ভার্সিটি'তে আজ তেমন ইম্পরট্যান্ট কোনো ক্লাস নেই। ক্যাম্পাসে বসে সজীব তার প্রেমিকা রুপা'কে নিয়ে গল্প করছিল। পকেটে তেমন টাকাও নেই থাকলে রুপা'কে নিয়ে ভাল কোনো রেস্তোরা'য় বসে একটা মধুর সময় কাটানো যেতো। লোকজন যে কেন টিউশনি'র টাকাগুলো দিতে এতো ঝামেলা করে সেটাই তার বুঝে আসে না। মায়ের কাছে তো আর প্রতিদিন টাকাও চাইতে পারে না। আর চাইলেই বা দিতে যাবেন কেন? বাবা মারা যাবার পর থেকে এই তাকে মানুষ করার জন্য নিজের সবই কোরবান করেছেন মহিলা। হঠাৎ রুপা ধাক্কা দেয় সজীব'কে, "এই কার কথা ভাবছ?" ঘোর কাটে সজীবের।
.
সজীব প্রেমিকা'র প্রশংসা করতে করতে বলল, "যতো দূরে যাই, তোমার শ্যামবর্ণ মুখের মায়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হই। তোমার ঠোট, তোমার চোঁখের তুলনায় তুমি অদ্বিতীয়।" কথা থামিয়ে দিয়ে রুপা বলে, "থাক থাক, আর পাম মারতে হপে না মশাই, আমার তাড়া আছে, ইউ'কে থেকে বাবা আসছেন রিসিভ করতে হবে, আজকের মতো বা'বায়।" (Bye)
.
বাসায় ফেরার পর মা আদর করে ভোজনব্যবস্থা করলেন।
শুটকি'র ভর্তা আর মশুর ডাল। ভ্রু কুচকায় সজীব। কপালে পরে তার।ভাবে সারাজীবনই কি এসব খেয়ে কাটাতে হবে? চিন্তার ইস্তফা দেয়। পেট পুরে যাচ্ছে। মা কয়েক'টা হাস-মুরগী'কে খাওয়াচ্ছেন বাইরে। সজীব খাওয়া শুরু করে।
কিছুক্ষণ খাওয়ার পর ডাক পরল, "মা, মা"
মা হতভম্ব হয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, "কি হয়েছে বাবা?"
অতঃপর, চোঁখ-মুখ লাল করে সজীব বলল, "এটা কি?"
সাথে সাথেই হনহনিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া।
প্লেটে একটা চুল পড়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১