি আরবে রাজতন্ত্র যা ইসলামের দৃষ্টিতে যা সম্পূর্ণ হারাম।
এখন বুঝতে অনেক সহজ হবে যে ইহুদীদের পশ্চিমাদের পাশাপাশি এই রাজতন্ত্রধারী মুসলমান নামের মোনাফেকরা কিভাবে ব্যবহার করছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আজ ইহুদীরা ফিলিস্তিনে ৭৩০ জন নারী শিশু হত্যা করল অথচ ও আই সি বা আরব লীগ নামের মুসলিম নামধারী মোনাফেকরা একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। যেখানে বাংলাদেশ সরকার পর্যন্ত এই হত্যার প্রতিবাদ করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আসলে ঐ সকল সংগঠন মূলত মুসলমান নামের মোনাফেকদের নিয়ন্ত্রনে।
এই মোনাফেকরা পশ্চিমাদের মতই ইহুদীদের বা ইসরাইলকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। কখনও পাশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আক্রমনে কখনও নিজের দেশে সন্ত্রাসী কাজে ইহুদীদের ব্যবহার করছে। পশ্চিমারাও এই বিষয়ে ইহুদীদের হুকুম করছে মোনাফেক রাজতন্ত্রধারিদের জন্য কাজ করতে।কারণ খুব পরিষ্কার পশ্চিমারা রাজতন্ত্রধারিদের টিকিয়ে রাখছে এতে তাদের লাভ তাদের সৈন্য সে দেশে অবস্থান করছে সাথে তেল স্বর্ণ তো আছেই। সৌদি রাজতন্ত্রের সরকারের সাথে পশ্চিমের কত সখ্যতা কিন্তু সিরিয়ার নির্বাচিত সরকারের বিপক্ষে পশ্চিমের অবস্থান ।
এই হচ্ছে আজকের ইহুদীদের চিত্র পশ্চিম এবং আরব মোনাফেকরা তাদের স্বার্থে প্রতি পদে পদে এদের ব্যবহার করছে। যতদিন ইহুদীরা থাকবে ব্যবহার করবে। ইহুদীরা শেষ হলে তখন থাকবে পশ্চিমের বাহিনী। তখন এই মোনাফেকরা দেশ দিয়ে দিবে পশ্চিমের হাতে নিজেদের রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে। অনেকটা ইংরেজ শাসন আমলে বাংলার জমিদারদের মত। তখন নির্দিষ্ট করের বিনিময়ে জমিদাররা তাদের জমিদারী টিকিয়ে রাখত। ঠিক এই রকমই নক্সা করছে পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে। আর তা বাস্তবায়িত হলে ইহুদী জঞ্জালের আর কোনই যৌক্তিকতা থাকবেনা পশ্চিমের কাছে।
কি আশ্চর্য আধুনিক সভ্যতার চরম শিখরে মানুষ । দাবী করা হয় দাস প্রথা বিলুপ্তির অথচ পৃথিবীতে একটি জাতি আজও দাসত্তের শৃঙ্খলে বন্দী তার নাম ইহুদী। অথচ তাদের বলার প্রতিবাদ করার বা মুক্তি কোন পথ নেই । পশ্চিমারা একটা স্বপ্ন দিয়ে এই জাতির দাসত্ব কিনে নিয়েছে আর তা হচ্ছে ভূমি। একটি মাত্র শব্দ একটি লাইন দিয়ে পুরো ইহুদী জাতি দাসত্ব বরণ করে নিল , নেক্সট ইয়ার ইন জেরুজালেম ।
কি করার আছে ? কি করতে পারে ইহুদীরা ? তারা কি পারবে এই ১৪ মিলিয়ন ইহুদী কি পারবে জেরুজালেম নিতে? পশ্চিমের দয়া দান ছাড়া এক মিনিট টিকতে? পৃথিবীতে বহু জাতি আছে যাদের দেশ বা ভূমি নেই । বহু জাতি উপজাতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের মত শান্তিতে বাস করছে। কি দরকার ছিল দেশ ভূমি নিয়ে এতটা ফ্যান্টাসিতে ভোগার ? ইহুদীদের মেধা ছিল তা দিয়ে পৃথিবীর যে কোন দেশে নিশ্চিন্তে বাস করতে পারত এমনকি আরব বা ফিলিস্তিনেও । ভূমি ভূমি করে অর্থ হীন একটা ফ্যান্টাসি করে আসলে কি লাভ হচ্ছে ইহুদীদের ? লাভের মধ্যে লাভ দাসত্বের শৃঙ্খল পরল। এখন কি হবে যদি পশ্চিমারা সরে যায় ? জোর দখল করে অনন্ত কাল কি চলবে ?
আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট চেঞ্জ হলেই তো ইহুদীদের ধ্বংসের ঘণ্টা বেজে যাবে । এমন নির্বোধ অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত ইহুদীদের নির্মূল করে দিবে কোন সন্দেহ নাই। পৃথিবীর বহু জাতি বহু দেশে নিজেদের মত ভালো আছে । কিন্তু ইহুদীদের কি এত দরকার ছিল এই নির্বোধ ভূমি বা দেশ নামক ফ্যান্টাসির ? যাকে পুঁজি করে পশ্চিমারা নিজেদের ইচ্ছে মত পুরো ইহুদীদের ব্যবহার করছে সাথে আরবের মোনাফেকরা।
এখানে আবার খোদার বাণীর সত্যতা প্রমাণ হয় , ইহুদীরা অভিশপ্ত জাতি । ইহুদীদের কখন নিজের ভূমি হবেনা। ইহুদীরা নির্মূল হবে। পৃথিবীতে কয়েক লক্ষ জাতি আছে সব জাতির কি দেশ আছে ? দেশ না থাকলে একটি জাতি কি তার মৌলিকত্ব হারিয়ে ফেলে ? ইতিহাসে বিবর্তনে নানা কারণে বহু জাতি স্থানান্তর হয়েছে তো তারা কি দেশর জন্য ফালতু আবেগে ভুগেছে ? কি হয় বা হয়েছে দেশ নিয়ে আবেগে ভুগে? নিজের জাতির শক্তি ক্ষমতা না থাকলে আরেক জনের উপর ভর করে কি দেশ রাষ্ট্র চালানো যায় ? রাষ্ট্র দেশ নিয়ে অযথা বিলাসিতায় না ভুগে বিভিন্ন দেশে বা যে যেখানে যে অবস্থানে আছে সেখানেই সুন্দরভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে থাকাটাই কি বুদ্ধিমানের পরিচয় ছিলনা ?
আজ হয়ত আমার এই প্রশ্ন বা কথাগুলো হয়ত যুক্তিতর্কে কাটা ছেড়া হবে প্রমাণ হবে আমি ভুল । কিন্তু কাল যদি এটি হয় বাস্তবতা পৃথিবীর ইতিহাসে অতি ফ্যান্টাসিতে ভোগা ইহুদীরা যদি কেবল ইতিহাস হয়ে যায়। তারপরে কিন্তু সর্ব প্রথম এই প্রশ্নটি আসবে , ইহুদীদের ভুমির স্বপ্ন বিলাসিতা কতটা যুক্তিসঙ্গত ছিল ? আর তাদের পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার প্রথম এবং প্রধান কারণ হবে ভূমির স্বপ্ন বিলাসিতা বা সেই একটি লাইন- নেক্সট ইয়ার ইন জেরুজালেম।
হয়ত আমার ভাবনার মধ্যে ফাঁক আছে থাকতে পারে। হয়ত অনেক ভুলভাবে ইসরাইলকে দেখছি হয়ত আমার দৃষ্টি ভঙ্গি ইহুদী বিদ্বেষ দ্বারা প্রভাবিত । হতে পারে কোন সন্দেহ নাই আজ ওরা যা করছে এত হওয়া খুব স্বাভাবিক।হিটলার বলেছিল- চাইলে পুরো ইহুদী জাতি শেষ করে দিতে পারি কিন্তু কিছু বাচিয়ে রাখলাম। কারণ যাতে মানুষ বুঝতে পারে কেন ইহুদী হত্যা করেছি।
যে কোনভাবেই চাই ইসরায়েল নামের বিষ ফোঁড়াটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাক।কারণ এটি কোন দেশ নয় আমেরিকা ব্রিটেন বা মিত্র শক্তির একটি ঘাঁটি মাত্র । যেখানে সারা পৃথিবী থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য নিরীহ ইহুদীদের রাখা হয়েছে ভূমি দেয়ার নামে।কিন্তু মূলত এদের ব্যবহার করে আমেরিকা ব্রিটেন একের পর এক দেশ দখল করছে। আসলে হিটলারের হলকাস্টেরই আরও বিস্তৃত এবং শৈল্পিক রুপের নাম ইসরায়েল।