অনুজ্জ্বল আলোকরেখা... বিস্তৃত হৃদস্পন্দন মিলিয়ে যায় নিমিষেই – কেউ বুঝেনা ।
সময় সংকেতে উপসংহারের দেখা মিললেই হারিয়ে যাবো মেঘে মেঘে । দেখে নিবো মৃতদের না বুঝাতে পারা প্রেম ! একদিন সব ফেলে চলে যাবো ... এইসব রংচটা মুখোশ ফেলে, এইসব দিবারাত্রির ব্যর্থ , সমীকরণ পেছনে ফেলে সময় সমীকরণের উপসংহারের শেষ শব্দে !
আমি সেই আসনচ্যুত রাজকুমার , গল্পের মাঝখানে লিখে যাবো নির্বাসনের গান । শেষ পাতায় এঁকে দিবো রক্তজবা , তোর চোখে এঁকে দিবো বিলম্বিত বিষন্নতা ! আমি যে নিদ্রিত গাংচিল । উড়ে এসে তোর ঘাড়ে শ্বাসগন্ধ এঁকে দিয়েছিলাম , সাথে দিয়েছিলাম কাজলদানী ! সেই কাজল মেখে তুই হরিণীর সাথে পাল্লা দিয়েছিলি ! শিশিরের গায়ে তোর আলতারেখা মেপে মেপে চলে যাবো শেষ ভোরের শেষ মিনিটে !
এই হারিয়ে যাবার যাত্রাপথে ভেবে বসি , দিনান্তে তোর চোখে নামবে ক্লান্ত ঝড় । নীড়হারা পাখি হয়ে অন্ধকারে হাতড়ে, খুঁজবি, আমায় । চোখের কোনে মায়াবী বিষাদ বেঁধে রাখবি , এলোকেশী কিশোরীবেলার মন খারাপ বিকেলের রোদ হবি । তোর কবিতার শেষ লাইনে আমার নাম লিখে ঘুমের ভিতর...... একান্ত আত্মহত্যা !
তারচেয়ে বরং মাঝরাতের সমস্ত অন্ধকার মুঠোয় বন্দী করে আলোকরেখা আঁকি ! সেই উত্তম ... ছিঁড়ে ফেলে দিবো বিষন্ন অন্ধরাতের জোছনার ছবি সাথে হাওয়ায় উড়িয়ে দেই অভিমানী শব্দদল ।
কেউ জানবেনা বুক পকেটের লুকিয়ে রাখা লাল গোলাপের কথা , তুই ও জানবিনা ! একদিন তুই বাজাতে থাকবি গভীর ছন্দের সুর , সেই সুরে রংচটা ক্যানভাসের সমস্ত অন্ধকার আর বিষন্নতা বরফের মত গলে পড়বে ! সেইদিন মেঘপরাগের দলের দলনেতা হয়ে তোকে দিবো জমিয়ে রাখা গোলাপ কটা !
সেদিন শুধু ভালোবাসাই হবে , তোর কন্ঠে রবি বাবুর গান থাকবে , জোছনায় ভিজে জোনাকীরা আমাদের গান শোনাবে ... তোর কানে কানে বলে দিবো শতাব্দীর সেরা প্রেমের কবিতা !
সেই দিনের অপেক্ষায় উপসংহারের শেষেই সূচনা এঁকে দিতে ফিরে আসবো , ফিরে আসবো তোর চোখের কোণের জমে থাকা বিষন্নতা মুছে দিতে ...এই মহাবিভ্রম জগতে !
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




