somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিনা , রাজু ! কম্পিউটার সাইন্স ভার্সন ! (ফান পোষ্ট )

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগে আগে এই লেখাটি পড়েন যেটা আমাকে এই লিখাটি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে , যেখানে রাজু মেডিকেল কলেজে গিয়া হেব্বি পেইন পাইছে !
মিনা আর রাজু !
রাজু কম্পিউটার সাইন্স এর আর মিনা মেডিকেলের ! আগের পোষ্ট এ রাজু মেডিকেল এ গিয়া কি প্যাড়া খাইছিল সেটা দেখছেন ! কিন্তু মিনা কি করসে তা কিন্তু লেখক বলেন নাই !
এখন মিনার সময় ! রাত ১২ টা বাজতেই মিনাকে রাজু মনে করিয়ে দিলো সময় শুরু ! মিনাকে একটা লিঙ্ক দিয়ে দিলো , একটা প্রোগ্রামিং সমস্যা ! যেটা রাজুকে সমাধান করতে হবে ! যেহেতু মিনা প্রোগ্রামিং এর ভাষা জানেনা মিনাকে কোড করতে হবেনা , শুধু কি করা যায় এটা ভেবে বাংলায় বলে দেয়া কি করতে হবে রাজুকে ! সমস্যা টা এরকম … তিন জন বন্ধু গেছে বেড়াতে , m সংখ্যক ডিম আছে , একটা বাটি আছে যেটা সর্বোচ্চ ২০ গ্রাম ওজন একসাথে নিতে পারে , m সংখ্যক ডিমের আলাদা আলাদা ওজন দেয়া আছে ! (সংখ্যা গুলো একেক বার একেক রকম হতে পারে !) ওদের হাতে সময় আছে মাত্র ১৮ মিনিট ! ১৮ মিনিটে সর্বোচচ কয়টা ডিম তারা সেদ্ধ করতে পারবে !
উদাহরণ :
m =5
10, 4 , 2 ,1, 5.
m = 6
20, 8, 1,9 , 2, 3,4.
উত্তর :
4
5
বেশ কয়েকবার পড়ার পর মিনা বুঝতে পারলো তার আসলে কি করতে হবে এমন একটা সুত্র বানাতে হবে যেটাতে সম্ভাব্য সবরকম সংখ্যার জন্য সঠিক ফলাফল দিবে ! ভাবতে বসল মিনা …খাতা কলমে তার স্কুল , কলেজ জীবনের সমস্ত গানিতিক মেধা কাজে লাগিয়ে নতুন একটা ফর্মুলা বানানোর জন্য মাথা খাটাতে লাগলো ! অনেকক্ষন পর পর মিনা একটা করে ফর্মুলা রাজু কে জানায় আর রাজু কয়েক টা সংখ্যাতে ওই ফর্মুলার ভুল ধরিয়ে দেয় ! ও ! তাহলে এতা হবেনা ! আবার ভাবাভাবি শুরু ! ২ টা বাজতেই রাজু মনে করিয়ে দেয় সকাল ৮ টায় ক্লাস ! তাই আজ অফফ ! কিন্তু মিনার মাথায় ততক্ষনে গেথে গেছে তিন বন্ধুর ডিমের সমাধান ! ওয়াশ্ রুমে গিয়েও তাই ভাবতেই লাগলো ! ঘুমাতে গিয়েও মাথা থেকে বের হয় না , কি হতে পারে সমাধান ! সকালে এলার্মের ঝাঝালো শব্ধে কষ্ট করে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যেতে যেতে রাস্তায় ও ভাবাভাবি ! (সমস্যা টা একটা উদাহরণ মাত্র , এতে অত ভাবাভাবির কিছু নেই ! কিন্তু এমন হয় , আমি নিজে ভুক্তভোগী ! ) !
যাই হোক সকালে ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসে আসলো ! বিশাল বিশাল সার্কিট একে সার্কিটের সারমর্ম বুঝতে গিয়ে মাথায় শট সার্কিট খেলো ! এখন মাথায় সার্কিট , মিনা ভাবলো যাক মাথা থেকে ডিম গেছে !
তারপর আবার মাইক্রোপ্রসেসরের ক্লাস ! এখানেও বিশাল বিশাল ডায়াগ্রাম ! শুরু করে শেষে গেলে মনে থাকেনা শুরু কোথা থেকে !
ততক্ষনে মিনার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে ! খিদা ও ভালোই লাগছে ! হালকা কিছু খেয়ে মিনা এবার গেল অপারেটিং সিস্টেম ক্লাসে ! সেখানে ওপারেটিং সিস্টেমের একসাথে ইউজার যদি ৫ টা কাজ করে তাহলে কি করলে সিস্টেম ক্র্যাশ করবেনা সেটার সমাধান করতে গিয়ে আবার একি ঝামেলা, এক টা করলে আরেক টা ঝামেলা পাকায় ! আপাতত মিনা এসব চিন্তা বাধ দিয়ে ভাবতে লাগলো যারা উইন্ডোজের মত ওপারেটিং সিস্টেম যারা বানালো , কি কষ্ট টাই না করসে !
সারা দিন মাথায় মিনার এত চাপ গেছে যে মাথার চাপে মিনার শরীর ভেঙ্গে গেছে ! এখন একটু ঘুমানো দরকার ! এমন সময়ে রাজুর ফোন এলো ! ডিমের সমস্যা টার কথা মনে করিয়ে দিলো ! দিনের বাকী সময় টার ভিতর এটার একটা সমাধান করতে হবে !
কিন্তু মিনার ধৈর্য ততক্ষনে শেষ ! লাগবোনা তিন বন্ধুরে ডিম খাওয়ানো আমি আমার কলেজে গিয়ে ওয়ার্ডে খাটি ,মানব সেবা হবে !
দিন শেষে মিনা রাজুরে বললো রাজু তোমার পড়া অনেক কঠিন , মাথার উপর প্রচুর চাপ যায় , একবার মাথায় ঢুকলে শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি লাগেনা !
রাজু বললো হুম তোমার কলেজেও আমি হেব্বি কষ্ট পাইছি , তোমার টা ও কঠিন !
আসলে সব পড়াই কঠিন !
প তে পড়াশুনা
তুই ঝামেলা , তুই ঝামেলা !
৩৩টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×