No foot over bridges in the name of clean air!!
ঢাকায় বিশুদ্ধ/নির্মল বায়ুর নামে ফুটওভার ব্রিজ নয় !!
এই দাবী নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে বছর কয়েক আলোচনা চলেছে। প্রথমে অনেকেই বলেছিল যে বিশাল সমুদ্রে ঢিল ছুড়েছি। বিশ্বব্যাংক এই রকম ইস্যুতে কোন পাত্তা দিবে না।
প্রথম কয়েক মাস শুধু উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। সারা পৃথিবী জুড়ে জনবান্ধব পরিবহন নিয়ে যারা ভাবেন তখন অনেকেই সমর্থন জানিয়েছে। অবশেষে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে উত্তর আসে।
আলোচনার জন্য ডাক আসে। আলোচনা আর অযুক্তির পাল্টা যুক্তি। ততদিনে বছর শেষ। দেশে বড় বড় সুশীল, ঠিকাদার পোষা বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী তখনও ফুটওভার ব্রিজের পক্ষে। তারা সবাই গাড়িতে করে মিটিংয়ে আসেন। কষ্ট হয় বলে ১ম তলায় উঠেন লিফট ব্যবহার করে। কিন্তু তারাই আবার এই অশিক্ষিত আইন না মানা বাঙ্গালীকে আইন শেখাতে ৩/৪ তলা উচুঁ ফুটওভার ব্রিজে তুলতে চান শুধুই তাদের গাড়ির গতি বাড়ানোর স্বার্থে।
কিন্তু কতটা বেড়েছে গতি? এই প্রশ্নের উত্তরই যাদের কাছে নেই। তারাই ঢাকার পরিবহন নিয়ে পরিকল্পনার মূল দায়িত্বে বসে আছেন শুধুই মাত্র ঠিকাদাদের মুনাফা নিশ্চিয়তা দেয় বলে।
তারা কোনভাবেই প্রমাণ করতে পারেনি কি করে ফুটওভার ব্রিজ ঢাকার বায়ুর মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বা রেখেছে। নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ ( CASE) প্রজেক্ট এ এই অকাজ ঢাকায় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
একথা সত্য ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থার প্রকল্পগুলো যতটাই না জনস্বার্থ তারচেয়ে বড় ঠিকাদারের মুনাফা। আর এই মুনাফার নিরবিচ্ছন্ন জোগানদাতারই ফুটওভার ব্রিজের মত জনস্বার্থ বিরোধী প্রকল্পের পক্ষে নিরাপত্তা, বায়ুর মান উন্নয়ন, বাঙ্গালী অসভ্য, গাড়ির গতি প্রভৃতি মনগড়া যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন।
নাহ এই ভাড়াটে বিশেষজ্ঞদের কোন যুক্তিই টিকেনি শেষ পর্যন্ত। বিশ্বব্যাংক পরিবহন বিশেষজ্ঞরা অবশেষে একমত হল যে ফুটওভার ব্রিজ কোন ভাবেই সুষ্ঠু পরিবহন পরিকল্পনার অংশ হতে পারে না।
বিশ্বব্যাংক ঢাকায় আগামীতে জনস্বার্থ পরিপন্থী ফুটওভার ব্রিজ তৈরিতে আর বিনিয়োগ করবে না এটি এক প্রকার নিশ্চিত।
এটি বিশেষ কোন অর্জন নয়। তবে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি, নারী, শিশু, বৃদ্ধাদের জন্য এটি তখনই অর্জন হবে যখন পর্যাপ্ত জ্রেবাক্রসিং তৈরি হবে ঢাকায়।
আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহ জনস্বার্থ বিবেচনায় আগামীতে ফুটওভার ব্রিজের মত অপরিকল্পিত, অসুস্থ পরিকল্পনা থেকে বের হয়ে আসবেন।
ঠিকাদারদের স্বার্থ বিবেচনায় কোন পরিকল্পনা এবং প্র্রকল্প নয়। প্রকল্প হোক জনস্বার্থ বিবেচনাকে গুরুত্ব দিয়ে।
আপনাকে ধন্যবাদ সাহস, পরামর্শ,সমর্থন দেওয়ার জন্য।
ঢাকা জনবান্ধব নগর হোক। ঠিকাদারদের মুনাফা বৈধতা দেবার প্রকৌশলী জ্ঞান ও সুশীল নিপাত যাক।
উপরের ছবির মডেল Mithun Ismail ছবি কারিগর Khorshed Rinku
ছবি দুটি ২০১৫/১৬ সালে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবন্ধি ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, শিশু, বৃদ্ধা পথচারীদের দূর্ভোগের ছবি তোলা হয়েছিল তারই ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮