somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লংকাউইতে প্রথম দিন

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আগষ্ট ২০১২

হোটেল থেকে বের হয়ে প্রথমেই গেলাম কেবল কার ষ্টেশনে । সুন্দর করে সাজানো এলাকা, লেক, ফুলের বাগান, সাজানো ঘর বাড়ী এবং বেশ কিছু সুভেনিরের দোকান। দূরে আকাশ ছোঁয়া খাড়া পাহাড়ের নীচেই কেবল কার ষ্টেশন এবং ওরিয়েন্টাল ভিলেজ । ক্যাবল কারের মেইটেনেন্স চলছে পরে আসতে বলল । একটু দমে গেলেও আসে পাসের ছবি তোলার জন্য এতই ব্যস্ত ছিলাম যে, খারাপ লাগেনি । সুন্দর প্রকৃতি এবং সাজানো পরিবেশ পেয়ে বাচ্চারাও বেশ খুশী । লেকের উপর কাঠের হ্যাংগিং ব্রিজ যা উঠলেই দুলে উঠে। এছাড়া পাকা ব্রিজও আছে। এ সব কিছুই পর্যটকদের জন্য বৈচিত্র এনে দেয়। একটু ঘোরাঘুরি করার পর যখনই ভাবছিলাম পরের স্পটে যাব, ঠিক তখনি জানলাম ক্যাবল কার আবার চালু হয়েছে। তাড়াতাড়ি কিউতে দাড়ালাম টিকেটের জন্য।


ক্যাবল কার ষ্টেশন
আমাদের গাইড কাম ড্রাইভার মুসা এসে বলল আমি টিকেট এনে দিচ্ছি। তার বিশেষ কার্ড আছে। ততণে লাইন বিশাল লম্বা হয়ে গেছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে মুসা টিকেট নিয়ে আসল। আমরা লাইন ছেড়ে সরাসরি এট্রি পয়েন্টে চলে গেলাম, সেখান থেকে সিড়ি দিয়ে ক্যাবল কার স্টেশনে যেতে হয়। এখানেই কারে লোকজন উঠে পরবর্তী গন্তব্যে রওয়ানা হয়। আমরা দুই বাংলাদেশী পরিবার এক সাথে একটা কারে উঠলাম। জেটিং হাইল্যান্ডের ক্যাবল কার থেকে এই কেবল কারে চড়ার রোমাঞ্চ অনেক গুন বেশী। প্রায় খাড়া ভাবে দ্রুত গতিতে পাহাড়ের দিকে এই কার উঠছে। কারে বসে দুপাশের পাহাড় সারি, সামনের বিশাল পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য এবং আশেপাশের এলাকা সুন্দর লাগে । সবচেয়ে ভাল লাগে একটু দূরে সাগরের মাঝে ছোট ছোট সবুজ দ্বীপমালা। নীল সাগরের বুকে যেন সবুজ ভাসছে। ছোট ছোট বোট ও নৌকা সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে কোনটা আবার ঘাটে বাধা। উপর থেকে এ দৃশ্য মনোমুগ্ধ করার মত।


পাহাড়ের গাঁ বেয়ে উছলে পড়া সাদা মোটা ফিতার মত জল প্রপাত, যদিও তা বেশ দূরে মনে হচ্ছিল । কিছুদূর চলার পর জল প্রপাতের উৎস মুখ দেখলাম কেবল কার থেকে। সাধারণত আমরা প্রপাতের নীচে থাকি, পানিতে গা ভেজাই প্রপাতের উপরের দৃশ্য তাই একটু অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দেয়। কেবল কারের ২ টা ষ্টেশন, প্রথম স্টেশনে অনেকে নেমে গেল। নতুন পর্যটক উঠল কয়েকজন। তারপর শেষ ষ্টেশনে নেমে অবজারভেশন ডেকের দিকে এগিয়ে গেলাম। বিশাল এলাকা নিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় কাঠ ও লোহা দিয়ে দর্শকদের জন্য এই অবজারভেশন ডেক। তিন তালা পর্যন্ত এই ডেক আছে।

সকালের রোদের আলো এবং মেঘের উড়ে যাওয়া এবং গা ছুয়ে যাওয়ার অনুভুতি এখানে পাওয়া যায়। ডেকে উঠে চারিদিকের প্রকৃতি মানুষকে বিহবল করে তোলে। পাহাড়, সাগর, গাছপালা সবমিলিয়ে প্রকৃতির মাঝে যেন নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করি । পাহাড়ের নীচে সাগরের দৃশ্য আরোও সুন্দর। গাঢ় নীল, সবুজ ও হালকা সবুজ সাগরের পানি একটা আরেকটা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। একটা পাত্রে তিন রং এর সমাহারের মাঝে আনন্দময় সাগরের বুকে ছোট ছোট বিন্দুর মত দ্বীপমালা। প্রাণভরে চারপাশ দেখলাম। নীচে কেবল কার পয়েন্টে হালকা ড্রিংকস ও খাবারের ব্যবস্থা আছে। মোম দিয়ে হাতের ছাপ দ্রুত বানিয়ে দেয়। একটা কাউন্টারে ছবি তোলার ও ব্যবস্থা আছে।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×