somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শের শায়রী
অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

বিধাতার অসীম করুনা চমৎকার সব মানূষগুলোর সাথে আমার পরিচয় ছিল

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু ঋন আছে যা শোধ করতে ইচ্ছে হয়না। মনে হয় শোধ করতে চাওটাই অকৃতজ্ঞতার নামান্তর। জীবনের এই মাঝ পথে এসে পিছনে ফিরে দেখি আমার জীবনের অনেকখানি জায়গাই তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাপ্তিতে পূর্ন। এমন অনেক কথা আছে যেগুলো মুখে বলা যায়না, কিবোর্ডে আঙ্গুল চালাতে হয় আশা যদি কোন দিন তাদের চোখে পড়ে

কার কথা লিখব? অসংখ্য প্রিয় মুখ এসে ভিড় করে। আমি শুধু এইটুকুই বলতে পারি তাও আর এক জনের কাছ থেকে ধার করে “ গ্রহন করেছ যত ঋনী তত করেছ আমায়”।

রাজা তোমার কি মনে পড়ে ইউনির্ভাসিটির সেই ক্লান্ত দুপুরগুলো? আমার মুখের দিকে তাকিয়ে যখন বুজতে আমি খাইনি জোর করে ধরে নিয়ে গেছ কোন হোটেলে? টাকা নেই মাসের শেষে বইর মধ্যে পেয়ে গেছি প্রয়োজনীয় টাকা। আমার চোখে পানি এসে যেত, তুমি দেখ নি রাজা, দেখলে কিনা বকাই দিতে এই ভয়ে।

ব্যাঙা মাসুদ এখন লন্ডনে, মাসুদ তোর কি মনে আছে ক্লান্তিহীন ভাবে তুই আর আমি কত দিন কত জায়গায় টিঊশনির জন্য ভাইবা দিয়েছি? তোর কত অক্লান্ত পরিশ্রম ছিল কি ভাবে আমাকে একটা ভাল টিঊশনি পাইয়ে দেয়া যায়।

মেরাজ, সেই কক্সবাজারে ফিল্ড ট্যুরে আমি যাখন বাসে বসা ছিলাম, আর সবাই কেনা কাটায় ব্যাস্ত তুমি অতি সংগোপ্নে আমাকে ১০০ টাকা দিয়েছিলে, বলছিলে যাও পছন্দ মত কেনাকাটা কর, মেরাজ টাকাটা আমি কিন্ত এখনো ফেরত দেইনি, বাপেক্সে বসে কি একবারো সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে। টাকাটা হয়ত সামান্য কিন্ত ওই সময়টা ছিল অসামান্য।

অসিত বরিশালে আমি যখন প্রচন্ড হতাশায় নিমজ্জিত, তুই আমাকে ফোন করে ঢাকায় এনে আমাকে তোর পাওনা চাকুরী দিয়ে দিয়েছিলি।এত ভালবাসা আমি কোথায় রাখি।

খালেদ তোর সময় তুই ছিলি ঢাকা ভার্সিটির অন্যতম রাজনৈতিক অস্ত্রবাজ। পেপারে প্রথম পেজে ফাইট করা অবস্থায় তোর ছবি আসত অস্ত্র হাতে, কিন্ত আমি কি করে ভূলি আমার বাবা মারা যাবার পর আমার সাথে কোন কথানা বলে এক সাথে চোখের পানি ফেলছিস? কোন স্বান্ত্বনা না। কোন কথা না। নীরব সহমর্মিতা। কত অসাধারন অন্তরিক প্রকাশ একজন সমাজ বিরোধী অস্ত্রবাজের। ভাললাগে যখন জানি তুই একটা বিরাট নাম করা ব্যাঙ্কের অনেক বড় পদে কাজ করছিস।

রাজুর কাছ থেকে আমি আজ পর্যন্ত কিছু চেয়ে না শুনিনি।। বলতে পারিস রাজু আমি তোকে কি দিয়েছি?। কিছু দেই বা নাদেই আজীবন কিন্ত চেয়েই যাব।

রুবেল ভাই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের ২১৯ নং রুমে আপনি আমি মিল্টন ভাই, পাগলা ডিঊক, খালেদ, একটা পরিবারের মত বাস করতাম। আপনি আজ অনেক উচ্চপদস্থ অফিসার। অথচ কি অনায়াসে আপনার ভালবাসা এখনও টের পাই।

রুনু, চা বাগানের নীরবতার সাথে তোর মৌনতার প্রতিযোগিতায় কে জিতল? আমার বিশ্বাস তুই জিতছিস। তোর নিরবতার সাথে নিস্পলক চাহনি সবার মনে আতংক তৈরী করত। অপাত মৌনী রুনুর সর্বক্ষনের সাথী ছিল ভয়ংকর সব অস্ত্র সেই সময়। আপাত মুডি রুনুর চমৎকার মনের প্রকাশ আমি দেখেছি।

নাজমুল ভাই আপনি না থালে আজো বলি আমার ইউনির্ভাসিটির চৌকাঠ পেরোতে হত না। আপানার প্রেরনা জোগান কথা বার্তায় আমকে সব সময় ব্যাতিব্যস্ত রাখত একটু ভাল রেজাল্ট করার অনুপ্রেরনায়।

৫২৩ এর তাপস কোথায় তুই? খুব অল্প বয়সেই জীবনের খ্যাতির শিখরে পৌছে গেছিস। আমি গর্ব করি তাপস কে নিয়ে নিজাম ভাই কে নিয়ে

দু এক জনের কথা লেখতে যেয়ে আমি দেখি অবিচার করছি বাকী হাজারজনের উপর সব সময় যেমন করি। তারপরও আমি বিশ্বাস করি আমার ভালবাসার জনেরা জানে আমার স্মৃতির দৈন্যতা আছে কিন্ত মনিকোঠায় ঠিকই তারা জ্বল জ্বল করছে।

বড় মানুষদের সান্নিধ্য আমি পাইনি, বিশেষ করে পত্রিকার পাতায় যাদের নাম সবসময় দেখা যায়। তবে এই রকম কিছু অতি সাধারন মানুষ দেখে অসাধারন মানূষদের সান্নিধ্যর অভাব বোধ করিনি। বিধাতার অসীম করুনা চমৎকার সব মানূষগুলোর সাথে আমার পরিচয় ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×