somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডেভিস ফল(কাঠমুন্ডুর পথে)-পর্ব ১০

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ শুরু হয়েছে। এখানে বাড়িঘর গুলো মাটি থেকে একটু উচুতে কাঠ বাঁশ কিংবা কংক্রিটের থামের উপরে তবে বেশীর ভাগ বাড়ির মুল কাঠামোই বাশ আর কাঠ থেকে তৈরি।
কেন এরা উচুতে বাড়ি করে আমার বোধগম্য হলনা? বন্য জন্তু কিংবা বন্যার জন্যই হবে।
মাঠে-ঘাটে কাজ করা ছেলে বুড়ো প্রায় সবারই পরনে টি-শার্ট আর হাফ প্যান্ট। এ পোষাকে সবাইকে বেশ স্মার্ট লাগে। মেয়েদেরর পরনে রঙ্গিন শাড়ি নাহলে ব্লাউজ কিংবা টপস আর ঘাঘরা বা লং স্কার্ট- সেলোয়ার কামিজ পরা মেয়েদের সবচেয়ে প্রিয়রঙ মনে হল গোলাপী! প্রায় সবার গায়েই এই রঙের পোষাক। পুরুষ মহিলারা কাঁধে কাধ মিলিয়ে মাঠে কাজ করছে। অবশ্য সব পাহাড়ী অঞ্চলেই দেখা যায় চাষা-বাষ থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই ছেলেদের থেকে মেয়েদের অবদান বেশী। শুধু প্রশাসনটা হাতে নিয়ে ছেলেরা ছড়ি ঘোরায়।
পাশে বসা সেই মেয়েটা আচমকা উদ্বিগ্ন কন্ঠে ঘাড় ঘুড়িয়ে পিছনের বয়স্কা মহিলাকে কিছু বলতেই তাকে যেন কেমন বিচলিত মনে হল পরক্ষনেই দুর্ঘটনা কোলে বসা ছেলেটা আচমকা হড় হড়িয়ে বাসের প্যাসেজে বমি করল! বুদ্ধি করে অতি দ্রুত হাতে আমার ট্রাভেল ব্যাগ সরিয়ে নেয়ায় দুগন্ধযুক্ত তরলের ছিটেফোটা স্পর্শ করল মাত্র। আচমকা এমন অঘটনে মেয়েটা কিংকর্তব্যবিমুঢ়!! তার চাহনী আর শারিরিক অভিব্যাক্তই বলে দেয় যে সে এমন পরিস্থিতি একলা হাতে সামলে উঠতে অপারগ। আশ্চর্য হলাম তার পিছনে বসা মহিলার ভাবলেশহীন চেহারা দেখে। যাকে ওই মেয়েটার নেহায়েৎ আপনজন ভেবেছিলাম তিনি পুরো ব্যাপারটা আঁধবোজা চোখে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন মাত্র! পরিস্থিতি সামলানো তো দুরের কথা ওর সাহায্যের জন্য একটু হাত বাড়ালেন না পর্যন্ত! শুধু হাতে রাখা ব্যাগ হাতড়ে ছোট্ট একটা ছোট তোয়ালে মেয়েটার দিকে এগিয়ে দিয়ে তার কর্মসম্পাদন করলেন মাত্র।
ওদিকে এই পিচ্চির দেখাদেখি পাশে বসা অন্যজনও মোচড়াতে শুরু করেছে তারও হয়তো গা গুলোচ্ছে - এখুনি হয়তো তিনিও উগড়াবেন। দু’জনকে সামলাতে মেয়েটা দিশেহারা!
চোখের কোনে চেয়ে দেখি বমির এটা ক্ষীনধারা আমার ব্যাগের দিকে এগিয়ে আসছে। দ্রুত কাধের ঝোলানো ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে বমির উপর ফেলে দিয়ে জুতো দিয়ে চেপে ধরলাম । অন্য একটা টিস্যু মেয়েটার দিকে এগিয়ে দিতেই সে করুন চোখে একনজর চেয়ে হাতে ধরা তোয়ালে দেখিয়ে মৃদু কন্ঠে ধন্যবাদ দিয়ে আমার সাহায্য সবিনয়ে প্রত্যাখান করল। তবে আমার অপ্রত্যাশিত সাহায্যের প্রস্তাবে সে-যে কিছুটা বিস্মিত ও অভিভুত সে তার চেহারা দেখেই এক লহমায় বুঝে গেলাম।
ভ্রমন জনিত ক্লান্তি আর বমির ধকলে পিচ্চি দুটোই ক্লান্ত ততক্ষনে নেতিয়ে পড়েছে - বোধ হয় ঘুমিয়ে গেছে? তবে মেয়েটার কোলের উপর যেভাবে লেপ্টে ধরে শুয়ে আছে আর সে পরম মমতা ভরে তাদের বুকে আলগে অতি যত্নে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে তাতে সন্দেহ হয় এদুটো তারই সন্তান কিনা? কিন্তু কিভাবে সম্ভব? মাহমুদকে গুতো দিয়ে বিস্ময়ে শুধালাম -এই বয়সে দু দুটো সন্তানের মা?
- হতে পারে ভাই -বলা যায়না!
-হ্যালো! শুনতে পাচ্ছ?আমি মেয়েটার দৃস্টি আকর্ষন করলাম।
সে আমার দিকে তাকাতেই বললাম, ‘আমার কাছে বমি নিধোরক ট্যাবলেট আছে-প্রয়োজন হলে নিতে পার।
- না ধন্যবাদ। এখন আর দরকার নেই।’ এবারও বিনীত ভাবে প্রত্যাখান।
ধ্যাৎ আমার কি দায় পড়েছে গায়ে পড়ে উপকার করার? এই ভেবে বাসের সিটে শরিরটাকে এলিয়ে দিয়ে চোখ বুজলাম।
-‘ শুনতে পাচ্ছেন?’ মেয়েলি কন্ঠে তন্দ্রা ছুটে গেল।
চোখ মেলে দেখি মেয়েটা কৌতুহলের দৃস্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে ।
-এখানে বাস থেকে নামতে হবে। সামনে আর্মি চেক পোস্ট -পুরো বাস তল্লাশী হবে।
ধড়মড়িয়ে উঠে বসে তাকে ধন্যবাদ দিলাম ঘুম থেকে ডেকে তোলার জন্য। প্রতিউত্তরে সে মৃদু হেসে ঘাড় ঘুড়িয়ে ধীরে ধীরে বাস থেকে নেমে গেল। মাহমুদকে ঘুম থেকে তুলে ব্যাগখানা কাধে তুলে বাস থেকে নামলাম।
নামতেই দেখি বাচ্চা দুটোকে সাথে করে সে দাড়িয়ে আছে। চোখাচোখি হতেই একটু হাসল। আমি তার একটু কাছে গিয়ে শুধালাম, -চেক পোস্ট কোনদিকে?’ গুরুত্বহীন প্রশ্ন। আমি জানি চেক পোস্ট সামনেই হবে তবুও কথা বলা শুরু করার জন্যই এ প্রশ্নটা করা।
সে হাত উচিয়ে দেখিয়ে দিল -ওদিকে।
-‘ও।’ আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে একনজর দেখেই ফের তার মুখের উপর দৃষ্টি ফেলে পিচ্চি দুজনের দিকে ইশারা করে জিজ্ঞেস করলাম -‘এরা দুজন তোমার কি হয়?’
-‘ ডটার ।
-‘ হো-য়াট ? ইজ ইট ... ?’ আমি অবাক কন্ঠে প্রশ্নটা শেষ করার আগেই -সে তার ভুল বুঝতে পেরে চোখ মুখ লাল করে অধবোদন হয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে বলল -‘ নো নো সরি। দ্য আর মাই ব্রাদার’স।’ এতবড় ভুল করে স্বভাবতই ভীষন লজ্জা পেয়েছিল - আমার দিকে চোখ তুলে তাকাতেই তার যেন সংকোচ হচ্ছিল!
আমি আর লজ্জার গুরুভার না বাড়িয়ে স্মিত হেসে -ধন্যবাদ জানিয়ে সেখান থেকে কেটে পরলাম।

চেকিং হচ্ছে শুধু পুরুষদেরই মেয়েদের নয়। ছেলে বুড়োরা সব নিজ নিজ মাল সামানা কাধে করে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে আছে। ভারি অস্ত্রে সজ্জিত দুজন মিলিটারি পুলিশ একে একে সবাইকে তল্লাশী করছে। তল্পিতল্পা থেকে দেহ তল্লাশী কোনটাই বাদ যাচ্ছেনা। তবু কেন যেন মনে হল তারা অসম্ভব দ্রুত গতিতে চেকিং পর্ব সারছিল।
আমাদের পর্ব আসতেই আমরা দুজন- আর্মি অফিসারের সামনে পাসপোর্টটা বের করে -‘বাংলাদেশী ’বলতেই -চেহারার দিকে তাকিয়ে সামান্য এটু হেসে হালকা নড করে সামনে এগুতে বলল।
‘ ব্যাগ চেকের প্রয়োজন নেই?’ আমি একটু অবাক কন্ঠেই প্রশ্নটা করলাম?
‘জ্বী-না , আপনারা গিয়ে বাসে বসুন।’ অফিসার কথাটা বলেই লাইনের পরবর্তী জনকে তল্লাশী করতে শুরু করলেন।
বাংলাদেশী হিসেবে এতটুকু সন্মান পেয়েই আমারা যে বেশ অভিভুত হয়েছিলাম সন্দেহ নেই।
এরপরে পথে আরো কয়েক জায়গায় সেনাবাহিণী তল্লাশী করেছে- আমরা প্রতিবারই কষ্ট করে ব্যাগ না টেনে বাস থেকে নেমে শুধু পাসপোর্ট দেখিয়ে তল্লাশী এড়িয়ে সবার সামনে অহংকারী ভঙ্গীতে গট গট করে হেটে ফের বাসে উঠেছি।
বাসে উঠে মেয়েটার দিকে চোখ পড়তেই সে লাজুক হেসে চোখ নামিয়ে নিল -আমিও তাকে কিছু না বলে সিটের অন্যপ্রান্তে গিয়ে বসলাম।
ঘন্টা খানেক পরেই দ্বীতিয় দফা বাস থেকে নামতে হল । এবারও চেক পোস্ট। তবে আগের থেকে ভীড় এখানে অনেক বেশী। চারিদিকে তাকিয়ে দেখ মনে হোল বাস টার্মিনাল। পাশের বিশাল চত্বরে অনেকগুলো বাস এলোপাথারি দাড়িয়ে আছে । যাত্রী তখনও গুটি কতক নেমেছে মাত্র -কাউকে কিছু না বলে আচমকা বাস ছেড়ে দিল। বাস থেকে নেমে আমি হাত পাচেক দুরেই দাড়িয়ে ছিলাম। বড় দু লম্ফ মেরে রেলিংটা জাপটে ধরে পাদানিতে পা ঠেকিয়ে, রাগত স্বরে কন্ট্রাকটারকে জিজ্ঞেস করলাম - এভাবে ছাড়লে কেন?
কন্ট্রাকটার একখানা হাই তুলে নিরস কন্ঠে বলল,- বাসের চেকিং শেষ - টার্মিনালটা ঘুরে সামনে গিয়ে দাড়াবে।
তখুনি আমার নজর গেল বাইরের দিকে । তাকিয়ে দেখি -সেই মেয়েটা অন্যমনস্ক ভাবে কি যেন কিনছিল - আচমকা এদিকে তাকিয়ে দেখে বাস ছেড়ে চলে যাচ্ছে - এমন পরিস্থিতিতে তার কি করা উচিত ভেবে উঠতে উঠতে ধুলো উড়িয়ে বাস এগিয়ে গেল অনেকটা দুরে তার নাগালের বাইরে। ওহ্ তার সেই কি করুন বিহ্বল হতবাক দৃষ্টি- সে হয়তো ভেবেছে বাস তাকে ফেলেই চলে গেল ! একনেত্রে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। মনে হয় কিছুটা রাগ ও ঘৃনাও মিশ্রিত ছিল সেই চাহনীতে। ভাবছিল হয়তো -কি অকৃতজ্ঞ আমি।*
তার মনোভাব বুঝে আমি একটু হেসে দুর থেকে শুধু হাত ইশারা করে বললাম সামনে এগিয়ে আসতে। ওদিকে ভিতর থেকে তার স্বজনেরা চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে ! ভাষা বুঝতে না পারলেও ভাব ভঙ্গীতে আঁচ করা যায়অ্যা-তারাও ভেবেছে হয়তো, মেয়েকে এখানে ফেলে রেখেই বাস চলে যাচ্ছে।
অগত্যা কন্ট্রাকটার এগিয়ে গিয়ে তাদের আশ্বস্ত করল।
বাসটা থামতেই আমি নেমে গিয়ে উল্টো দিকে এগিয়ে গেলাম -যে পথ দিয়ে মেয়েটা আসবে। উদ্দেশ্য তাকে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করা -কেন আমি তাকে তখন ডেকে বাসে তুলিনি?
কিছুক্ষন বাদে দেখি ধুলোর পাতলা মেঘ সরিয়ে সে এগিয়ে আসছে। তার রক্তহীন গম্ভীর ফ্যাকাসে মুখের দিকে তাকিয়েই আমি দমে গেলাম। তবুও কাছে আসতেই তাকে বললাম -‘ সরি ! তুমি ভয় পেয়েছিলে? আমি জানতাম যে এখানে বাস থামবে।
প্রতিউত্তরে সে শুধু ফ্যাকাসে মুখে আমার দিকে একবার তাকিয়ে নিরস কন্ঠে –‘ধন্যবাদ’ ’ জানিয়ে সামনে এগিয়ে গেল!
ফের মনে হয় ঘুমিয়ে পরেছিলাম । কেউ যেন আমাকে টোকা মেরে জাগিয়ে দিল। ঘোলা দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে চমকে গেলাম। অবিশ্বাস্য! এত দ্রুত দৃশ্যপট এভাবে বদলে যাবে ভাবতে পারিনি। কি অদ্ভুত দুর্দান্ত ভয়ংকর নৈসর্গিক দৃশ্য। এমন দৃশ্য বহুবার টিভিতে ছবিতে কিংবা সপ্নে দেখেছি কিন্তু এত কাছে থেকে জীবন্ত দেখিনি।
একপাশে রাস্তা ঘেষে যতদুর দৃস্টি যায় উচু নিচু সারি সারি গাঢ় সবুজ পাহাড় আর অন্যদিকে গভীর খাদে চঞ্চল গতির দ্রুপদী নৃত্যের ভঙ্গীতে ছোট বড় পাথরের বুকে সদম্ভে আঘাত করে ফেনিল উচ্ছাসে এগিয়ে চলেছে নীলা পাথরের রঙ্গে রাঙ্গানো খড়স্রোতা পাহাড়ী নদী। নদীর বিস্তার যেখানে শেষ তার খাড়া পাড় ঘেষে ঢেউ খেলে এগিয়ে গেছে বহুদুর বিস্তৃত পাহাড়ের সারি - সেই পাহাড়ের গন্ড বেয়ে অশ্রুর মত অদ্ভুদ নৃত্যের ছন্দে শুভ্র ফেনিল রঙ্গে ঝির ঝির শব্দে নেমে আসছে শত সহস্র ঝর্ণা। নদীর বুকে আত্মাহুতি দিয়েই যেন তাদের শান্তি! রাস্তাটা এত সমতল আর মসৃন যে,ভ্রম হয় আমরা হয়তো কোন সমতল ভুমি দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি আর দুপাশের দৃশ্যও অলিক কিংবা রুপালী পর্দায় চলচ্চিত্রায়িত কোন দৃশ্য। নদীটা কোথাও ক্ষীন কোথাও অনেকটা চওড়া -কোথাও এত গভীরে যে ঘাড় উচিয়ে দেখতে হয় কোথাওবা বেশ কাছে মনে হয় দৌড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি।
এসব নদীতেই সাহসী রাফটাররা রাফটিং করে। এমন দৃশ্য দেখে মুহুর্তেই ঘুম আর ক্লান্তি উধাও! দুচোখ দিয়ে গিলে যতদুর পারি মেমোরিতে রেখে দিচ্ছি পরে অবসর মত দেখে নিব।
কিন্তু তখন কি জানতাম এপথ সহজে শেষ হবার নয়। অতিরিক্ত সৌন্দর্যও যে বেশী দর্শনে ক্লান্তি আসে তা আমি এই ভ্রমনে উপলদ্ধি করেছি।
ঘন্টা খানেক পরে আমরা সিট পাল্টালাম। পাশে বসা মেয়েটা দেখি ভাই দুজনকে পিছনে পাঠিয়ে দিয়ে বোনকে কাছে বসিয়ে গল্পে মশগুল। কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে কিছুক্ষনের জন্য ক্ষান্ত দিয়ে আমার দিকে ফিরে তাকাল - চোখে চোখ পরতেই সামান্য ভদ্রতার হাসি। যাক বরফ তাহলে গলেছে। আড় চোখে পিছন দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মা চোখ বুজে ঘুমাচ্ছে।
‘ ও কে? তোমার বোন ?
‘হ্যা।’ বলেই বোনের একহাত জাপটে ধরে কন্ঠে সোহাগ এনে বলল-‘ শুধু আমার বোনই নয় - আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র।
তার বোন তখুনি সামনের দিকে একটুখানি ঝুকে আমার দিকে তাকাল।‘
‘হাই ! আমি তপন। নাইস টু মিট ইউ ।
প্রতিউত্তরে সে শুধু একটু হাসি ছুড়ে দিল । ভাবলাম সে হয়তো ইংরেজী বোঝেনা । এবার একেই জিজ্ঞেস করলাম -‘ তোমার নামটা কি ?’
-নিমা, নিমা লামা ।’ ছোট্ট করে উত্তর ।
-তুমি কি নেপালী ?
-হ্যা। তুমি কি সন্দিহান ?
-না অনেক ভারতীয়দের চেহারাও তোমাদের মতন। নেপালে কোথায় থাকো?
-কাঠমুন্ডুতে ।
-তা ভারতে গিয়েছিলে কেন বেড়াতে ?
-না আমি সিকিমে পড়াশুনা করি -পরিক্ষা শেষে ছুটিতে দেশে বেড়াতে যাচ্ছি।
-সাবজেক্ট কি?
-হিউম্যানিটিজ।
ও! কদ্দিনের ছুটি?
-দু- মাসের। তুমি নেপালে এসেছ কেন?
-বেড়াতে ।
- সিকিমে গিয়েছ কখনো ?
- না। শুনেছি খুব সুন্দর। ফেরার পথে যাব ভাবছি।
- তাই !‘ এবার সে যেন একটু নড়ে চড়ে বসল।‘-সিকিম নেপাল থেকে অনেক অনেক বেশী সুন্দর। পারলে একবার অবশ্যই সেখানে যেও।
- হ্যা চেষ্টা করব। তুমি থাকলে ভাল হত। ভাল ভাল স্পটগুলো ঘুরিয়ে দেখাতে।’
প্রতিউত্তরে সে শুধু একটু মুখ বেকিয়ে হাসল!
১০ম পর্ব শেষ
আগের পর্বের জন্য;
http://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/30170798
প্রথম পর্বের জন্য ক্লিক করুণ;
http://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/29983165
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×