বর্তমান সময়ে দিল্লির নারকীও ধর্ষণ এর ঘটনাই ধর্ষণ বিরোধী বিশাল এক ঝড় উঠেছে। অবশ্যই এটা নিন্দনীয় এবং আমরা সবাই এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। কিন্তু ফেসবুক এ বেশির ভাগ মানুষ ই মেয়ে দের আজকাল কার শর্ট এবং যৌন উত্তেজনা পূর্ণ জামা কাপড় কে প্রধান কারন হিসেবে দাড় করাতে চাইছেন। আসলে
বেশির ভাগ মানুষ না বরং একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ এটার প্রচার করছেন । কেন করছেন সেটা আমরা জানি। এখন একটু ভাবেন যে ধর্ষণ যে একটা অতি খারাপ কাজ এটা নিয়ে তো কারো দ্বিমত নাই, এবং এটা সাধারণত পুরুষ দের দ্বারা এ হয়। কিন্তু আমরা পুরো দোষ টা দিচ্ছি মেয়ে দের পোশাক এর। তার মানে আমরা ধরেই নিচ্ছি
যে আমরা পুরুষ রা পশু এবং আমাদের স্বভাব একটু খোলা মেলা পোশাক পড়া মেয়ে দেখলে ধর্ষণ করা, তো যেহেতু আমাদের পরিবর্তন হওয়া অসম্ভব তাই মেয়ে দের এ বোরখা পড়ে লুকিয়ে থাকতে হবে।আমাদের সামনে আসলেই ঝাঁপিয়ে পরব। আসলেই কি তাই? না। মেয়ে রা আমাদের মা, বোন ,প্রেয়সী, জায়া ,বন্ধু। আমাদের মানসিকতাই পরিবর্তন আনতে হবে।
মানুষ যখন জন্মাই তখন সাধারন প্রানি ই থাকে। তারপর শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্ব এর বিকাশ ঘটিয়ে মানুষ হয়। যে শুধু অল্প বস্ত্র পরিহিত মেয়ে দেখলেই ধর্ষণ এ লিপ্ত হয় সে মানুষ না। আর সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ কথা সেটা হল আমি নিজেও অশালীন বস্ত্র এর ঘোর বিরোধী। কিন্তু এখানে বুঝতে হবে কোন লেভেল পর্যন্ত গেলে অশালীন বলে।
শাড়ী খুব এ ভদ্র পোশাক, কিন্তু এটাকে খুব এ অশালীন ভাবে পড়া যাই। তো মেয়ে দের অবশ্যই পোশাক নিয়ে সচেতন হতে হবে কিন্তু কখনই বোরখা এর আড়ালে নিয়ে যাওয়া সমাধান না। আপনারাই ভাবেন আজকাল মেয়ে রা এমন কোন পেশা নাই যেখানে তাদের বিচরণ নাই। প্রত্যেক ক্ষেত্রে তারা সফল ভাবে জব করছেন।তাদের পক্ষে বোরখা পরে
কাজ করা কত টা যুক্তি সঙ্গত। আমি কোন ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে কোন কথা বলিনি।বলতে চাই ও না। শুধু বাস্তব দিক টা তুলে ধরতে চাই। সব শেষে বলতে চাই আসুন মেয়ে দের কিভাবে চলতে হবে এটা বলার আগে পশুত্ব টা কে নির্মূল করি। আর আপু আপনারা তো মা এর জাত। আপনারা কি পারেন না শালীন বস্ত্র পরতে? আমরা চাই সকল এর সমান অধিকার
নিশ্চিত করে এমন পৃথিবী যেখানে ধর্ষণ নাম এর কোন নারকীও শব্দ এর অস্তিত্ত থাকবেনা। এটা সম্পূর্ণ আমার বাক্তিগত মতামত।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



