somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিনা জাহান প্রিয়া
আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

ধর্ষণকে অপরাধই মনে করে না সাফাত। ওরা সব পার্টতেই ধর্ষণ করে থাকে।

১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হায় সেলুকাস, বনানীর উচু সমাজে বেড়ে উঠা ধর্ষক সাফাত আহমেদরা জানেইনা যে, ধর্ষণ কোন অপরাধ।
ধর্ষণকে অপরাধই মনে করে না সাফাত। ওরা সব পার্টতেই ধর্ষণ করে থাকে।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যে অপরাধ, তা জানে না বলে দাবি করেছে সাফাত আহমেদ। তার ভাষ্য, তারা ‘মেয়ে বন্ধুদের’ সঙ্গে প্রায়ই পার্টিতে ‘এমনটা’ করে থাকে। জন্মদিনের পার্টির এই ঘটনা যে এত বড় হতে পারে, তা তার ধারণাতেই ছিল না। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অকপটে দুই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথাও স্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাদের ভাষ্য, ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হিসেবে সাফাত উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করতো। অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তার স্বাভাবিক বলেই মনে হতো।
জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান,সাফাত ও সাদমান স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই সকল কিছু স্বীকার করে। তাদের প্রশ্ন করা হয়,তোমরা পালিয়ে ছিলে কেন? জবাবে সাফাত জানায়,পুলিশ তাদের খুঁজছে এমন খবর পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। পুলিশ কেন খুঁজছে জানতে চাইলে তারা বলে,এই বিষয়টিই তারা বুঝতে পারছে না।তারা দুই তরুণীর অভিযোগকে ধর্ষণ বলে মনেই করছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সাফাত ও সাদমানরা এমন পরিবেশে বড় হয়েছে যে, তাদের কাছে ‘ধর্ষণ’ কোনও বড় বিষয় নয়।তাদের অনেক মেয়েবন্ধু রয়েছে এবং তাদের ভাষায় মাঝেমধ্যেই মেয়েবন্ধুদের সঙ্গে তারা ‘আনন্দ-ফূর্তি’ করে।
পুলিশের আরেকজন কর্মকর্তা জানান, সাফাতের জন্মদিন উপলক্ষে তারা সেইরাতে গভীররাত পর্যন্ত মদ্যপান করে বলে জানিয়েছে। দুই তরুণীর সঙ্গে সম্মতিক্রমেই মিলিত হয়েছিল বলে সাফাত ও সাদমানের দাবি। পরবর্তীতে কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তা তারা বুঝতে পারছে না। এমনটি হওয়ার কথা ছিল না বলেও জানায় সাফাত ও সাদমান।
দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে সহায়তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার সদস্য ডিসি- ডিবি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথা স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য জানার জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।’ রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক কিছু বের হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চার জন একসঙ্গেই ছিল, নাঈম পালিয়ে যায়
আলোচিত এই ধর্ষণের মামলা দায়েরের পর থেকে পাঁচ আসামির একজন নাঈম আশরাফ পালিয়ে যায়। আর সাফাত, সাদমান, গাড়িচালক বেল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ একসঙ্গেই ছিল। মামলা দায়ের হওয়া পর্যন্ত বাড়িতেই ছিল তারা। তবে মামলা দায়েরের পরপরই চার জন একসঙ্গে চলে যায় গাজীপুরে। সেখানে একরাত থাকার পর যায় নরসিংদী। তারপর নরসিংদী থেকে সিলেটের মামা বাড়িতে যায়। সাফাতের একজন মামা তাদের আত্মগোপনে রাখার জন্য সব ধরনের সহায়তা করে। গ্রেফতার হওয়ার দুই দিন আগে বডিগার্ড আজাদ ও গাড়িচালক বেল্লাল আলাদা হয়ে যায় সাফাত-সাদমানের কাছ থেকে। পুরো সময়টাতেই তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়িও ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সাফাত।
আলোচিত এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। বিস্তারিত জানতেই তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তারা কোথায় ছিল, কারা তাদের আশ্রয়দাতা সবকিছুই জানার চেষ্টা চলছে।’
যেভাবে গ্রেফতার হলো সাফাত ও সাদমান
গ্রেফতার অভিযানে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, মামলা দায়েরের পরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয় পাঁচ আসামি। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ও পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখার একটি দল তাদের মোবাইলের কল ডিটেইলস রেকর্ড সংগ্রহ করে সব আত্মীয়-স্বজনদের ফোনে আড়ি পাতে। এতেই অপর একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে সাফাতের এক মামার সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রযুক্তিগত এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে তিন দিন আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সিলেট এলাকার একটি বাড়িতে অভিযানও চালায়। কিন্তু অভিযানের ১০ মিনিট আগে ওই বাসা থেকে চলে যায় সাফাত ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে আরও অনুসন্ধান শেষে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে সিলেট নগরীর মদিনা কমপ্লেক্স এলাকার রশীদ ভিলা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাফাত ও সাদমানকে।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলার এক নম্বার আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে সাফাতের ছয় দিন ও সাদমানের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২১
১২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×