somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুয়ালালামপুর ঘুরে দেখা -২

১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






পেট্রোনাস টু ইন টাওয়ার
১লা জানুয়ারি ১৯৯২ সালে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১লা এপ্রিল ১৯৯৪। ৩ই আগষ্ট ১৯৯৯ সালে এই টাওয়ার উদ্ভোধন করা হয়। এই টাওয়ার বানাতে ১০৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার লেগেছিল। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত এই টাওয়ার পৃথিবীর উচ্চতম ভবন ছিল।আর্জেন্টাইন স্থপিত সিজার পেল্লি স্থাপনাটির নকশা প্রস্তুত করেন।৮৮ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারটি মূলত রিইনফোরসড কনক্রিট, ষ্টীল ও কাচের দ্বারা নির্মিত এবং এতে ইসলামিক স্থাপত্যের ছোঁয়া বর্তমান। এটার উচ্চতা ৪৫১.৯ মিটার। দূর থেকে দিনে ও রাতে এই টাওয়ার কুয়ালালামপুর শহরকে মোহনীয় করে তোলে।



টুইন টাওয়ারের নীচে বিশাল সুরিয়া কেএলসিসি শপিংমল। সমস্ত বিখ্যাত ব্র্যান্ডের দোকান এতে রয়েছে। আরো আছে খাবারের দোকান ও অন্যান্য জিনিসপত্রের সমাহার।

দূর থেকেই টুইন টাওয়ার দেখতে ভাল লাগে। কাছে এসে এত বিশাল ভবনের তার ছবি তোলা যায় না। উপরের দিকে তাকানোও বেশ কষ্টকর। সামনে খোলা জায়গা বিলবোর্ড ও মালোশিয়ান পতাকা দিয়ে সাজানো। এছাড়াও পার্ক ও ফোয়ারা রয়েছে আরেক পাশে।



বিশাল কারবার এর ভেতর, কি নেই এর ভেতরের দোকানগুলোতে। আমরা মালোশিয়ান পাবলিশিং হাউজের বিশাল বইয়ের দোকানে ঢুকলাম। এই দোকানের বইয়ের জগতে হারিয়ে যাওয়া যায়। সারাদিন পার হলেও খেয়াল থাকবে না কখন সময় কেটে গেছে। মহাথীর মোহাম্মদের আতœজীবনি ‘এ ডক্টর ইন দা হাউজ’ বইটা কিনলাম। একশত রিংগিত দাম। অনেক দিন ধরে বইটা খুজছিলাম, দেশে পাইনি। তবে লি কুয়ান ইউর বই দুটো পেলাম না এদের দোকানে।


সুন্দর কিছু গিক্ট কিনলাম গিক্ট শপ থেকে। সকালের হেভী নাস্তায় কারোর খেতে ইচ্ছে ছিল না। তাই বেড়ানোর পর নীচে নেমে এলাম। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যাধুনিক এবং নিরাপত্তা প্রহরীরা বেশ তৎপর ও সতর্ক। তাদের সাথে বাচ্চারা ছবি তুলল।

বাইরে কিছুক্ষন সময় কাটানোর পর মুসাকে কল দিলাম। গাড়ী পার্কিং বেশ দূরে এবং কল না দিলে ড্রাইভারকে আসতে দেয় না। মুসা এবার কুয়ালালামপুরের আরো কয়েকটা বড় ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে নিয়ে গেল। কেনাকাটার চেয়ে দেখলাম প্রাণ ভরে। বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করল কিছুক্ষন। খোলা মেলা জায়গার তো কোন অভাব নেই। ফিরে এলাম বুকিত বিনতাং। এবার বাচ্চাদের নিয়ে এল আর টি তে ঘুরব ঠিক করলাম।


কুয়ালালামপুর শহরে এই লাইট র‌্যাপিড ট্রানজিট ট্রেনগুলো চলে। উপর দিয়ে লাইন চলে গেছে। সিংগাপুরের মত এটা এখনো ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তার মূল কারণ এল আর টি রুট শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে এখনো যায়নি। তবে অদূর ভবিষ্যতে হয়ত এটা বেশ জনপ্রিয়তা পাবে।


হেঁটে ষ্টেশনে এলাম। এখানে যে গন্তব্যে যাব সেই গন্তব্যের জন্য টিকেট নিতে হয় এবং বেশ কড়াকড়ি ব্যবস্থা। আমরা কে এল সেন্ট্রাল এর টিকেট নিলাম।একটু পরেই ট্রেন চলে আসল, ছোট ট্রেন, উঠে বসলাম। দুপাশ দেখতে দেখতে চলছি। মাঝে ৩/৪টি ষ্টেশন, লোকজনের তেমন উঠানামা নেই। সবাই কে এল সেন্ট্রালেই যাবে। ভ্রমণ তেমন আরাদায়ক মনে হলো না। তবে নতুন একটা অভিজ্ঞতা। বাচ্চাদের কাছে সিংগাপুরের এম আর টি চড়তে বেশ মজা লেগেছিল। তারা ভ্রমণগুলো বেশ এনজয় করেছিল তখন। কে এল সেট্রাল এলাকা নতুন ও পুরাতনের মিলন মেলা। নতুন নতুন ভবন তৈরী হচ্ছে পাশে পুরাতন জীর্ন দোকানপাট ও রয়েছে।


ভারতীয় তামিল বংশদ্ভুত অনেক অধিবাসীর দোকান দেখলাম। তাদের ধর্মের বই, ছবি ও অন্যান্য পুজোর উপকরন বিক্রি হচ্ছে। এলাকাটা তেমন জমজমাট না। অথবা আমরা সঠিক জায়গাতে যেতে পারিনি। কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে আবারো ষ্টেশনে এসে ফিরতি টিকেট নিলাম।

যথা সময়ে ট্রেনে চেপে আমাদের গন্তব্যে। ‘বেশী মজা লাগেনি’ আমার মেয়ে বলেই ফেলল। থাক কি করা নতুন কিছু তো দেখা হলো। আমি বললাম- ওকে, ছোট্র উত্তর। বাকী সময় কেটে গেল ল-ইত প্লাজায় ও বুকিত বিনতাং বিপনী বিতান ঘুরে ফিরে।

বিকেলে ফিরে এসে কিছুক্ষন রেষ্ট তারপর রাত্রে আবারো ঘুরতে বের হলাম। ডিনার শেষে আবার কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি ও ঘোরাফেরা করে রুমে ফিরে এলাম। আজ সবাই টায়ার্ড তাই হিট দা বেড বেশ তাড়াতাড়িই হলো।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×