somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফারুক৫৫ এর লেখার জবাব।

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকাঃ ব্লগার ফারুকে৫৫ বেশ কিছুদিন ধরে ইসলামের নামে বির্তকিত পোষ্ট দিয়ে আসছিল। সে বলতে চায় হযরত মুহাম্মদ (সঃ)এর হাদিস বলে কিছু নাই। এমনকি আমরা যে নামাজ পড়ি তাও নাকি কোরানের কোথাও লেখা নাই এবং সারা দুনিয়ার মুসলমানেরা যে ভাবে নামাজ পড়ে এই নামাজের কোন ভিত্তি নাই। (গতকালের পোষ্টে লিখেছিল। পোষ্টটি কর্তৃপক্ষ সরিয়ে দিয়েছে।)

এখন ফারুক৫৫ যদি এই লেখা পড়ে থাকেন তাহলে লক্ষ করুন।

০৯. মুমিনগণ, জুমআর দিনে তখন নামাজের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরাত কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
সুরা: জুমুআহ

এখানে নামাজ পড়ার কথা স্পষ্ট বলা আছে। এমন কি আযান এর কথাও। নামাজ বলে যদি কিছু না থাকত আযানের প্রশ্ন আসত না। আযান এর অর্থই হলো নামজের জন্য আহবান করা।

১০. অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিন স্মরন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
সুরা: জুমুআহ
অর্থ্যাৎ নামাজ শেষ করে সবার নিজ নিজ কাজে যেতে বলা হয়েছে।


১৮. এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা'আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা'আলার সাথে কউকে ডেকোন না।
সুরা আল জিন।

এখানেও স্পষ্ট বলা আছে মসজিদ আল্লাহকে স্মরণ করার জায়গা। যদি নামাজ না থাকত তাহলে মসজিদেরও প্রয়োজন হতো না।

৪২. বলবেঃ আমরা নামাজ পড়তামনা,
৪৩. অভাবগ্রস্তকে আহার্য দিতাম না,
৪৪.আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম।
সুরা মুদ্দাসসির
এই সুরাটা বুঝতে হলে প্রায় পুরাটা পড়তে হবে। তবুও মাত্র তিনটি আয়াত দিলাম। এখানেও যারা নামাজ পড়েনা তাদের কথা বলা হচ্ছে।

৩৩. হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসুলের(সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।

ফারুক৫৫ সব সময় রাসুলের(সাঃ) এর সমালোচনা করেন। অথচ এখানে রাসুলের(সাঃ) আনুগত্য করার কথা স্পষ্ট লেখা আছে। অর্থ্যাৎ রাসুলের(সাঃ) আনুগত্য করতে গেলে হাদিসকেও মানতে হবে।

ফারুক সাহেব কি এখনও বলবেন নামাজ ও হাদিস বলে কিছু নাই? নাকি তওবা করে আল্লাহ ও রসুলের পথে আসবেন?
২৬টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের জাতির কপালে শনি আছে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১১



একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×