হাসপাতালের করিডোরে বসে ছিলাম আমরা বিশ পচিঁশ জন। মাজ খানথেকে উটতি বয়সি ছেলেটা তার মোবাইলের স্কিনে কিছু একটা দেখছে। মিউজিক শুনে অনুমান করলাম ওটা হিন্দি সিনেমার কোনো একটা গান হবে। পাবলিক প্লেসে তাও হাসপাতালে উচ্ছ শোরে গান শোনা। একে অন্যের দিকে তাকা তাকি করছিলাম সবার চুখেই বিরক্তি । জনসম্মুখে হিন্দি গান শোনা হয়তবা স্মার্টন্যসই হবে। অন্তত ছেলেটির দৃষ্টিতে।
কিছুদিন আগে খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েছিলাম। কনে পক্ষের একটা বালকের স্মার্টন্যস দেখলাম।
কাদে সাধা একটা হ্যডফোন ঝুলানো। সাথে কালো আরো একটা হ্যডফোন, এক কানে লাগানো । অন্য কানে ছিল ব্লুথুত ডিভাইস।
গলা আর দুই হাতে বড় বড় শিখল। যেমনটা পাবনা মানষিক হাসপাতালের এ গ্র্যড রুগীদের থাকে। যদিও তার ভাষায় ওটা ব্রেসলাইট।
গত বছর যখিন ঈদের নামাজ পড়তে মাঠে গিয়েচিলাম। দেখি সামনের সারির দুইটা বালকের মাতার চুলগুলো ক্যাঞ্চি ছাঠ। চুরিতে ধরা খেলে আমরা যেভাবে ছেটে দেই।
পাশের জনের কাছে জানতে চাইলাম ওদের অপরাধ কি?
উনি হেসে বললেন 'ওটা ষ্টাইল '
হ্যা স্টাইল। আমাদের ছেলেরা অনেক স্টাইলি হয়ে গেছে। যা দেখে আমরা পুরানা ধ্যন ধারনার লোকেরা প্রায়ই বিভ্রান্ত হই।
মুল্য বুধকে বিষর্জন দিয়া ওরা স্টাইলি হয়েছে । স্টাইল কেড়ে নিয়েছে ওদের স্থান কাল পাত্র জ্ঞান।
এই স্টাইলিপনায় পিতা মাতাদের আনন্দের কিছু নাই। যেসব পিতা মাতা এসবের প্রশ্রয় দেন তাদের বলছি।
আজ হয়তো আপনার ছেলে কানে দুল, হাতে গলায় শিখল আর চুলে চুরের মতো ছাট দিয়েই স্টাইল করছে, তাকে কিছু বলছেন না।
কিন্ত কাল যখন বডি মডিফিকেশন করবে, ট্রানস জেন্ডার প্লান্টিং করাবে তখন কি কিছু বলার থাকবে আপনার?
এখনো সাবধান হোন । ওদের ধর্ম সমাজ সংস্কৃতির সঠিক জ্ঞানে গড়ে তোলেন। দেখবে ওরা আধুনিক হবে কিন্তু স্টাইলি হবেনা। বাহিরের নয় ভেতরের সৌন্দর্যকে গুরুত্ত দিবে। সেটার বহিপ্রকাশ ঘটবে যত্র তত্র। আপনার চার পাশে ঘুরে বেড়াবে এক ঝাক অমায়িক ভদ্র ছেলে মেয়ে। যাদের ব্যবহারে শান্তি পাবেন, হ্য মরেও শান্তি ।