somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শিশির৫৪
দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

মুর্তি নিয়ে কিছু কথা। নিজেকে কি মুসলিম ভাবেন?

২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক অনেকদিন আগে রাত জেগে একজন যুবক আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতো, এই আকাশ, চাঁদ, তাঁরা, সুর্য, দিন, রাত, চারিদিকের এতসব, কে সৃষ্টি করেছেন? কার কথায় এগুলো চলে? চারিদিকে তখন মুর্তি পুজার ধুম। সবাই মুর্তি কে তাদের রব মানত। এই যুবক সবাইকে নিষেধ করতো মুর্তি পুজা করতে। এজন্য তাঁকে অনেক লাঞ্ছনা সইতে হয়েছে। এমনকি তাঁর বাবা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তবুও সে থেমে থাকেনি। একদিন এলাকার সবাই মিলে মেলা দেখতে গেল। যুবকটি গেল না। সে একটা কুড়াল নিয়ে উপাসনালয়ের সব মুর্তি ভেঙ্গে ফেললো শুধু বড়টা ছাড়া। সেই বড় মুর্তিটির গলায় কুড়ালটি ঝুলিয়ে রাখলো।
মেলা থেকে ফিরে সবাই দেখলো সব মুর্তি ভাঙ্গা! সবাই বুঝে ফেললো, কার কাজ এটি। ডাকা হল সেই যুবককে। জানতে চাওয়া হল, কে এই কাজ করেছে? যুবকটি বলল, অই যে কুড়াল ঘাড়ে করে দাড়িয়ে আছে, ওকেই জিজ্ঞেস করুন! ও দেখেছে কে ভেঙেছে। সবাই হতবাক। তাদের নেতা বলল, মুর্তি কি কখনো কথা বলতে পারে? যুবকটি বলল, মুর্তি যদি কথা বলতে না পারে, তার সাথী মুর্তিদের বাঁচানোর ক্ষমতা যার নাই, তার পুজা কর কেন???
সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। কারো মুখে কোন কথা নেই।
এই যুবকটি কে ছিলেন, জানেন? তিনি ছিলেন, মুসলিম জাতীর পিতা ইব্রাহিম (আঃ)। এরপর থেকে তাঁর নাম হয়ে গেল, “মুর্তি ভাঙ্গা ইব্রাহিম।“

এরপর কেটে গেল অনেক অনেক দিন, মাস, বছর, যুগ। সেই মুর্তি ভাঙ্গা ইব্রাহিমের (আঃ) হাতে তৈরি করা আল্লাহ্‌র ঘর কাবা শরীফ।

শিরক অনেক বড় পাপ। এই পাপ তওবা না করলে কখনো ক্ষমা হবার নয়। ইবলিশ শয়তান খুব ভাল করেই জানে, মুসলমানের জন্য জাহান্নামের পথ তৈরি করতে ধর্ম নেতা এবং রাজনৈতিক নেতা দরকার। মানুষ এদের খুব মান্য করে।
তখন মক্কায় ছিলেন “আহমেদ বিন লোবাই” নামে অনেক বড় এক ধর্মিয় নেতা। মক্কার লোক সবাই তার কথা শুনত। তিনে গেলেন সিরিয়ায়। গিয়ে দেখলেন, সেখানকার লোক “হোবল” নামে এক মুর্তির পুজা করে। তাদের ধারনা, এই কারনে সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তিনি অনেক অর্থ খরচ করে সেই মুর্তি নিয়ে মক্কায় ফিরলেন। মক্কার লোককে বোঝালেন, এই হোবলের উসিলায় বৃষ্টি চাওয়া হলে আল্লাহ্‌ খুব খুশি হবেন আর প্রচুর বৃষ্টিপাত দিবেন। এতবড় একজন ধর্মনেতা কি কখনো মিথ্যা বলতে পারে? সবাই তার কথা মেনে নিলেন, কারন মক্কা মরুভুমীর দেশ। বৃষ্টি খুব দরকার ছিল, সেসময়ে, এসময়েও।

সেই থেকে শুরু। যখন বিশ্বনবী, রাসুলগণের নেতা, রাহমাতাল্লিল আলামিন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) মক্কা বিজয় করেন তখন কাবাঘরে ছিল ৩৬০ টি মুর্তি। তিনি লাঠি নিয়ে একা কাবাঘরে ঢুকলেন। পিটিয়ে সব মুর্তি ভেঙ্গে ফেললেন। মুখে বললেন, “এসেছে সত্য, চলে গেছে মিথ্যা।“
বাপ ভেঙ্গে গেছেন মুর্তি, বাপ কা বেটা! ছেলেও কম না।
সেই বাবার ছেলে হয়ে আমরা কি করে মুর্তির পক্ষ নিয়ে কথা বলি? ধিক আমাদের উপর! আমরা ইব্রাহিমের (আঃ) কুলাঙ্গার সন্তান!

সুলতানা কামাল, তুমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখে নিজে থুথু ছিটাও! নয়তো লক্ষ-কোটি ইব্রাহিমের (আঃ) সন্তান তোমাকে ছাড়বে না!

YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
২৬টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×