March 24, 2017
টিডিএন বাংলা, কলকাতা: কলকাতার মুসলিম বেকার হোস্টেলে বঙ্গ বন্ধু সেখ মজিবর রহমান পড়াশোনা করেছেন বলেই তাঁর মূর্তি রাখতে হবে?প্রশ্ন তুললেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মজিবর রহমানকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে,সেটারও সমালোচনা করেছেন কামরুজ্জামান।টিডিএন বাংলাকে তিনি টেলিফোনে বলেন,”আমরা মনে করছি যে মুখ্যমন্ত্রীর ইসলাম ধর্মের ঐতিহ্যের ব্যাপারে ফতোয়া বিষয়ে কোন অধিকারই নেই।”
এর পরেই তাঁর মন্তব্য,”বঙ্গবন্ধু দুই বাংলারই সম্পদ ঠিক আছে।তাই বলে এই নয় যে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি তৈরি করে তাঁকে মাল্যদান করে সন্মান দিতে হবে। মুসলমানরা কিভাবে বঙ্গবন্ধু কে সন্মান দেবে তাদের ধর্মীয় মতাদর্শের নিরিখে দাঁড়িয়ে,সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। মুখমন্ত্রীর কোন অধিকারই নেই যে মূর্তি তৈরি করে তাঁকে সন্মান দিতে মুসলিমদেরকে নির্দেশ দিতে পারেন বা উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।”
কামরুজ্জামান সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন,”আমরা চ্যালেঞ্জের সাথে জানাচ্ছি যে,মূর্তি যেহেতু ইসলাম মতাদর্শের পরিপন্থী আর যে যেকোন মূল্যে এই মূর্তি সরাতে হবে।আর এই মূর্তি সরানোর দাবিতে ন্যায্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃহত্তর আন্দোলন করতে আমরা প্রস্তুত । মুখমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকলে আমাদের আন্দোলন কে প্রতিহত করুক। কেননা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার আমার দেশের সংবিধান দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অধিকারের পরোয়া আমরা করিনা। এই আন্দোলন এ সমস্ত মুসলিম এক হবেন। দেশের ১০০শতাংশ ধর্মীয় মুসলিমদের একমত যে ইসলাম ধর্মের মূর্তির যেহেতু কোন রকম অবকাশ নেই ফলে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি তৈরি করে রাখা এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়।”তিনি গোটা দেশের উদাহরণ টেনে বলেন,” এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত যে দেশের কোন মুসলিম প্রতিষ্ঠানে সে আলীগড় থেকে আলিয়া মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠানেই কোন কোন মনীষীর মূর্তি তৈরি করে তাঁকে সন্মান দেওয়া,তাঁকে মাল্য দান করতে হয়নি । এমন কী আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালযের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহাম্মেদকেউ সন্মান দেওয়ার জন্য আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালযের কর্তৃপক্ষ বা ছাত্র ছাত্রীদের মূর্তি তৈরি করতে হয়নি। পশ্চিমবাংলায় বঙ্গবন্ধুর সম্মান দেওয়ার মূর্তি তৈরি একমাত্র পথ আর মুর্তিতেই একমাত্র মাল্যদান করে সম্মানের রাস্তা এটা আমরা মনে করি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩