যখন ই এটা জাতীয় আন্দোলনে রূপ নিতে শুরু করল নড়ে চড়ে বসল বাংলার খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ রা। এখান থেকে কি ভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে বৃহৎ দু দল গবেষনায় বসল । তড়িৎ পদক্ষেপ নিল আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। আস্তে আস্তে এই গনজাগরন কে একটা দলীয় রূপ দিতে শুরু করল তৈরী হয়ে গেল জামাতের হস্তক্ষেপের সুযোগ। জামাত পেয়ে গেল প্রতিপক্ষ।
ওদিকে বিএনপি ধীরে চল নীতি তে অনেক বি এন পি মনা কর্মী আন্দোলনে যোগ দিলেও দলীয় নির্দেশনার অভাবে ব্যাক্তিগত মানসিকতায় জামাত প্রতিরোধ আন্দোলনে সামিল হয়।এই সুযোগে জামাত বিএনপির দোদুল্যমনতার সুযোগ পুরো কাজে লাগায়। আবারো আওয়ামী বিএনপি প্রায় মুখোমুখি করে ফেলে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ যখন বুজতে পারল এটা একটা গন জাগরন তারা আন্দোলনের সাথে একাত্তা ঘোষনা করে। জামাত আবার প্রমাদ গোনে।
সারাদেশ তখন একসুরে কথা বলতে শুরু করছে যেমন বলছিলো ৯০ আন্দোলনে। চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে যায় জামাত নেতাদের। এতদিন দুই দলের নেতাদের মূর্খামিকে কাজে লাগিয়ে চলছিলো, দেরীতে হলেও উভয় দলের সুবুদ্ধিতে জামাত তখন হতচকিত। এই বার তারা কাজে লাগাল নাস্তিকতা। আবার ও দেশে মানূষের মধ্যে ধিদ্ধা। তবে কি এই আন্দোলন ঈমানদার দের সাথে নাস্তিকতার যুদ্ধ? এই ধিদ্ধা থেকে খুব অল্প সময়ে দেশ মুক্ত হয়ে গেল। সবাইকে পরিস্কার ভাবে বুজানো গেল এটা আস্তিক নাস্তিক যুদ্ধ না। দেশ আবার সংগঠিত।
এইবার জামাত তার সবচেয়ে নোংরা চাল দিল আমার প্রিয় নবীকে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে তাদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করল। যারা তাদের নোংরামিকে ঢাকার জন্য আমার প্রিয় নবীকে ব্যাবহার করে আল্লাহ তাদের ওপর লানত বর্ষিত করুন। শাহবাগে নবী কে নিয়ে কুৎসা রচনা করছে কারা বলছে এই কথা? আর কেউ যদি প্রমান করতে পারে এটা সত্যিই হয়েছে আমি কথা দিচ্ছি আমি শের শায়রী আমি সবার আগে জিহাদে যাব। আমার ভালবাসার মানুষ কে নিয়ে কুৎসা রচনা করলে তার মূল্য তাকে পাই পাই দিতে হবে।
ব্লগার রা নাকি ব্লগে অনেক কথা লেখে। আরে ভাই আনেকে তো নেটে পর্নো ঘটনা লেখে তাই বলে কি সেটা ব্লগারদের অপবাদ না যারা লিখল তারা ব্লগার হয়ে গেল? আপনার মহল্লায় কি চোর গুন্ডা নাই? তাই বলে কি সবাই চোর গুন্ডা হয়ে গেল ?
জামাতের টার্গেট কারা
জামাতের এখন টার্গেট হল বাংলার অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত মানূষগুলো একটু খেয়াল করুন যারা জামাতের কথায় যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে মাঠে নামছে তারা কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে নামেনি। নেমেছে প্রিয় নবীর নামে কান কথা শুনে।
আপ্নারা এই সব অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত মানূষগুলোকে আমাদের প্রতিপক্ষ বানাবেন না দয়া করে। জামাতের চাওয়াই এটা। আপ্নারা যদি আজকে এই মানূষগুলোকে প্রতিপক্ষ ভাবেন তবে কোথায় আপনার বিচার বুদ্ধি গেল? এ ক্ষেত্রে আমি আমার গত কালের লেখাটা আর একবার পড়ার অনুরোধ করব
শাহবাগের নেতারা আপনারা ভূল করছেন।
তাহলে কি করবেন মাননীয় স্টেজে উপবিষ্ট নেতৃবৃন্দ?
টার্গেট করুন জামাত কোথা থেকে এই ধরনের সহজ সরল মাণূষ গুলোকে সংগ্রহ করে? একটু খোজ নিলেই জানবেন। দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকে আমি ছোট্ট একটা পত্রিকা তথ্য দেই কামরাঙ্গীরচর। চলে যান ওখানে বা ওনাদের ওখান থেক আনার ব্যাবস্থা করেন তাদের ভূল ধারনা ভেঙ্গে দিন দেখবেন জামাত যে চাল দিছি সেই চালে তারাই ধরাশায়ী হবে। এই রকম জামাতি দূর্গে আঘাত হানুন। ম নে রাখবেন Offense is the best defense.
বেশী কি আর লিখব সন্মানিত শাহবাগের নেতারা। আপ্নারা জ্ঞানী মানূষ অল্পতেই বুজতে পারেন তবে সামান্য আর একটা কথা বলে যাই নেতারা এই আন্দোলন যদি কোন রকম ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয় সবার আগে কিন্তু আপনাদের খবর আছে। আশিক্ষিত আর্ধশিক্ষিতের কাছে মুরতাদ হিসাবে প্রমান হবেন আর সচেতনদের কাছে দালাল হিসাবে প্রমান হবেন। আপানাদের পাশে কিন্তু আওয়ামী লীগ, বিএনপি কাউকে পাবেন না। পারবেন কি কোন ব্যাক্তিগত মোহ থাকলে বের হয়ে সাধারনের সাথে এক হতে। বিজয় নিয়ে আসুন আপনারাই আমাদের কাছে হবেন নেপোলিয়ন। ভবিষ্যতের আলোকর্তিকা। এই সুযোগ হেলায় হারাবেন না।
বের হয়ে আসুন দলীয় সংকীর্নতা থেকে জনগনের আন্দোলন জনগনের র মত চালান। আপনাদের আন্দোলন যত তাড়াতাড়ি সুফল আনবে আপ্নারাও ভাল থাকবেন আমরাও ভাল থাকব।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০২