“যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙ্গল ঝড়ে” গান খানি শুনলে আপনার কার কথা মনে পড়ে? আর বলতে হবে না আমি জানি আপনি বলবেন দেবব্রত বিশ্বাসের কথা। ববীন্দ্র সংগীতে নতুন ধারার প্রবর্তক জর্জদা (দেবব্রত বিশ্বাস) অথচ রবিঠাকুরের কথা ও সুর থেকেছে অবিকৃত। ১৯২৮ এ প্রথম রবীন্দ্রনাথের সাথে সাক্ষাৎ, ১৯৩৮ সনে তার কনক দাসের সাথে রেকর্ড হয়। দেবব্রতের জন্ম ১৯১২ সনে, মৃত্যু ১৯৮০।
সাদাত হাসান মান্টো
তিনি ছিলেন উর্দূ সাহিত্যের বিতর্কিত কথাকার। মান্টোর গল্প মানেই সমাজের ছবি, স্ববিরোধ। বিতান্ডা। তীব্র প্রেম। ছিল ভবঘুরের জীবন, কখন ও রাস্তায় কখন ও গোরস্তানে, কখনো ফকিরের ডেরায়, ভীষন উচ্ছৃঙ্খল জীবন ছিল তার। নিজেই বলেন, যখন আমার হাতে কলম ধরা নেই মানে আমি সাদাসিদে “সাদাত হাসান” কিন্ত কলম ধরা মাত্রই আমি “মান্টো”। জন্ম ১১ই মে ১৯১২, মৃত্যু ১৮ই জানুয়ারী ১৯৫০।
ঊস্তাদ আমীর খান
খা সাহেব গান ধরেছেন, বিচরন করেছেন এক রাগ থেকে অন্য রাগে – ভাটিয়ার থেকে শুরু, চলে যান আহির ভৈরোঁয়া, সেখান থেকে বৈরাগী, রাগের প্রান প্রতিষ্ঠা আর কত ভাবে যে বিস্তার সম্ভব, তা খাঁ সাহেবের গান শুনে বোঝা যায়। ১৯৭১ এ পদ্মভূষন। কবীর সুমনের গানে তাকে শ্রদ্বা জানাই “আমীর খানের বোনা মেঘে, কাটিয়াছি কত রাত জেগে”। জন্ম ১৫ আগষ্ট ১৯১২, মৃত্যু ১৯৭৪।
সাগরময় ঘোষ
সর্ব বামে বসা
সময়কে বুজে নেবার সময়োচিত সাহিত্য মেনু তৈরি করে তা যথাযথ ভাবে পরিবেশন করাই একজন সম্পাদকের সব চেয়ে কঠিন কাজ। আর সেই কঠিন কাজটাই খুব সহজ অবলীলায় করে যেতেন দেশ পত্রিকার সম্পাদক সাগরময় ঘোষ। তার দয়ায় তার প্রশয়েই অনেকে লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জন্ম ২২শে জুন, ১৯১২, মৃত্যু ১৯৯৯।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস
আমার কাছে “শঙ্খচিল” সুনলেই কেমন যেন মনে পরে হেমাঙ্গ বিশ্বাস এর নাম। বাংলা লোক সংগীতের খ্যাত নামা শিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাস। তার গাওয়া ভাটিয়ালি সুর আপনাকে মেঠো পথে টেনে নিয়ে যাবে। হেমাঙ্গর লেখা গান মানুষকে আনন্দ দেয়। হেমাঙ্গ বিশ্বাস গলা শুনা যাবে “মেঘে ঢাকা তারা”, কোমল গান্ধার” ছবিতে, “আমরা করব জয়, নিশ্চয়” এই অমর গানটির সুর ও স্রষ্টা হেমাঙ্গ বিশ্বাস. জন্ম ১৯১২ সালে মৃত্যু ১৯৮৭ সালে
জোতিরিন্দ্র নন্দী
কুমিল্লার লোক জোতিরিন্দ্র নন্দী। সাহিত্য চর্চা ছাড়া আর কিছু করার তেমন ইচ্ছে ছিলনা, কোন চাকুরিই বেশিদিন করতে পারেননি। একের পর এক চাকুরী ছাড়ছেন লেখালেখির জন্য। জোতিরিন্দ্র নন্দী ছোট গল্প বেশ লাগে। প্রথম ঊপন্যাস সূর্য্যমুখী। “মীরার দুপুর”, “প্রেমের চেয়ে বড়”, “বারো ঘর এক ঊঠান”, “এই তার পুরুস্কার” পরে দেখতে পারেন। জন্ম ২০ আগষ্ট ১৯১২, মৃত্যু ৩ আগষ্ট ১৯৮২
আমার এ লেখাটি আমি ঊৎসর্গ করলাম “দিকভ্রান্ত*পথিক” কে, যেভাবে শুরু করছেন, অবাক হয়ে ভাবি আমি কেন আপনার মত সাহসি হতে পারি নাই। প্রতিবাদ শুরু হল আপনার মত কোন সাহসী যুবক দ্বারা। ভাল থাকুন। দিক দেখান আরো অনেককে।
খ্রীষ্টীয় নতুন বছরে সবাই ভাল থাকুন, সুখে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আনন্দ। আনন্দ
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



