তীক্ষ্ণ শকুনের মতো চোখ আমার,
খাঁবলে খেতে চাই নারীদেহের রস ভাণ্ডার।
প্রতিনিয়ত এ চোখ,
নারী দেখা যার ঝোঁক; বলে,
আহ! কী দারূণ ওষ্ঠ তার, কী দারূণ বক্ষ
কী দারূণ কটি তার, কী দারূণ নিতম্ব।
বর্ষবরণ কিম্বা অন্য কোন ভীড়ে
যখন সৃষ্টি হয় সম্পর্কের বন্ধন,
আমি দুষ্টু ছেলে ছুঁয়ে দিই
শাড়ি পরিহিত নারীর পীঠ, আবার কখনো স্তন।
দু হাত করে নিশপিশ, অন্তরালে কল্পনা
বাহু বন্ধনে আকড়ে ধরি বামা তা জানলোনা।
আমি পতি, পতিতার ঘর থেকে ফিরি ঘরে
সতী পত্নীকে করি সন্দেহ, বলি তুই নষ্ট মেয়ে।
পাশের বাড়ির ভাবি কিম্বা ফুফু খালাও
আমার চোখের নষ্টামিতে পায় না রেহাই তারাও।
পরিবার যখন অনুপস্থিত, বাড়িটা রয়েছে ফাঁকা
কাম যাতনায় ভাবনা তখন গৃহপরিচারিক।
আমি মানুষ গড়ার কারিগর, শিক্ষকতা আমার পেশা
সাদা চামড়ার অধিকারিনী ছাত্রীর, ন্যাকামী শোনা আমার নেশা।
শ্রেণীকক্ষের বাইরে এসে ঢঙে ঢঙে করে তৃপ্ত
এ প্লাস দিতে ছাত্রীকে তাই মোটেই হই না ক্ষীপ্ত।
আমি অফিসের বস, আমার পি এস বামা
প্রমোশন আর বেতন বৃদ্ধিতে হবে, দৈহিক লেনাদেনা।
আমি একজন ক্ষুদ্র কিম্বা বৃহৎ দোকানদার
অগ্রে থাকবে আমার কাছে নারী খরিদ্দার।
আমি একজন রিক্সা কিম্বা ট্যাক্সি চালক
প্রাধান্য পাবে বালিক নহে কভু বালক।
আমি একজন মাঝবয়সি কিম্বা মুরুব্বি লোক
তরুণী দেখলে বাসনা জাগে করতে মধুর ভোগ।
ভুলে যায় মা মেয়ে বোন, হারিয়ে ফেলি হুঁশ
আমি এই সমাজের একজন পুরুষ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




