somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পালিত হয় ওয়ার্ল্ড কার ফ্রী ডে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জ্বালানী সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে কারমুক্ত দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রাইভেট কার বৃদ্ধির মাধ্যমে যানজট, রাস্তাঘাটের নির্মাণ ব্যয়, দূষণ, জ্বালানীর ব্যবহার ও দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিনোদনের জন্য উন্মূক্ত স্থান ও শিশুদের খেলাধূলার জায়গা কমে আসে। দীর্ঘস্থায়ী নগর পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পথচারী, সাইকেল, রিকশা ও উপযোগী পাবলিক পরিবহণের সমন্বয় করা প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। এ লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান বিভিন্ন শহরে ১৯৯০ সালে কারমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রথম বিশ্ব কারমুক্ত দিবস পালন করলেও ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশে দিবসটি পালিত হতে থাকে। এখন বিশ্বের অনেক শহরেই প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণে নেয়া হচ্ছে জোর পদপে।



অল্প জায়গায় বেশি যাত্রী পরিবহণ করা যায় সেই ধরনের বাহনকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের উপর জোর দেন। সেক্ষেত্রে বাসের সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। ঢাকায় বর্তমানে প্রাইভেট কারের ব্যবহার অত্যধিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। প্রাইভেট কারে চলাচল নিরুৎসাহিত করতে পাবলিক বাস, হেঁটে ও সাইকেলে চলাচলের সুবিধা থাকা প্রয়োজন। এ সকল সুবিধা না থাকায় ঢাকায় অনেকেই বাধ্য হয়েই প্রাইভেট কার ব্যবহার করছেন। উন্নত বাস সার্ভিস চালুর মাধ্যমে প্রাইভেট কারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা সম্ভব। সেক্ষেত্রে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এর জন্য নগর পরিবহণ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।

একটি বাসের সমান যাত্রী পরিবহণ করতে প্রায় ত্রিশটি প্রাইভেট কার প্রয়োজন পড়ছে। এছাড়া প্রাইভেট কার বৃদ্ধির সাথে সাথে বৈদেশিক মূদ্রার অপচয়, দূষণ, জ্বালানী ব্যয়, দূর্ঘটনা, পরিবহণ খরচ এবং সর্বোপরি যানজট বৃদ্ধি পায়। তাই প্রাইভেট কারের পরিবর্তে মানুষকে বাসে চড়তে উৎসাহী করতে হলে বাস সার্ভিসের উন্নয়ন ও স¤প্রসারণ করা প্রয়োজন। অন্যন্য পরিবহণের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকার সর্বত্র বাসে চলাচলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে হাঁটা, সাইকেল ও রিকশায় চলাচলের সুষ্ঠূ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদপে গ্রহণ জরুরী।

পর্যাপ্ত বাস, যাত্রী ছাউনী, বাসের জন্য পৃথক লেন এর ব্যবস্থা করা; নগরভিত্তিক বাস আমদানীতে কর কমানো ও প্রয়োজনে ভর্তূকি দেওয়া; প্রাইভেট কারের আমদানী কর বৃদ্ধি করা; একদিন বেজোড় সংখ্যা এবং অন্যদিন জোড় সংখ্যার লাইসেন্স অনুযায়ী প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা; নগরের ব্যস্ততম এলাকায় প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে কনজেশন চার্জ গ্রহণ করা; সকল স্থানে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা ও সময়ের মূল্যানুসারে পার্কিং ফি গ্রহণ করা; প্রাইভেট কারের লাইসেন্স বরাদ্দ সীমিত করা; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অফিস আদালতে প্রাইভেট গাড়ির পরিবর্তে পাবলিক পরিবহণের ব্যবস্থা করা; প্রাইভেট কার এর পার্কিং হতে প্রাপ্ত অর্থ পাবলিক পরিবহণের মানোন্নয়নে ব্যয় করা প্রয়োজন।


যানজট হ্রাসের অতিসত্ত্বর প্রাইভেট কার ব্যবহারে নিরুৎসাহী করতে বাসের যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে পদপে গ্রহণ জরুরী। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় যাদুঘরের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টসসহ বেশ কিছু পরিবেশবাদী সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে বিশ্ব কারমুক্ত দিবস ২০০৯ পালিত হয়।

ঢাকা রিকশা, ঢাকা পরিবহন ব্যবস্থা
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×