somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট যুক্ত করন ::কেন এই আন্দোলনে আপনার যুক্ত হওয়া দরকার??

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটা দেশে কখন বেসরকারি খাত সমূহ তৈরি হয়? যখন সরকার ঐ খাত সমূহ কে নিয়ন্ত্রন বা প্রকল্প সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে অক্ষম হয় তখনই সরকার ঐসকল প্রকল্প বা কাজ বা প্রতিষ্ঠান কে কিছু নিয়ম নীতির মাধ্যমে উদ্দ্যক্তাদের হাতে ছেড়ে দেয়। এক্ষেত্রে উদ্দ্যক্তারাও সরকারের কাছে কিছু সুযোগ সুবিধা দাবি করে। অনেকক্ষেত্র সরকার ঐ সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। এভাবে বেসরকারি খাতে সরকার সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মূল ঊদ্দেশ্য থাকে, সরকার জনগণকে যে সুবিধা দিতে অক্ষম, অন্তত বেসরকারি খাতের উদ্দ্যক্তারা ঐসকল সুবিধা প্রধান করে জনগনের সম্যসা সমাধান বা তাদের কাজ সমূহ কে সহজতর করে। ফলে এতে ত্রিমুখী লাভ হয়। এক. সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ে ২. উদ্দ্যেগ তা সমুহ যেমন লাভ করে তেমনি দেশে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়। ৩. প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঐ উদ্দেশ্য সাধন এবং জন গনের উপকার।


এখন মুল কথায় আসি । সরকার যেভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ল সমূহের বেতন ফি এর উপর ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর ৭শতাংশ যুক্ত করল তার উদ্দেশ্য কি?? সরকার যুক্তি দিচ্ছে, যারা ৩ বা অধিক লাক্ষ টাকা ব্যয় করে পড়া লেখা করতে পারলে, কেন ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে পারবে না।
এখন যদি সরকারকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সেরা মেধাবীদের কে বাচাই করলেন, তারপর আপনারা আপনাদের অক্ষমতা প্রদর্শন করে কিছু সংখ্যক ছেলেমেয়েদের কে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে সুযোগ দিয়ে, বাকী বিপুল সংখ্যক ছেলেমেয়েদেরকে ছেড়ে দেন অনিশ্চিত জীবনে। এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
এখন এই অনিশ্চিত জীবন থেকে বের হবার জন্য যারা নিজেদের শেষ সম্বল, জায়গা জমি বা বাবার পেনশনের টাকা তুলে বা নিজদের প্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরনাপন্ন হয়েছে, এখন সরকার তাদের কাছেও হাতপাতা কতটা যুক্তিসিদ্ধ। যেখানে সরকার এসকল ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যয়ভার যাতে তাদের ফ্যামিলির উপর বাড়তি চাপ হয়ে না দাড়ায়, তার জন্য তাদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা বা সরকারী ভাবে ভুর্তুকির ব্যবস্থা করবে, উল্টো মরার উপর ঘা মরতেছে।
আর একটি অমুলক ধারনা যে, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু গরীবেরা আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়লোক ছেলে মেয়রা পড়ালেখা করে। যারা সরকারী বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়লের সাথে যুক্ত আছে, তাদের কাছে ব্যপারটা পরিষ্কার। কারণ মেধাবীরা যেমন সবাই গরীর ঘরে জন্ম নেয় না তেমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই ধনীর দুলালও না।


এখন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ কি শুধু বেসরকারি ছাত্রদের একার নাকি আমাদের সবারই কারণ আপনি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তাই বলে আপনার পরবর্তী প্রজন্মও যে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তার গ্যারান্টি কি? এভাবে আমরা সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই আইনে প্রভাবিত। তাই সব শ্রেণী পেশাজীবরই আন্দোলনে সমর্থন ও যুক্ত হওয়া দরকার। একটা আইন যখন পাশ হয়ে যাবে তখন তা প্রত্যাহার করা অনেক কঠিন। তাই শুরুতে যদি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তা রদ করা না যায় তবে এর খেশারত সবাই কে দিতে। তাই সময় থাকতে সবাই এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে আন্দোরনকে বেগবান করা এখন সময়ের দাবি
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪১
১০টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বস্তিবাসী সেই অগ্নিকন্যাকে নিয়ে লেখা একটি কাব্যগাথা

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫


ঢাকার আকাশ তখন ধুলোমাখা সন্ধ্যার রঙে ছিল ডেকে
বস্তির সরু গলিতে শিশুদের কান্না
নর্দমার স্রোতের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেলে
সেই অন্ধকার জন্মঘরে প্রথম আলো দেখেছিল
এক বস্তিবাসী কন্যা শিরিন
এখনো এক অচেনা নাম
যার ভেতর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাবুল আলীই আমাদের বাংলাদেশের প্রতীক

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭



আপনাদের কি এই ছবিটার কথা মনে আছে? এই বছরের শুরুতে চলতি বছরের জানুয়ারীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাংলাদেশের জমিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×