somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইভটিজিং!!! প্রতিকার কিসে ????? #:-S

০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আইন আছে, প্রয়োগ নেই। আইন হচ্ছে, প্রয়োগ হবেনা। আইন হবে প্রয়োগ .......। এ বিষয়টি নতুন নয়। কয়টি ঘটনা আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরে পরে বা পরবে? কতজন শাস্তির আওতায় আসে বা আসবে?

বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের এ সব স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে শুধু নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলতে পারে। তারা রিপোর্ট করবে!! তারপর বখাটেরা শাস্তির আওতায় আসবে। এ সমস্যা গুলো সমাধান কি শুধু আইন দ্বারাই করা সম্ভব?

আমরা অপরাধের বিলোপ চাই, অপরাধীর আগে। অপরাধিতো সৃষ্টি হতেই থাকবে যদি অপরাধ সংঘটনের মূল কারণ সনাক্ত করা না যায়।
আইন করে মেয়েদের আরো উশৃংখল হবার স্বাধীনতা দেয়া হবে। বখাটেদের যেমন শাস্তির আওতায় আনতে হবে, তেমনি এ ঘটনা বৃদ্ধির মূল কারণ বিষয়ও ব্যবস্থা নিতে হবে।
-----------------------------------------------------------------
নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির মাধ্যমে বুঝানো হবে যে বিয়ে পূর্ব প্রেম-ভালবাসা পবিত্র বিষয়!! পিতা-মাতা, সমাজ পক্ষ নেবে শুধু অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের নাটক, সিনেমাগুলোর নায়ক-নায়িকার। উপভোগ করবে কাহিনীগুলো।
আর তাদের সমাজের বা পরিবারে যখন এমন ঘটনা ঘটে তখন তা কোন ভাবেই মানা সম্ভব নয়!! এসব নষ্টামির প্রসার রোধে আগে এর প্রচার রোধ করতে হবে।। অশ্লীলতার প্র্রসারকে প্রগতিশীলতা বলা হবে।
আর কোন মেয়ের প্রতি কোন ছেলের প্রেম জন্মালে, ছেলে তাকে প্রস্তাব দিলে এবং যদি মেয়েটির কাছে ছেলেটিকে পছন্দ না হয় তবে ছেলেটি হয়ে যাবে বখাটে বা ইভটিজার!!!!!
আর যদি মেয়েও রাজি থাকে তবে তাদের মধ্যে গড়ে উঠবে সম্পর্ক!! হায়!
আর উপরের বিষয়টির যদি বিপরীত ঘটে তবে তাকে কিছুই বলবনা!!!!

সামাজিকভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে অশ্লীলতাকে প্রস্রয় না দিয়ে এসব অসামাজিক ও অপ্রীতিকর বিষয়গুলো গোড়া শুদ্ধ পারলে উপরে ফেলুন।

জানিনা তার কতটুকু পারবেন?
------------------------------------------------------------------


মুসলমান প্রতিটি ভাই-বোনকে বলব, যদি স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস থাকে, ভরসা থাকে তবে তার বিষয়ে এতটুকু বিশ্বাস রাখা জরুরী যে, তিনিই তার সৃষ্টির সকল রহস্য জানেন। সৃষ্টির কোন দিকে ভাল, কোন দিকে নিরাপত্মা তা তার থেকে ভাল আর কেউ জানেনা। তাই তার হুকুম পালনে ত্রুটি থাকলে, তার বিশ্বাসে আপনি কতটা দৃঢ়, সে বিষয় অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন আপনি।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলঃ
অশ্লীলতা, ধর্ষন, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুক প্রথা, নারী নির্যাতন, অবৈধ প্রেম, ইভটিজিং, এইডস সংক্রমনসহ বহু সামাজিক, শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় ও বিশৃংখলা সৃষ্টির একমাত্র কারণ স্রষ্টার নির্দেশ পর্দা প্রথার বিলুপ্তি। পর্দা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই অবশ্য পালনীয় রীতি। মাদক গ্রহনও অনেক ক্ষেত্রে এর পরোক্ষ ফল।


তাই বলবঃ
* হিজাবকে আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
* নৈতিক শিক্ষার সমন্নয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রনয়ন করতে হবে যেখানে এর প্রধান্য থাকবে সব বিষয়ের উপরে।
* কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিপথগামী যুবকদের পেশার পূর্ন নিশ্চয়তা দিতে হবে।
* সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবমুক্ত করতে পার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
* পর্নোগ্রাফি সাইটগুলোকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে এবং সার্বক্ষনিক মনিচরিং এ রাখতে হবে।
* অশ্লীলতা প্রসার পায় এমন যে কোন প্রকাশনা, প্রযোজনা, পরিবেশনা বাতিল ঘোষনা করতে হবে।
* অবৈধ প্রেম কাহিনী নির্ভর নাটক, সিনেমা ইত্যাদির প্রচার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এবং এর স্থলে
রহস্য,
বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী,
মহানুভবতার কাহিনী,
রম্য বা রস ভিত্তিক কাহিনী,
গোয়েন্দা কাহিনী,
বিষ্ময়কর কল্প কাহিনী,
শিক্ষা মূলক কাহিনী,
রূপকথার কাহিনী,
কিশোর কাহিনী, নির্ভর সংস্কৃতিক অঙ্গন গড়ে তুলতে হবে। যদি সরকার দেশকে সকল অনৈতিক কার্যকলাপ হতে রক্ষা করতে চান।।

যাতে আত্মিক উন্নতি সাধিত হবে। মানুষ তার নৈতিক শক্তিকে আরো সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে। মানুষ আজ তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে, শুধু তার নৈতিকগুণ গুলোর অনুপস্থিতির জন্য।।

============================================



আমরা তাদের এড়াতে পারবো না, কারণ সব টিজিং প্রকাশ্য হয়না।
তবে আমরা নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারি।
আপনার স্রষ্ঠা অবশ্যই আপনার কোন দিকে ভাল সে বিষয়ে সবচেয়ে ভাল জানেন।।

============================================

----ধন্যবাদ----
১৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×