আজ মুয়ীয মাহফুজের কাব্যগ্রন্থ "হুইসেল বাজছে চোর পালাচ্ছে" এর প্রকাশনা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
এ বইটি মুয়ীয মাহফুজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
প্রচ্ছদ করেছেন:শিল্পী শাওন আকন্দ
প্রকাশ করেছে:সুমন প্রবাহন স্মরণ প্রয়াস
পাওয়া যাবে:বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে, "কালনেত্র" স্টলে।
মূল্য:৭৫ টাকা
ফ্ল্যাপ:
বিষের থালায় ভাসমান মাছির ঘূর্ণনের ছন্দে প্রেয়সীর চোখে ডুবতে থাকে বাকাচাঁদ।তবুও এই দ্বিধার মাছিটিই যেন আমাদের অবচৈতন্যের সেই সামগ্রিকতার আহবান!পদ্মপুকুরের স্বচ্ছ জলে ভেসে থাকে মূলতঃ নিজেরই অবিকল রুপ,তাই অঙ্কনশৈলী,রঙের ব্যাবহার কিংবা পার্সপেক্টিভস-এ জল নিখুঁত শিল্পী হলেও সে পোর্ট্রেট যে আতœপ্রেমের ফাঁদ!তাই বাধ্য হয়েই ফিরে আসা-নিজের ডাকে নিজেরই সাড়া দেয়া।
অগ্নিপূজারী কবির আরাধ্য আগুনের শীতলতা স্বয়ং অগ্নিদেবকেও জমাট বরফে পরিণত করে।আগ্নেয়গিরির বৃত্তাকার জ্বালামুখ ধরে অসীম বছর ধরে হেঁটে চলে কবি-সংগে রয়ে যায় দ্রুতগতি,ধীরগতি এবং মনুষ্যরুপের কিংবদন্তী।মাঝ বরাবর ভেঙে যাওয়া আয়নার কাছ থেকে শোনা যায় যে সব আগামীকালে রুপকথা-তা কি কবিতা নাকি নৈঃশব্দ্যের আবছায়া?
চিন্তার সঙ্গে মনোদৈহিক সম্পর্ক রয়েছে বলেই হাজার হাজার মাইল দূরের সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাওয়া -পত্রপতনের শব্দে ও নৈঃশব্দে উচ্চারণগুলো চিৎকার হয়ে ওঠে-আর এই চীৎকার,যা কিনা আপাত অর্থহীন-তা-ই হয়ে ওঠে জীবনের প্রিয় উপাখ্যান।মনুষ্যসঙ্গ বা নিঃসঙ্গতা উভয়ই হয়ে ওঠে নেশার উপাত্ত!
প্রগতির অতি বিচ্ছিন্ন সুরে গভীরভাবে কান পেতে কবি শুনতে পায় কৃপাহত্যার ডাক শুনতে পায়,সেইখানে সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত থাকে সপ্তম সুরে বেজে চলা অজস্র চীৎকার ভরা দাবীসমূহ।গর্তে উঁকি দিয়ে তলদেশে তলানী সদৃশ জল দেখে হাসি পায় তার।সকলেই যখন জলকে নিজস্ব সম্পদজ্ঞানে আড়াল করে রাখে তার বিপরীতে কবি তখন সাগরকে খরাক্রান্ত গ্রামের পথ দেখিয়ে দেয়।
শ্রেণীচ্যুতির প্রাক্কালে কোন চামড়াটি সংরক্ষন প্রয়োজন?নতুনটি,নাকি পুরাতন?দু'টি পোশাকই যখন একটি যুদ্ধের শিবির নির্ধারণী ইউনিফর্ম হয়ে ওঠে। দু'টিই যখন ব্যাক্তি বিরুদ্ধে,তখন কবির সেইসব ক্যামোফ্লেজের প্রয়োজন হারায়।তখন কবি ও একটি শ্রমিক পিপড়ার ক্লান্তির ভঙ্গিতে কোনো পার্থক্য থাকেনা।এমনকি কবি বিভেদ হারায় তার জৈবরুপের,দ্বৈতসত্তার।শাহরিক নারী হয়ে কবি কৃষকের হাত ধরে সবুজ সমুদ্রে ভেসে ভেসে পৌছে যায় কৃষক ময়ুরের দেশে!
আবার শয়নভংগির অনাচারে যখন সবুজ ঘাস হয়ে ওঠে হলুদাভ,সামাজিক গান কন্ঠস্থ হলেও যখন প্রাণে বাজে না নতুন কোনো সুর- ঠিক তখনই অপরকে বিষপানে প্রলুব্ধ করে তার তার তিক্ত বিষের পেয়ালায় চিনি গুলতে গুলতে জানতে চাওয়া হলো সুইসাইডের পর তার কবিতাগুলোর কি হবে-পিঁপড়ে হয়ে সেই অক্ষরগুলো অনির্দিস্ট কোনো গন্তব্যে পৌছে যাবে এ নিশ্চয়তা নিয়ে ধ্রুপদী আত্নার প্রস্থান ঘটে।
এক ও দশের নিশ্চল দশার সময়ে কে কার কৃপাহত্যা করবে এইসব ফ্যালাসী তাড়িয়ে কবি মুয়ীয মাহফুজের কৃপাহত্যার সহযোগী হই,পলায়নপর চোরের পেছনে বেজে চলা হুইসেলের ধ্বনি আপনিও কি শুনতে পাচ্ছেন না?
(অভিজিৎ দাস)
আজ মংগলবার,১০ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪:৩০ মিনিটে চারুকলার শুকনো পুকুরে(ড্রাই পন্ডে) ঢা: বি ,কবি মুয়ীয মাহফুজের কাব্যগ্রন্থ "হুইসেল বাজছে চোর পালাচ্ছে" এর প্রকাশনা হবে
সামান্য গান বাজনা হবে।
আপনারা সকলে সময় সুযোগ থাকলে অবশ্যই চলে আসবেন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...
অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা
আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************
যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=
০১।
চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন