পুত্রজায়া - ১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কৃত্রিম লেকের উপর ব্রিজ, পুত্রজায়া
পুত্রজায়ার বিশাল কৃত্রিম লেকের উপর অনেক গুলো ব্রিজ, প্রতিটা ব্রিজই আলাদা ডিজাইন এবং দৃষ্টিনন্দন। বিকেল হয়ে যাচ্ছে, এখানে সন্ধ্যা হয় ৭ টার দিকে, এসময় দেখলাম ফেরী করে লেক ভ্রমন করা যায় । দ্রুত সেখানে গেলাম, শেষ ট্রিপ বিকেল ৬ টায় । টিকেট কিনলাম, হাতে আরো ৩০ মিনিটের মত সময় আছে। জেটির আশে পাশে ঘোরাঘুরি করে সুভেনির সপে ঢুকলাম ।
পুত্রজায়ার সুভেনির আছে সব চীনের তৈরী, দাম একটু বেশীই মনে হলো। দোকানী মহিলা বলল সাতটার সময় দোকান বন্ধ হয়ে যায় । হাতে করে সুভেনির নিয়ে ফেরীতে যাব এটাও ইচ্ছা করছিল না, তাই ফেরীতে উঠে বসলাম, সুন্দর বসার ব্যবস্থা । জানালা দিয়ে চারিদিকের দৃশ্যদেখা যায়, ছাদে ওঠার সিড়ি আছে । ফেরীর সামনে দাঁড়িয়ে আসে পাশের দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা আছে । ফেরী চলতে শুরু করল । একদিক থেকে যাত্রাকরে লেকের শেষ পর্যন্ত গিয়ে আবার ফেরত যাত্রা প্রায় ১ ঘন্টার মতো সময় লাগে পুরো ভ্রমনে। যেতে যেতে ব্রিজ গুলোর নীচ দিয়ে পার হলাম । একটা ব্রিজ অসম্পন্ন বাকী গুলোতে পারাপার হয় ।
লেকের দুপাশে গড়ে উঠা পুত্রজায়া শহর ও এর মনোরম ইমারত গুলো দেখছিলাম আর ক্যামেরাতে জুম করে ছবি তুলছিলাম । বাচ্চারাও বেশ মজা পেল ফেরী ভ্রমনে । সব দেখে যখন ফেরী জেটিতে ফিরে আসে তখন সন্ধা হয়ে গেছে। দেখলাম সুভেনিরের দোকান খোলা, ভিতরে গিয়ে পছন্দের একটা সুভেনির কিনলাম । কোয়ালিটি যদিও ভাল তবে একই ধরনের এই সুভেনির অনেক কম দামে পাওয়া যায় ।
ড্রাইভার মোহাম্মদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল । মোবাইলে কল করলাম, গোধুলীর আলোতে পুত্রজায়ার কিছু ছবি তুলে কুয়ালালামপুরে ফিরতি পথে রওয়ানা হলাম । আসার পথে সরকারী অফিসারদের বাসা গুলো দেখলাম, সাজানো গোছানো ফ্লাট বাড়ী । লোকজন ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেছে । তাই জন মানুষ শুন্য মনে হচ্ছিল এলাকা । রাতের কুয়ালালামপুরের দৃশ্য দুর থেকে দেখতে দেখতে এগুচ্ছি।
দুর থেকে টুইন টাওয়ার ও কে এল টাওয়ার এর ঝলমলে আলো দেখা যায় । চলতে চলতে টোল প্লাজায় চলে এলাম । আমাদের হোটেল পরিবর্তন করতে হবে । তাই একটা হোটেল ঠিক করার জন্য বললাম মোহাম্মাদকে । বুকিং বিনতাং এলাকায় এসে একটা হোটেলের সামনে থামলাম । লংকাউই থেকে ফিরে এসে এখানে থাকব ঠিক করলাম । রেট একটু বেশি । তবে হোটেল ভাল হবে বলে মনে হল্ ো। পরে অবশ্য রুম না চেক করার জন্য এক রাত ভুগেছি । রাতে হোটেলে আসতে আসতে সাড়ে নয়টা বেজে গেল। একটু গুছিয়ে খাবার খেতে বের হলাম ।
দুপুরে জালান পেটালিং এলাকা লোকজনে গমগম করছিল। এখন তা নীরব । সব দোকান পাট বন্ধ । সব হোটেল ৮টা/৯টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় । একটা হোটেল খোলা পেলাম । শুধু বিরিয়ানী আছে । বাঙ্গালী ওয়েটার, তাই ভেতরে গেলাম। রাতে হোটেল এর পাশে চায়না টাউনে বেড়াতে বের হলাম। চায়না টাউনে দোকান পাট, ফুটপাত তখন ক্রেতা বিক্রেতায় ভর্তি । রাত এগারোটা পর্যন্ত এটা খোলা থাকে । প্রায় সব জিনিসি এখানে পাওয়া যায় । অনেক বাঙ্গালী বিক্রেতা আছে । বেশিক্ষণ বাহিরে না থেকে কাল সকালে যেহেতু গেনটিং যেতে হবে তাই রুমে ফিরে এলাম । কুয়ালালামপুরে প্রথম দিনের বেড়ানো ভালভাবেই শেষ হলো ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন