আরিফ জেবতিক প্লিজ স্বরুপে ফিরে আসুন। এভাবে চলে যাবেন না।
সময় ও স্রোত কালের আবর্তনে চলে যায়। কখনও এদেরকে ফিরে পাওয়া যায়না। কিন্তু কালজয়ী কোন ঘটনা মানুষের মনে মনে ফিরে চলে। তা কখনও শূণ্যে হারায় না, হারাতে পারেনা। আরিফ জেবতিক আপনার সত্য কথন, সৎ সাহস, জ্বালাময়ী পোস্ট সবসময় আমাদের মনকে নাড়া দেয়। আপনি এভাবে চলে যেতে পারেন না। প্লিজ আগের মতো করে ফিরে আসুন।
শিরোনাম বা ভূমিকায় হয়তো অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। অনেকেই হয়তো মনে করার চেষ্টা করছেন আরিফ জেবতিক কভে কখন শেষবারের মতো করে ব্লগে দেখেছে। বা সত্যি সত্যি কি আরিফ জেবতিক চলে গেলো?
সামহোয়ারইন ব্লগ সত্যিকার অর্থে এক রহস্যের আয়না হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই সাথে চলছে রকমারী খেলা।
তারই ধারাবাহিকতায় এখন চলছে মাঠ দখলের প্রচেষ্টা। আপনাদের মনে আছে নিশ্চয় হঠাৎ করে কিভাবে হাসিব ব্যান হলো। সাথে সাথে অনেক ব্লগাররা এর প্রতিবাদে পোস্ট দিয়ে জেনারেল হয়েছিলো। এইখানে একটা বিষয় উল্লেখ করার মতো হলো যে হাসিব নিজেকে এটিমের একজন বলিষ্ট মেম্বার বলে দাবি করে। কিন্তু যারা তার ব্যানের প্রতিবাদ করছে সবাই কিন্তু এটিমের মেম্বারা না। অনেকেই এটিমকে পছন্দই করেনা। কিন্তু প্রশ্ন হলো তাহলে তারা কেনো হাসিবের আনব্যান দাবি করেছে। কারন সবাই মোটামুটি এই ক্ষেত্রে একটা সমান্তরাল জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে অন্যায়কে কোনভাবেই প্রাতিষ্টানিক স্বীকৃতি দেওয়া উচিত না। আর বিশেষ করে হাসিবের ব্যান নিয়ে যে নাটকের সৃষ্টি হয়েছিলো তা অনেক সচেতন ব্লগারদেরই ক্ষুব্দ্র করেছে। যার ফলে আরিফ জেবতিকরাও এর প্রতিবাদে পোস্ট দিয়েছে। জেনারেল হয়েছে, ওয়াচ হয়েছে, কেউ কেউ ব্যানও খাইছে।
আরিফ জেবতিকের ব্যাপারটা ঐ সময় ব্লগ সংশ্লিষ্ট এবং স্রেলিব্রেটি ব্লগারদের অনেকেই ভালো চোখে নেয়নি। ফলে অনেকেই তার উপর বেশ ক্ষুব্দ্র ছিলো। তাছাড়া জেবতিকের "তোতামিয়া" সিরিজের উপর অনেকেই চরমভাবে নাকোশ ছিলো। উনার মিষ্টি মিষ্টি করে কঠিন কথাগুলো শেল হয়ে বেঁধেছিলো অনেকের বুকের উপর।
ইতিহাত ঘাটলে দেখা যায় আরিফ জেবতিকের সাথে ফিউশান ফাইভ, ত্রিভুজের কথা কাটা কাটি বেশ পুরোনো। ফিউশান ফাইভকে আমি বলতে দেখেছি আরিফ জেবতিককে আলিফ দেওয়ান কাগু বলতে। সুমন রহমানকে দেখেছি সেটার সাপোর্ট করতে। কারন কোন এক পোস্ট আলিফ দেওয়ান কাগু সুমন রহমানরে প্রায় ন্যাংটো করে ছেড়েছিলো। আমার আবার পোস্ট বা পোস্ট সংশ্লিষ্ট মন্তব্য ড্রাফট করে রাখতে ইচ্ছে করেনা।
তারপরও ঘটনার প্রাসঙ্কিকে কেউ যদি আমার পোস্টের কোন কিছুর প্রমাণ চান তাহলে হয়তো আবারো একদিন পুরা ব্লগ চষে বেড়াবো।
ফিউশান ফাইভকে আমি বেশ কিছু পোস্টে অযাচিত ভাবে দেখেছি ফটোশপের মেলোড্রামা দেখাতে। যার সর্বোচ্চ স্বীকার আরিফ জেবতিক। একটা পোস্টে দেখেছিলাম উনাকে পুরষ্কৃত করা হোক এই রকম আহবান সংবলিত একটা ফটোফিউশন।
আপনাদের অনেকেই মনে আছে হয়তো ব্লগ জীবনের শুরুতে একজন বিশিষ্ট ব্লগারের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। উনাকে অনেকেই খুব সমীহ করে। উনি নাকি কতৃপক্ষের খুব কাছের লোক। রেসিডেন্ট ভারখ্যাত ঐ ব্লগারের প্রতাপ আমিও দেখেছিলাম। উনার জন্য আমার আদি নিক সারাজীবনের ব্যান হয়ে গিয়েছে। সেইদিনই বুঝেছিলাম কি ভুল আমি করেছি। কি আমি হারিয়েছে। আমি হয়তো আর কখনও পর্দার সামনে আসবোনা। কারন যা হারিয়েছি তা কখনও ফিরে পাওয়া যায়না।
ইদানিং কালে রেসিডেন্ট ভাড়ের খুব কমেন্ট সংকট দেখা গিয়েছিলো। মাইনাসের পাল্লা এতই ভারী হয়েগিয়েছিলো যে কলিগও তা ঠেকাতে পারছিলোনা। ফলে উনার একটা গ্রুপ দরকার ছিলো। ফিউশানরা সেটা ক্রিয়েট করে দিয়েছে।
আসল কথা থেকে মনে হয় বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি। সব নষ্টের মূল কিন্তু আরিফ জেবতেকই। কি দরকার ছিলো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার? কি দরকার ছিলো সত্য কথাগুলো এইভাবে বলার? হাসিবের ব্যানের প্রতিবাদে এতো কিছু করার দরকার ছিলো? আপনার কি কমেন্ট সংকট পড়েছিলো? তাহলে ক্যান এতো হ্যারেজ করলেন? সবাইতো ভাবে আপনি যদি ঐদিন একাত্নতা ঘোষণা না করতেন তাহলে এতোসব ব্লগার এরকম নষ্টামি করতোনা।
নষ্টামি কথাটাতে অনেকেই চরম আপত্তি থাকতে পারে। আমি কিন্তু আমার কথায় অটল। এখন হলো তেলের দুনিয়া। তেলের জন্য কেমনে সবাই যুদ্ধ করে। সেইখানে তেলের বদলে মিয়া ত্যানা প্যাচানো বাঁশ দিবেন সেইটা নষ্টামিনাতো কি?