দূর্যোগের ঘনঘটা, প্রলয় আসছে ধেঁয়ে;
নিরাশ্রিত চাতক পাখি, কিংকর্তব্যবিমুঢ় চেয়ে!
ভেঙে চুরমার খড়কুটোয় গড়া, ছোট্ট শৈল্পিক বাড়ি,
ঠায় দাঁড়িয়ে চির সবুজ হাজারো বৃক্ষ সারি সারি!
বিদ্যুৎ চমকে রুপালি আকাশ, এই বুঝি এলো বৃষ্টি!
হচ্ছে কি সব, করছে প্রকৃতি এ কেমন অনাসৃষ্টি!
একটু পরেই থেমেছে দূর্যোগ উঠেছে সূর্য হেসে,
কাঁদছে চাতক, ভেঙেছে তার ঘর, কালবৈশাখী এসে!
হাজারো পাখির কল-কাকলিতে খুঁজছে চাতক, চাতকীকে!
কোথা গেলো হারিয়ে প্রিয়তমা চাতকী, দিচ্ছে গালি প্রকৃতিকে!
হৃদয় পটে অংকিত চাতকী, আবেগ গুলো খুব চেনা;
ভালোবাসাটুকু কুক্ষীগত করেছে, স্বার্থের লেনা-দেনা!
ডানায় ভেসে কতই না উড়েছে, নীল-আকাশেরও পরে;
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে দু'জন, ফিরেছিল ভোরে।
কাকতাড়ুয়ার ভং দেখে দেখে হেসে লুটোপুটি হতো দু'জন;
কিষাণের হাতের সোনালী ফসল, করত সমারোহে ভোজন!
স্নানের বেলায় পুকুর পাড়ে, চাতকীর লুকোচুরি খেলায়;
চাতক না পেয়ে ক্লান্ত তণু ভাসিয়ে দিত কোনো ভেলায়।
চাতকী তখন খুব ভালোবেসে, আলতো ঠোঁটে দিত চুমু;
তার পায়ে পায়ে রুপার নূপুর বাজতো রুনু-ঝুনু!
বিস্মৃতিগুলো বড্ড পোড়ায়, চাতক কাঁদে নিঃশব্দে!
চোখের তারায় জলে ভিজে যায়, দুঃস্বপ্নেরও অব্দে!
হঠাৎ চাতক দৃষ্টি মেলে ভেঙে পড়া হিজল গাছে;
ভেঙে একাকার, উপড়ে পড়েছে, চাতকী রয়েছে পাছে!
হায় বিধিরাম, শিউরে ওঠে কত কি না ভেবে;
নীরব নিথর চাতকী শুয়ে, জীবন প্রদ্বীপ নেভে।
তটস্থ চাতক ডানা ঝাপটে কিচির মিচির করে ওঠে;
ছুটে ছুটে যায় চাতকীর কাছে, ওঠো ওঠো, ভোর হলো যে!
ঘুম ভাঙে না চাতকীর হায়, হিম হয়েছে নিথর শরীর!
জীবন নদীর ওপারে চাতকী; চাতক হঠাৎ বধির!
(৪ঠা সেপ্টেম্বর কবিতাটির একাংশ প্রকাশ করেছিলাম! আজ পুরোটা প্রকাশ করলাম। দুঃখ প্রকাশ করছি মর্মান্তিক যবনিকার জন্য)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




