somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামহোয়ারনামা আধিপাত্য বিস্তারের একটি হীণ প্রকল্পে আর কতজন হারিয়ে যাবে?

১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আরিফ জেবতিক প্লিজ স্বরুপে ফিরে আসুন। এভাবে চলে যাবেন না।

সময় ও স্রোত কালের আবর্তনে চলে যায়। কখনও এদেরকে ফিরে পাওয়া যায়না। কিন্তু কালজয়ী কোন ঘটনা মানুষের মনে মনে ফিরে চলে। তা কখনও শূণ্যে হারায় না, হারাতে পারেনা। আরিফ জেবতিক আপনার সত্য কথন, সৎ সাহস, জ্বালাময়ী পোস্ট সবসময় আমাদের মনকে নাড়া দেয়। আপনি এভাবে চলে যেতে পারেন না। প্লিজ আগের মতো করে ফিরে আসুন।

শিরোনাম বা ভূমিকায় হয়তো অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। অনেকেই হয়তো মনে করার চেষ্টা করছেন আরিফ জেবতিক কভে কখন শেষবারের মতো করে ব্লগে দেখেছে। বা সত্যি সত্যি কি আরিফ জেবতিক চলে গেলো?

সামহোয়ারইন ব্লগ সত্যিকার অর্থে এক রহস্যের আয়না হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই সাথে চলছে রকমারী খেলা।

তারই ধারাবাহিকতায় এখন চলছে মাঠ দখলের প্রচেষ্টা। আপনাদের মনে আছে নিশ্চয় হঠাৎ করে কিভাবে হাসিব ব্যান হলো। সাথে সাথে অনেক ব্লগাররা এর প্রতিবাদে পোস্ট দিয়ে জেনারেল হয়েছিলো। এইখানে একটা বিষয় উল্লেখ করার মতো হলো যে হাসিব নিজেকে এটিমের একজন বলিষ্ট মেম্বার বলে দাবি করে। কিন্তু যারা তার ব্যানের প্রতিবাদ করছে সবাই কিন্তু এটিমের মেম্বারা না। অনেকেই এটিমকে পছন্দই করেনা। কিন্তু প্রশ্ন হলো তাহলে তারা কেনো হাসিবের আনব্যান দাবি করেছে। কারন সবাই মোটামুটি এই ক্ষেত্রে একটা সমান্তরাল জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে অন্যায়কে কোনভাবেই প্রাতিষ্টানিক স্বীকৃতি দেওয়া উচিত না। আর বিশেষ করে হাসিবের ব্যান নিয়ে যে নাটকের সৃষ্টি হয়েছিলো তা অনেক সচেতন ব্লগারদেরই ক্ষুব্দ্র করেছে। যার ফলে আরিফ জেবতিকরাও এর প্রতিবাদে পোস্ট দিয়েছে। জেনারেল হয়েছে, ওয়াচ হয়েছে, কেউ কেউ ব্যানও খাইছে।

আরিফ জেবতিকের ব্যাপারটা ঐ সময় ব্লগ সংশ্লিষ্ট এবং স্রেলিব্রেটি ব্লগারদের অনেকেই ভালো চোখে নেয়নি। ফলে অনেকেই তার উপর বেশ ক্ষুব্দ্র ছিলো। তাছাড়া জেবতিকের "তোতামিয়া" সিরিজের উপর অনেকেই চরমভাবে নাকোশ ছিলো। উনার মিষ্টি মিষ্টি করে কঠিন কথাগুলো শেল হয়ে বেঁধেছিলো অনেকের বুকের উপর।

ইতিহাত ঘাটলে দেখা যায় আরিফ জেবতিকের সাথে ফিউশান ফাইভ, ত্রিভুজের কথা কাটা কাটি বেশ পুরোনো। ফিউশান ফাইভকে আমি বলতে দেখেছি আরিফ জেবতিককে আলিফ দেওয়ান কাগু বলতে। সুমন রহমানকে দেখেছি সেটার সাপোর্ট করতে। কারন কোন এক পোস্ট আলিফ দেওয়ান কাগু সুমন রহমানরে প্রায় ন্যাংটো করে ছেড়েছিলো। আমার আবার পোস্ট বা পোস্ট সংশ্লিষ্ট মন্তব্য ড্রাফট করে রাখতে ইচ্ছে করেনা।
তারপরও ঘটনার প্রাসঙ্কিকে কেউ যদি আমার পোস্টের কোন কিছুর প্রমাণ চান তাহলে হয়তো আবারো একদিন পুরা ব্লগ চষে বেড়াবো।

ফিউশান ফাইভকে আমি বেশ কিছু পোস্টে অযাচিত ভাবে দেখেছি ফটোশপের মেলোড্রামা দেখাতে। যার সর্বোচ্চ স্বীকার আরিফ জেবতিক। একটা পোস্টে দেখেছিলাম উনাকে পুরষ্কৃত করা হোক এই রকম আহবান সংবলিত একটা ফটোফিউশন।

আপনাদের অনেকেই মনে আছে হয়তো ব্লগ জীবনের শুরুতে একজন বিশিষ্ট ব্লগারের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। উনাকে অনেকেই খুব সমীহ করে। উনি নাকি কতৃপক্ষের খুব কাছের লোক। রেসিডেন্ট ভারখ্যাত ঐ ব্লগারের প্রতাপ আমিও দেখেছিলাম। উনার জন্য আমার আদি নিক সারাজীবনের ব্যান হয়ে গিয়েছে। সেইদিনই বুঝেছিলাম কি ভুল আমি করেছি। কি আমি হারিয়েছে। আমি হয়তো আর কখনও পর্দার সামনে আসবোনা। কারন যা হারিয়েছি তা কখনও ফিরে পাওয়া যায়না।

ইদানিং কালে রেসিডেন্ট ভাড়ের খুব কমেন্ট সংকট দেখা গিয়েছিলো। মাইনাসের পাল্লা এতই ভারী হয়েগিয়েছিলো যে কলিগও তা ঠেকাতে পারছিলোনা। ফলে উনার একটা গ্রুপ দরকার ছিলো। ফিউশানরা সেটা ক্রিয়েট করে দিয়েছে।

আসল কথা থেকে মনে হয় বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি। সব নষ্টের মূল কিন্তু আরিফ জেবতেকই। কি দরকার ছিলো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার? কি দরকার ছিলো সত্য কথাগুলো এইভাবে বলার? হাসিবের ব্যানের প্রতিবাদে এতো কিছু করার দরকার ছিলো? আপনার কি কমেন্ট সংকট পড়েছিলো? তাহলে ক্যান এতো হ্যারেজ করলেন? সবাইতো ভাবে আপনি যদি ঐদিন একাত্নতা ঘোষণা না করতেন তাহলে এতোসব ব্লগার এরকম নষ্টামি করতোনা।

নষ্টামি কথাটাতে অনেকেই চরম আপত্তি থাকতে পারে। আমি কিন্তু আমার কথায় অটল। এখন হলো তেলের দুনিয়া। তেলের জন্য কেমনে সবাই যুদ্ধ করে। সেইখানে তেলের বদলে মিয়া ত্যানা প্যাচানো বাঁশ দিবেন সেইটা নষ্টামিনাতো কি?
২২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×