ভূমিকাঃ ব্লগার ফারুকে৫৫ বেশ কিছুদিন ধরে ইসলামের নামে বির্তকিত পোষ্ট দিয়ে আসছিল। সে বলতে চায় হযরত মুহাম্মদ (সঃ)এর হাদিস বলে কিছু নাই। এমনকি আমরা যে নামাজ পড়ি তাও নাকি কোরানের কোথাও লেখা নাই এবং সারা দুনিয়ার মুসলমানেরা যে ভাবে নামাজ পড়ে এই নামাজের কোন ভিত্তি নাই। (গতকালের পোষ্টে লিখেছিল। পোষ্টটি কর্তৃপক্ষ সরিয়ে দিয়েছে।)
এখন ফারুক৫৫ যদি এই লেখা পড়ে থাকেন তাহলে লক্ষ করুন।
০৯. মুমিনগণ, জুমআর দিনে তখন নামাজের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরাত কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
সুরা: জুমুআহ
এখানে নামাজ পড়ার কথা স্পষ্ট বলা আছে। এমন কি আযান এর কথাও। নামাজ বলে যদি কিছু না থাকত আযানের প্রশ্ন আসত না। আযান এর অর্থই হলো নামজের জন্য আহবান করা।
১০. অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিন স্মরন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
সুরা: জুমুআহ
অর্থ্যাৎ নামাজ শেষ করে সবার নিজ নিজ কাজে যেতে বলা হয়েছে।
১৮. এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা'আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা'আলার সাথে কউকে ডেকোন না।
সুরা আল জিন।
এখানেও স্পষ্ট বলা আছে মসজিদ আল্লাহকে স্মরণ করার জায়গা। যদি নামাজ না থাকত তাহলে মসজিদেরও প্রয়োজন হতো না।
৪২. বলবেঃ আমরা নামাজ পড়তামনা,
৪৩. অভাবগ্রস্তকে আহার্য দিতাম না,
৪৪.আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম।
সুরা মুদ্দাসসির
এই সুরাটা বুঝতে হলে প্রায় পুরাটা পড়তে হবে। তবুও মাত্র তিনটি আয়াত দিলাম। এখানেও যারা নামাজ পড়েনা তাদের কথা বলা হচ্ছে।
৩৩. হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসুলের(সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।
ফারুক৫৫ সব সময় রাসুলের(সাঃ) এর সমালোচনা করেন। অথচ এখানে রাসুলের(সাঃ) আনুগত্য করার কথা স্পষ্ট লেখা আছে। অর্থ্যাৎ রাসুলের(সাঃ) আনুগত্য করতে গেলে হাদিসকেও মানতে হবে।
ফারুক সাহেব কি এখনও বলবেন নামাজ ও হাদিস বলে কিছু নাই? নাকি তওবা করে আল্লাহ ও রসুলের পথে আসবেন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


