জিওফরেষ্ট পার্ক, বোটে ভ্রমন, আন্দামান সাগর ও কিলিম নদী দেখে সবার ক্ষুধা পেয়ে গেল। তিনটার বেশী বাজে তাই মুসাকে বললাম ইন্ডিয়ান খাবার খেতে চাই । প্রায় বিশ পঁচিশ মিনিট ড্রাইভ করে আমরা একটা ভারতীয় হোটেল পেলাম। এখানে বিরিয়ানী ও ড্রিংকস দিয়ে ভালকরে খাওয়া হলো। দাম রিজনেবল। দিনের আলো শেষের দিকে, দ্রুত ঘুরে আসতে হবে অন্যান্য সব স্পট । পরবর্তী গন্তব্য কোটা মাসুরি বা মাসুরীর সৌধ। এখানে লংকাউই দ্বীপের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানা যায়।
প্রায় ২০০ বছর আগের রুপকথার চরিত্র মাসুরীর নির্মম নির্যাতন ও মৃত্যুকে নিয়ে একটা আবহ তৈরী হয়েছে। এই রমনীর স্মৃতিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মিউজিয়াম। বড় স্কিনে মাসুরীর জীবন গাঁথা দেখানো হয়। দর্শকদের সাথে অবশ্যই সুভেনিরের দোকান এবং অতীত কালের রাজাদের ঘর বাড়ী এবং অন্যান্য জিনিষ পত্রের প্রদর্শনী রয়েছে। এখানে টিকেট করে ঢুকতে হয় । ভালই লাগল কিছু সময় ইতিহাসের সাথে থাকতে পেরে। এর পর দ্রুত গাড়ীতে উঠে আমরা মারদি এগ্রো পার্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। আমাদের ভাগ্য প্রসন্ন ছিল না । ৫টা বেজে গিয়েছিল, পার্ক বন্ধ হয়ে গেছে। এই পার্কে টিকেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে নানা জাতের ফল গাছ থেকে পেড়ে খাওয়া যায়। অনেক রকম ফলগাছ এবং বাগান বহু পর্যটককে আকর্ষন করে। মনটা যদিও কিছুটা খারাপ হলো তাই আর দেরী না করে বিখ্যাত ঈগল স্কোয়ার এর দিকে রওয়ানা হলাম। জেটি এলাকায় এই বিশাল ঈগল স্কোয়ার। বিশাল ঈগলের মূর্তি সামনে সাগর পেছনে দ্বীপের মাঝে খোলা চত্বর। সব কিছু সুন্দর ভাবে সাজানো । বহু পর্যটক এখানে এসে ছবি তুলছে । হাসি ও ক্যামেরার ক্লিক শব্দে এলাকা প্রানবন্ত ।
আমি এক ফাঁকে জেটি এলাকার পাশে টুরিজম মালেশিয়ার অফিস থেকে মালেশিয়া ভ্রমনের সুন্দর কিছু বুকলেট সংগ্রহ করে নিয়ে এলাম। সে দেশের সরকার পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য সুন্দর ও আকর্ষণীয় রঙে অনেক বুকলেট ছেপেছে পর্যটকদের মাঝে বিনামুল্যে বিতরণের জন্য। ঈগল স্কোয়ার এর মার্কেট এলাকা থেকে আইসক্রীম কেনা হলো। এরমধ্যে সূর্য ডুবু ডুবু করছে। আমাদের যেতে হবে দ্বীপের অন্য পাশে হোটেলে। সন্ধার পর হোটেলে ফিরে এলাম । আট ঘন্টার জন্য গাড়ী ভাড়া করেছিলাম দশ ঘন্টা কিভাবে যে কেটে গেল বুঝতে পারিনি। পরের দিনের প্রোগ্রাম ঠিক করে মুসাকে সকাল ৯ টায় আসতে বললাম । বিকেল থেকে আবহাওয়া একটু মেঘলা ও হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল তাই বাইরে যেতে ইচ্ছে করেনি । পরদিন যেন ভাল দিন পাই এই আশায় ছিলাম । আইল্যান্ড হপিং বা দ্বীপ ভ্রমন বৃষ্টিতে তেমন সুখকর নয় ।
রাতে হোটেলেই ডিনার সারলাম ফিস এন্ড চিপস্, রাইস উইথ চিকেন এবং ফেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে। খাবার ভালই লাগল। আবহাওয়া খারাপের দিকে , সুন্দর রোদঝলমল সকাল দেখব বলে ঘুমিয়ে গেলাম ।
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন