somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশী ছায়াছবি’র প্রোটেকশন

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশী ছায়াছবি’র প্রোটেকশনের জন্য অনেক ডিরেক্টর, প্রযোজক কথা বলছে। অনেক ডিরেক্টর, প্রযোজক বিদেশী বা ভারতীয় ছবি আমদানীর বিপক্ষে কথা বলছে। এখন কিছু কথাঃ

সম্ভবত ১৯৬৫ সালে এখানে ভারতীয় ছবি আমদানীর বিপরীতে একটি আইন করা হয়। যে আইনে ভারতীয় ছবি আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ এক কথায় উত্তম কুমার – সুচিত্রা সেনের ছবি দেখা থেকে বঞ্চিত হয়। স্বাধীনতা এলো। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হলো। সেই আইন সেই আইনই রইলো। কালের বিবর্তনে কি হলো? মানুষ কি ভারতীয় ছবি দেখা বন্ধ করলো? অথবা হলিউডের ছবি দেখা বন্ধ করলো? নাকি বাংলাদেশের মুভির মান ভাল হলো? (হাতে গোনা কয়েকটা ছবি ছাড়া।)

বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি আজকে বলতে গেলে নাই। শিল্পীরা আছে কোন মতে (গুটিবাজ শিল্পীরা বাদে, এরা আমার মতে কোন শিল্পীই না, সব ধান্দাবাজ)। অথচ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের ব্যান্ড কত খানি আগানো ছিল জানেন? প্রথমসারিতে ছিল বাংলাদেশের ব্যান্ড দলগুলো। এর থেকে বড় বড় শিল্পীদের কথা বাদই দিলাম। এই ক্ষেত্রেও যদি প্রোটেকশনের কথা ওঠে? বাংলাদেশের গান বাদে বাইরের গান কেউ শুনবে না। তাহলে? লাভ কার? শিক্ষা বাড়বে না কমবে?

বাংলাদেশের লেখকদের কথা যদি বলা হয়, তারাও যদি প্রোটেকশনের কথা বলে? বাংলাদেশে কোন বিদেশী লেখকের বই আসবে না। বাংলাদেশের লেখকরা যা লিখবে তাই পড়তে হবে। কি হবে তাহলে? জ্ঞান বাড়বে না কমবে?

১৯৬৫ সালে থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতীয় বা বিদেশী ছবি আমদানী করা হয় নি। দেশের ছবির মান ধরে রাখা ছিল এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। লাভ কি হয়েছে? “ব্যাচেলর” ছবি রিলিজ হওয়ার আগ পর্যন্ত কি দিনকে দিন বাংলাদেশের ছবির মান নিম্নমুখী ছিল না? একটা একটা আটার বস্তা ময়দার বস্তা দিয়ে ছবি বানানো হয়নি? যেখানে অভিনয় বা কাহিনীর কোন ঘ্রাণ পর্যন্ত ছিল না। রিক্সাওয়ালা ছাড়া বা এক টিকিটে দুই ছবি দেখার দর্শক ছাড়া কয়জন মানুষ সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখেছে ঐ সময়টায়? কিছু ভালো দর্শক তো হতে পারতো ওদের মধ্যে থেকে। যারা ভাল মানের ছবি দেখতে না পেরে যা তা দেখতে গেল শুধুমাত্র তার একটু মেন্টাল এনটারমেইন্ট দরকার তাই। পড়ে সে অভ্যস্ত হয়ে গেল। দোষটা কার তাহলে? (আমি বলছি না রিক্সাওয়ালারা বা গরীব মানুষরা বাজে দর্শক বা তারা বাজে ছায়াছবি দেখতে চায়, আমি বলতে চাই অনেক সময় নিজের বানানো ছায়াছবির জন্য দর্শক বানিয়ে নিতে হয়।)

মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী’র “ব্যাচেলর” ছবিটা একটা সময়কে সম্পূর্নভাবে মাথা তুলে দেখতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু তারপর কি হল? “মেইড ইন বাংলাদেশ” “থার্ড পারসন সিঙগুলার নাম্বার” “টেলিভিশনে”
কি দিল মানুষকে জানিনা। কিন্তু আমাকে কোন কিছু বা কোন ম্যাসেজ দিতে পারে নাই। রেওদয়ান রনি’র
বানানো নাটক দেখে কখনওই ভাল লাগে নাই। আজাইরা প্যানাপ্যানী মনে হয়েছে। কিন্তু “চোরাবালী” ভাল একটা কাজ হয়েছে। বাংলাদেশের ছায়াছবি’র জগতে অনেক নতুন কিছু দেখাতে পেরেছে। ইফতেখার আহমেদ ফাহমী’র কাজ ভাল লাগে। মেকিং বেশ ভাল। ওর “আমি হিমু হতে চাই” নাটকটা ৩-৪ বার দেখেছিলাম। অপেক্ষায় আছি “টু বি কন্টিনিউড” দেখার।

এত কথা বলার কারণ ভাল কিছু হলে মানুষকে ডেকে হলে নিতে হবে না। মানুষ এমনিতেই যাবে। আরাম আর তৃপ্তি নিয়েই দেখবে। কাজ ভাল হলে কোন প্রোটেকশনের দরকার হবে না। প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে টিকবে আর না হলে নাই। আর প্রতিযোগিতা না থাকলে তো হবেনা। এতে যা মন চায় তাই খাওয়ানোর সুযোগ থাকে। মান ভাল করার মনোযোগ অন্য দিকে চলে যায়।
মানুষের সামনে খাবার আইটেম ২-৩ রকমের থাকলে ভালটা বেছে খায়। আর যদি আইটেম একটি থাকে তাহলে সে যা থাকে তাই খায়। মানে বাধ্য হয়। ভাল যে কোন কিছু গ্রহণ করা মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ আমাকে ভারতীয় ছবির দালাল ভেবে নিজেকে আহাম্মক হিসেবে পরিচয় দিবেন না। তবে আমার ভাল কাজকে ভাল বলার সাহস আছে। যেটা ভাল সেটাকে ভাল বলবো সেটা যে দেশেরই হোক। শুধু পাকিস্তান বাদে, রুচি নাই।
** আর এখন সবার কাছেই মোটামোটি ইন্টারনেট সংযোগ আছে। ভাল কিছু তাদের দিতে না পারলে বা দেখাতে না পারলে মানুষ ভাল কিছু খুঁজে নিতে জানে। ইন্টারনেটে কোন প্রোটেকশন নেই।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×