১ম পর্ব: কবি এবং যারা পড়ছেন, তাদের প্রতি
ঘটনা এমন করে ঘটেছিলো।
সাধারনত আমার ব্লগে আসার সময় যখন হয় তখন সামু ব্লগ প্রায় ফাঁকা। ৩৯ অনলাইনে ইত্যাদি এমন পরিসংখ্যান দেখি আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। না জানি কত চমৎকার লেখা সব প্রতিদিন মিস্ করে যাই। সলজ্জ স্বীকার করে নিই, ব্লগে যা পড়তে মূলত আমার প্রতিদিনই আসা (আরো সব চমৎকার লেখা সমূহের প্রতি শ্রদ্বাবনত হয়ে বলছি, যে গুলো শুধু চমৎকারই নয় , প্রাত্যহিক অনেক কাজে আমি লাগাই, লাগিয়েছি, কখনো হয়তো মন্তব্যটুকুও দেয়া হয়ে উঠেনি; আমার প্রিয় ব্লগ লিষ্ট দেখলেই বোঝা যেতে পারে ব্যাপারটা), তা হলো কবিতা পাঠ। স্বভাবতই কবিদের প্রতি অনুরাগ/প্রীতি/পক্ষপাতিত্ব বোধ করি, গুনিজনে এর কারণ অনুধাবন করতে পারবেন। তো যখন আসি ব্লগে, ততক্ষনে কত কত কবিতা যে পেরিয়ে যায়, তা, গত পরশু দিন হঠাৎ দুপুরে ব্লগে ঢুঁ মারার সুযোগ পেয়ে স্তভিত হয়ে গেলাম, স্রেফ। একের পর এক দুর্দান্ত কবিতা সব, দুর্দান্ত সব কবিগনের এমন কবিসভা সামু ব্লগে এক সংগে, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পাঠ করলাম , মন্তব্য করলাম এবং হুট করে মাথার ভিতরে এক অদ্ভুত চিত্র কল্প তৈরী হয়ে গেলো। যার সফল কিংবা উচ্চাকাঙ্খী রূপান্তর আমার আজকের নিম্নোক্ত কবিতাটি (২য় পর্বে, নিচে)। মাথার ভিতরে এক চেনা নগরে জোৎস্না নেমে এলো আর যেন জীর্ন শীর্ণ নগর পরিত্রানের জন্য জোৎস্না ভুক এক দল কবি রাস্তায় নেমে এলেন, তারা হাঁটছেন, হেঁটে যাচ্ছেন এক দুঃখিনী ব-দ্বীপের বুকে, যেন ক্লিষ্টতার ভয় নেই কোন আর । শুধু কবিতা লিখেই যেন বিশ্ব মাতাতে পারে দুঃখিনী ব-দ্বীপের যুবরাজগন। ইত্যাদি ইত্যাদি এমন সব এলোমেলো উচ্চাকাঙ্খী দিবাস্বপ্ন আমাকে প্রায় আছন্ন করে ফেললো, আর তার পরের কথা হচ্ছে এই পোষ্টটি। যাহোক, ঢং বোধহয় বেশি হয়ে যাচ্ছে, যে কারনে ব্লগের কবিবৃন্দের (বিশেষত) দৃষ্টি আকর্ষন করা:
গত তিনমাসে (আমার ব্লগ জীবনের যাবতীয়া আয়ুষ্কাল) সুপার্ব সব কবিতা যাদের পড়েছি, পড়ব আরো, তাদের সবাইকে আমারলিংকে যোগ করে নিতে চাই। যেহেতু কবি বৃন্দ কাউকেই (কাউকেই না) আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা, তাই অনুমতি নিতে এই ভনিতা টুকু করলাম। নিচে আমি তাদের নাম (অবশ্যই সবগুলো এখন মনে পড়ছেনা, এবং আমি হয়তো পড়িইনি এমন সব কবিদের নামগুলো বাদ পড়ে যাচ্ছে) লিখে দিচ্ছি এই আশাতে, তারা যদি রাজি না থাকেন (সে যে কারণেই হোক না কেন), তাহলে আমাকে না করে দিলে আমি নামটি আমার লিংক থেকে মুছে দেবো।
নামের ক্রম কোন ধারা অনুসারে সাজানো নয়, যেভাবে মনে আসছে দিয়ে দিচ্ছি:
মোসতাকিম রাহী
ফারিহান মাহমুদ
অমিত চক্রবর্তী
সায়েম মুন
শিরীষ
নান্নু মাহবুব
আন্দালীব
ফকির ইলিয়াস
মুক্তি মন্ডল
হাসান মাহবুব
তমিজ উদ্দিন লোদী
আহমেদ ময়েজ
আবু মকসুদ
আশরাফ মাহমুদ
শামসীর
গোঁপা,
কাল পুরুষ
সৈয়দ আফসার
এস সুলতানা
প্রতীক মন্ডল
সেবু মোস্তাফিজ
সৈয়দ মবনু
অপরাহ্ন
বাবুল হোসেইন
করবী
শশ্মান
পাহাড়ের কান্না
মেঘ শুণ্য দিন
নিউটন
লিএনজেল
কৃষ্ণ তরুণ
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
প্রণব আচার্য্য
সুলতানা শিরিন সাজি
মাহবুব লিলেন
কাজল রশীদ
মিলটন রহমান
পাপী ০০৭
sondohin
মিনেসোটা
মোজাফফর
ফজল
লালসালু
অরুদ্ধ সকাল
সায়মা
ডট কম ০০৯
সকাল রাত্রী
ফাহাদ চৌধুরী
বৈরী হাওয়া
অপূর্ব সাহা
একলব্যের পুনর্জন্ম
অরণ্য
হিরম্ময় কারিগর
বেলায়েত মাছুম
লুতফুল বারী পান্না
সাদাকালামন
আলঝেইমার ক্রিস্টোসান
এম জসীম
এহসান জুয়েল
অপূর্ব সাহা
আমি ও আমরা
আমি উঠে এসেছি
আবদুর রব ১
অদ্ভুত শূণ্যতা
শতরুপা
আবদুল্লাহ আল মনসুর
শামীম শরীফ সুষম
সৈয়দ নূর কামাল
শ খি আ ঈয়ন
বর্ণচোরা
বিবর্ন স্ব্প্নচারী
আজহার ফরহাদ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
মেঘ
(মাত্র এ'কটি নাম, আমি একশত ভাগ শিওর, অনেকগুলো নাম মনে আসছে না যাদের কবিতা প্রায়ই নিবিষ্ট হয়ে পড়ি, মনে আসা মাত্র তাদের নাম যোগ করে দিয়ে তাদের ব্লগে এই পোষ্টের লিংক রেখে আসবো , ঠিক করেছি। এছাড়া সহৃদয় পাঠক/পাঠিকা যদি ব্লগের অন্য কবিদের নাম জানেন, অনুরোধ করছি, মন্তব্যে বলার জন্য)।
(একটা গোপন পরিকল্পনার কথা বলি, কবিগন ছাড়াও আরো অনেক ব্লগারের লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়ি, হরেক রকমের প্রিয় ব্লগার, তাদের কে ব্যক্তিগত ভাবে অনুরোধ করে আসবো, আমার পাতায় লিংক হতে অনুমতি দেবার জন্য)
প্রশ্ন হলো, এত সব ভনিতা করে নাম লিংকে নিয়ে কি হবে?
সে প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৩য় পর্ব: সামু কতৃপক্ষের নিকট একটি প্রস্তাবনা দেখতে হবে।
তো এবারে কবিতাটি (নিতান্ত র্দুমুখ নাহলে কে আর মুখের উপর বলবে , ধুর মিয়া , এইটা কি লিখছেন, কবিতা ইহারে কে বলিল) পড়া যাক।
২য় পর্ব: কবিতা: আমাদের কবিতার কড়িকাঠে পা ঝুলিয়ে বসুক নিমন্ত্রিত ভূগোল
উৎসর্গ: সামু ব্লগের সকল দুর্দান্ত কবিদের , যাদের কে হরহামেশা কবি ব্লগার সায়েম মুনের কবিতার মতো বলতে ইচ্ছে করে, হে কবি! হিংসে হয়, বড্ড হিংসে!
খিন্ন প্রেতের আঁষটে-গন্ধা -ডানা ঝাপটানো শহর; যেন
শেষ পুরোহিত ব্যর্থ মন্ত্র পরে ভীষন উদাসীন। অলিতে-
অলিন্দে টুকরো টুকরো গার্হস্থ্য স্মৃতি; জিভ্ এবং চিত্ত ছোঁয়ার
আহ্লাদ পর জমিয়ে আছে মাছি সংসার। একতলায় দোতলায়;
জানালার চৌকাঠে ; ঘুমঘর চাপে থ্যাঁতলে থাকা বারবারান্দার
লাল-নীল বসন-অর্ন্তবাস ডিঙিয়ে রোদ তখন ওকেয়ানুসের
গর্ভে; জন্ম-পূর্ব-অন্ধকারে। পথ বেভুল ক'ফোঁটা বাতাসের উপস্থিতি
জানান দিয়ে গেলো খবর-কাগজের কামুকী নায়িকা প্রচ্ছদে আঁকা
মুড়ির ঠোঙা ; ত্রস্ত নেচে গেলো দুপশলা। শহরের সপ্তবর্ণা দেউটি
ব্ল্যাক-আউট; রূপ- রূপজীবি কোলাহল এবং বৈধ-অবৈধ রতি পরে
কুয়াশা ঝরার অবকাশে ঘুমঘুম। দুঃস্বপ্নের কাৎরানো কিংবা
তেপান্তর জংগলের শুকপাখী সংলাপ ভিন্ন আমাদের শহরের তাবৎ ট্রাফিক; সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচটন আর দস্যু মাতাল বেনিয়া কোট-টাই মাঠশালা পাঠশালা গায়েব। বেমালুম।
তখন; শুণ্য প্রহর। শহরের বেহদ্দ সংবিধান ঠুকরিয়ে ; কোমল
সেলোফেনে মুড়ে মরুউদ্যানের সুবিশাল চাঁদ বসত নিলো এসে
আয়েশী অতিথির সাবলীল পা ধুয়ে জুতো খুলে নগরফরাশে।
আঁষটে-গন্ধা-শহর মুহুর্তে বুনোফুল আর শালিখ-খঞ্জনার বাসা
নাকছাবিতে দুলিয়ে মায়াপুরী। সারি সারি শেওড়া জামরুল বেতবন;
স্বর্নলতা গায়ে তেঁতুল; কাঠঠোকরার বাসা উল্কি পরে নারকেল-কান্ড
সটান উঠে এলো ফুটপাতে। বাঁশবনের শন্ শন্ পাশে পাতালছোঁয়া
পদ্ম-দীঘি জল-শরীরে প্রকান্ড চাঁদ-আয়েশ মেখে আড়মোড়া ভাঙে।
পাড় ধরে রাজপথে তখন একদল কবি; আমাদের শহরের অলৌকিক যুবরাজ
এবং শেষ পরিত্রাতাগন নেমে এলেন ।
দল বেঁধে। পায়ে পায়ে।
আ্যশশেওড়ার ডালে পা ঝুলিয়ে খিল খিল হাসে বিষাদদল। প্রেম-বিরহ ইতিকথার চোখঝরা জল টলটলে দীঘির টোপরে ঝাপসা মেঘ হয়ে দোল খায়; ঘাসবনের হৃদয় ছুঁয়ে কবিদল হাঁটতে থাকেন চর্যাপদকণা দু'পায়ে ছড়াতে ছড়াতে।
মাত্রাবৃত্ত অক্ষরবৃত্ত লিমেরিক সনেট কোলাহল করে এসে নামে শহরের
বেনিয়া দুর্বত্ত উপকূলে; শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পালা গুন গুন বাজে প্রেক্ষাপট
এস্রাজে; কবিদল উচ্চকন্ঠে গেয়ে উঠেন মঙ্গলকাব্য পদ্মাবতীর পালা।
ঈশ্বর এবং অপ্সরাগন থমকে গেলে আমাদের যুবরাজগন
জোৎস্নাভুক করতলের উপমা উৎপ্রেক্ষা রূপকের ঢেলা ছুঁড়ে ছুঁড়ে
ভাঙতে থাকেন শতাব্দীর ভুল টংকার।
ব-দ্বীপ; দুঃখিনী ব-দ্বীপ, দেখো, তোমার অলৌকিক বর্ণমালা মল বাজিয়ে
জ্বলজ্বলে সন্তুদল সগর্ব হেঁটে যায় জন্মের দিকে, প্রিয় হাসি পরে নিয়ে
কান্না মোছার আঁচল পেতে দাও;
বিশ্ব নিমন্ত্রিত আজ পদ্মা-ব্রহ্মপুত্রের দাওয়ায়।।
২০/০৩/২০১০
৩য় পর্ব:
সামু কতৃপক্ষের প্রতি একটি প্রস্তাবনা(যদি কতৃপক্ষের কেউ আদৌ এই বক্ বকানো পেরিয়ে এ পর্যন্ত পড়ে থাকেন)
সামুর চমৎকার সব অপশনের সাথে মূলত একটা অপশন যোগ করে দেয়া যায় কিনা, এ সংক্রান্ত একটি অনুরোধ।
সাধারনত আমার মত অনেকেই নিশ্চয়ই প্রিয় ব্লগারদের লেখা নিয়মিত পড়তে চান বলে, নিজেদের লিংকে তাদের নাম গুলো যোগ করে রেখে দেন। পরে যা আলাদা করে লিংক ধরে ধরে গিয়ে পড়তে হয়।
আচ্ছা এমন করলে কেমন হয়, যাদের লিংক জমানো আছে একজন ব্লগারের নিজ পাতায়, একটা বাটনে ক্লিক করে তাদের সর্বশেষ লেখা গুলো (হয়তো একটা করে) সংকলিত আকারে দেখা যাবে সেই ব্লগারের জন্য? আলাদা আলাদা করে তাদের পাতায় ক্লিক করে করে যেতে হবেনা? অনেকে অবশ্যই অনেক কিছুর লিংকই রাখেন, আমি মূলত সামু ব্লগারদের লিংক গুলোর কথাই বলছি।
বোঝাতে পারছি কিনা , কি জানি। হয়তো আমার এ লেখা আদৌ কর্তৃপক্ষের চোখে পড়বেনা। প্রস্তাবনা কার্যকর হওয়া দূরের কথা।
তবু, শুধু মনে হয়, ব্যাপারটা আমার জন্য কি চমৎকারই না হতো!!
ক্লিক করলেই চোখের সামনে এক ঝাঁক ঝলমলে কবিতা হেসে উঠতো!!
( কবিতা যারা পছন্দ করেননা, না করাটা দোষের কিছু না মোটেই, আমার যেমন রাজনীতর কাদা ছোড়াছুড়ির পোষ্ট পড়তে ভালো লাগেনা, তাদের বিরক্তি উদ্রেক করলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।)
(ছবি দুটি ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত
১.The Poet (1910) by Pablo Picasso
২.The Poet by G.H. Rothe )
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




