সকল মিডিয়ায় কোম্পানীগুলোর গুড়ু দুধের অনৈতিক, ভ্রান্ত, প্রলুদ্ধকরণ বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে
আজও সকল মিডিয়া চলছে গুড়ু দুধ কোম্পানীগুলোর অনৈতিক ও ভ্রান্ত প্রলূব্ধকরন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন। কোন কোন দুধ কোম্পানীতো বিজ্ঞাপনে দেখাছে যে শুদুমাত্র তাদের দুধে শিশুরা কয়েক ইঞ্চি বাড়ে। কেউ দেখায় বাচ্চারা হয়ে ওঠছে অসম্ভব শক্তিশালী......................
আমরা আমাদের দেশের পরীক্ষার মাধ্যমে মেলামাইনের অস্তিত প্রমাণ পাওয়ার পরও কোন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না কোম্পানীগুলোকে। গুটিকয়েক ব্যক্তি অর্থনীতির দোহায় দিচ্ছে কিংবা কেউ দেখছে বড় কোম্পানী বলে । কিন্তু তার তো এই দেশে ব্যবসা করছে, ব্যবসা বন্ধ হলে তাদের লস আমাদের থেকে বেশি হবে। আর অর্থনীতি উনয়ন্ন কি দেশের সকল মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করাই?
দেশের বাজারে একের পর এক গুড়াদুধ প্রবেশ করেছে নিয়ন্ত্রতহীনভাবে। কোম্পানিগুলো অনুমোদন ব্যতীতই বাজারজাত করেছে খাদ্য দ্রব্য। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে অর্থনৈতিক দোহাই দিনে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি অবহেলা করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো অন্যায়ভাবে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করে দেশ হতে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। এত কিছুর পর ও কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং কোম্পানিগুলোর স্বার্থ সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে দেশীয় বিশেষ্ণগদের পরামর্শ উপেক্ষা করে বিদেশে পরীক্ষা জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে। যা পক্ষান্তরে কোম্পানিগুলোর পরিকল্পিত কার্যক্রমের একটি অংশ।
দেশের মানুষের জনস্বাস্থ্য রক্ষা সরকারের সংবিধানিক দায়িত্ব হওয়া স্বত্বে, কোম্পানিগুলোর নিকট জিম্মি থাকায় সরকার এ ধরনের জীবননাশী কর্মকান্ডের পরও কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয় বিগত দিনে শিশুদের জন্য মায়ের দুধ ও সম্পুরক খাদ্য গ্রহনে উৎসাহী করার পরিবর্তে কোম্পানিগুলো অনিয়ন্ত্রিত প্রচারণ কার্যক্রমে নীরবতার মাধ্যমে পরোক্ষ সমর্থন যুগিয়ে আসছে। কোম্পানিগুলোর অনৈতিক ও ভ্রান্ত প্রলূব্ধকরন বিজ্ঞাপন মানুষকে এ ধরনের খাদ্যগ্রহনে উৎসাহী করেছে। কোম্পানিগুলোর নীতিহীন ও ভ্রান্ত প্রচারণা বন্ধের লক্ষ্যে ও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
কোম্পানিগুলোর এ ধরনের কার্যক্রমের জন্য কি ধরনের শাস্তি প্রদান করা হবে?
আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?
আগামী দিনে খাদ্যে এ ধরনের বিষ ব্যবহার বন্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যদি দায়ি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়। তবে আগামী দিনে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহনের লক্ষ্যে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহী করা হবে।
জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করা আমাদের সরকারে নিকট দাবি
গুড়ো দুধে মেলামাইন ব্যবহারকারী কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স বাতিলসহ, কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
১.খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল বন্ধের লক্ষ্যে ভোক্তা আইন প্রণয়ন করা।
২.কোম্পানিগুলোর অনৈতিক, ভ্রান্ত, প্রলুদ্ধকরণ বিজ্ঞাপন বন্ধ করা।
৩.বিদেশ হতে আগত সকল খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করা।
৪.বিদেশী এধরনের বিলাসী খাদ্য গ্রহনের লক্ষ্যে মানুষদের নিরুৎসাহী করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫.বিএসটিআইকে শক্তিশালী করা।
৬.শিশুদের জন্য মায়ের দুধ ও সম্পুরক খাদ্য গ্রহনে উৎসাহী করার লক্ষ্যে সরকারীভাবে ব্যাপক প্রচারণা গ্রহণ।
৭.শিশুদের গুড়ো দুধ খেতে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসার করার অধিকার সরকার কাউকে প্রদান করতে পারে না। মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা সরকারের সাংবিধানিক দায়। এ দায় পালনে ব্যর্থ হলে সরকার সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে দায়ী হবেন। আমরা বিশ্বাস করি সরকার দেশের মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে এ বিষয়ে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।