‘ মঁ ’ র পথে যেতে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মঁ কে আমি মান বলে কি ভুল করেছি
ফ্রাংকো ফোনের দেশে মঁ ই বলতে হবে
বহুদুর পথ তবুও নতুনের হাতছানিতে
আবিদজান থেকে বিরামহীন পথ চলা
বিশাল বনপথের বুক চিরে বানানো মোটরওয়ের উপর দিয়ে,
দুপাশে আকাশ ছোয়া গহীন বনের মাঝ দিয়ে বানানো পথে।
কোথাও কাকাও গাছ কোথাও বা নাম না জানা অজস্র বৃক্ষ,
বাওয়ার গাছও আছে এদের সাথে
পথ চলতে চলতে এক চিলতে দেখে যাওয়া।
মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যায় কাল পাথরে খোদাই করা মানুষ গুলোর সাথে
ওরা বয়ে নিয়ে চলছে কাসাভা কিংবা প্লানটেনের বোঝা
ওরা পথ চলে ,মাটির দিকে তাকিয়ে ঘামে ভেজা শরীরটা টেনে নিয়ে চলে
তার ছ্ট্টো কুড়ের কাছে, বা কখনো স্থানীয় বাজারে।
পথে যেতে যেতে গাড়ীর উপর হুমড়ী খেয়ে পড়ে
কোন আগুটি বিক্রেতা হাতে পাঁচ ছটা ঝুলানো স্বাস্থ্যবান ইদুর,
আনারস কিংবা কলা বিক্রেতারাও থাকে পথের পাশে পাশে যদি কেউ কেনে ফলমুল।
বহুদুরে চলে গেছে মোটর ওয়ে, বাঁকহীন সোজা
মাঝে মাঝে গ্রামের কাছে দিয়ে যাওয়ার সময়
কুকুর গুলো চিৎকার করে গাড়ীকে ধাওয়া করে
তারা গ্রামের জাগ্রত প্রহরী যেন শত্র“ বিনাশ করবেই
গ্রামগুলো নিষ্প্রান, ছোট্ট কুড়ে গুলোতেই মানুষের দিন গুজরান
গ্রাম, বাজার, নানা ফল, বুশমিট, আগুটি
সাসান্দ্রা নদী থেকে ধরে আনা পঁয়সো বিক্রি হচ্ছে।
এরা সব খেটে খাওয়া নিতান্ত দরিদ্র মানুষ।
প্রাচুর্যের দেশের মানুষ হয়েও এরা বিচ্ছিন্ন প্রাচুর্য থেকে ।
এক সময় রাজধানী ইয়ামাসুকুরুর দিগন্ত দেখা যায়
তারপর বাসিলিক ডানে ফেলে দালোয়ার পথ তাও কয়েকশো মাইল রাস্তা,
বামে সানপেড্রোর সোজা পিচ ঢালা পথ রেখে ডানে মঁ অভিমুখে যাত্রা।
সাসান্দ্রা নদী, একলা নৌকায় জেলে ,পানির মধ্যে বিশাল সব ডাল পালা।
স্থির নদীর পানি দেখে দেখে বনপথ ধরে দ্রুত মঁ র পথ।
দূর থেকে টুইন পিক দেখা গেলেই মনটা নেচে উঠে মঁ এসে গেছে।
দীর্ঘপথ ভ্রমনের শেষ গন্তব্য এসে গেছে তবে শুধু আমাদের জন্য।
এই পথ চলে গেছে ওডিয়েন, ফার্কে সুদুগু হয়ে বুরকিনা ফ্রাসো কিংবা মালির ভেতর, তবে তা বহুদুর পথ আরো এক যাত্রায় তার শেষ হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন