somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুয়ালালামপুর ঘুরে দেখা -৩

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সকালে উঠেই ঠিক করে নিলাম কোথায় যাব। আজ সারাদিন ফ্রি টাইম। বিদেশে এসেছি তাই সবাই চাইবে কিছু না কিছু গিফ্ট। এ কারনেই একটা দিন দেশ দেখা ছাড়তে হলো। প্রথমে ভেবেিেছলাম মালোশিয়ার ইষ্ট কোষ্ট অর্থাৎ সাউথ চায়না সি বন্দর এবং সেই প্রদেশটা দেখব। আমাদের ড্রাইভার ও রাজী ছিল। পরে তা বাদ দিতে হলো। আজকে আর মোহম্মদ নেই আমাদের সাথে। হোটেলে নাস্তা খেয়ে আশেপাশের বাংলাদেশী দোকানগুলোতে গেলাম। সেলসম্যানরা বলল তামিল ক্যাব ড্রাইভারের গাড়ীতে কখনও যাবেন না। মালয়ী বা চাইনিজ নিলে সমস্যা অনেক কম।
আমাকে বলল- ‘কোথায় যাবেন?’
মসজিদ ইন্ডিয়া রোডে।
ওখানে কি দরকার, এখানেই প্রায় সব পাওয়া যায়।
আগের বার ছিলাম ওখানে তাই একটু ঘুরে আসব।
দেখলাম তেমন আগ্রহী না। ঠিক আছে। ট্যাক্সি দেখছি। দুই তিনটা পার হলো। তামিল ড্রাইভার যাত্রী নিতে বেশ আগ্রহী, নিলাম না।


বুড়ো চাইনিজ ড্রাইবার পেলাম একজন, উঠে বসলাম। গাড়ী চলছি। বললাম মসজিদ ইন্ডিয়া। হু হু বলে উঠল পরে চলছে তো চলছে। কি করা। মোহাম্মদকে ফোন করে ড্রাইভারকে বোঝাতে বললাম। কিছুক্ষন পর এক জায়গায় ট্যাক্সি থামালো। মসজিদ ইন্ডিয়া বলে বসে রইল। নেমেই গেলাম সেখানে।


কিছু কেনাকাটা ছিল ভাল দামেরই কিনতে পেলাম এখান থেকে। এখানে বড় একটা ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর আছে হানিফা, মনে হলো মধ্যবিত্তের জন্য। বহু লোকের ভিড়, কেনাকাটা ধুমছে চলছে। প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস এখান থেকেও নিলাম। এক লিটারের আইসক্রিম বক্স নিলাম একটা। সবাই মিলে খাচ্ছি তবুও শেষ হয় না। এটা টানাও একটা ঝামেলা।
এরপর পশ একটা ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে ঢুকলাম। নীচ তালায় কসমেটিকস্ এর ষ্টল। সব ভাল ভাল ব্র্যান্ডের কসমেটিকস আছে। ক্লিনিক, বডিসপ আরো অন্যান্য দোকান। দোকানগুলোতে বেশ সুন্দর বিপনন ব্যবস্থা। সেলস গার্ল প্রায় সবাই মহিলা।
এই মেগাসপে নানান জিনিস সেল চলছে। জুতা, গেঞ্জি, হাতব্যাগ, ট্রাউজার বাচ্চাদের পোশাক ও বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী রয়েছে। জিনিসপত্র কেনাকাটায় অনেক সময় লাগল। এখানেই কে এফ সিতে বসে লাঞ্চ সেরে ফেললাম।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে আাকাশে একটু মেঘও উঁকি দিচ্ছে। আমরা ঘুরতে ঘুরতে পথ হারিয়ে ফেললাম। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ্একটা দোকানে ঢুকে কিছুক্ষন অপেক্ষা তারপর ট্যাক্সি নিয়ে সোজা হোটেলে।
আজ মনে হয় প্রান ভরে মার্কেট ঘোরা হলো। তবুও শুনতে পেলাম অনেক কিছু কেনা হয়নি। কাকে কি দেবে ঠিক করা যাচ্ছে না।
যাই হোক আর মার্কেট নয়। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলাম। তবে কে শোনে কার কথা। টায়ার্ড তবুও রাতে ডিনারের পর খোলা দোকানগুলোতে আরেকটু ঢু মারা যদি কিছু ভাল লেগে যায়। কেনা যায়। বাধা দেই কি করে।

আজ শেষ রাত এই কুয়ালালামপুরে। রুমে এসে গোছাতে হচ্ছে জিনিসপত্র। সবাই লেগে গেছে কাজে। পরদিন উঠতে বেশ দেরী হলো। বিকেল ৫টার মধ্যে এয়ারপোর্টে থাকতে হবে।

আজ একটা খারাপ খবর পেলাম। মোহাম্মদ তার গাড়ীসহ এক্সিডেন্ট করেছে। হাসপাতালে আছে। আহত হয়েছে তবে আঘাত তেমন গুরুতর নয় কিন্তু গাড়ীর অবস্থা খরাপ। আমদের জন্য সে তার এক বন্ধুকে পাঠিয়ে দিয়েছে।



যথাসময়ে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চলে এলাম। বিশাল খোলা এলাকা। মানুষজন তেমন নেই। বিমান বন্দর থেকে সামনে তাকালেই দূরে কে এল টাওয়ার দেখা যাচ্ছে।
ভেতরে সব উন্নত ও অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। সাজানো গোছানো এবং খুব সহজে সাইনপোষ্ট থেকে গন্তব্যে যাওয়া যায়। চেক ইন শেষে হাতে সময় ছিল। বাচ্চারা কে এফ সিতে খেতে চাইল। এয়ারপোর্টের ভেতরেই কে এফ সি কর্ণার। মাগরেবের নামাজও পড়া হলো ভেতরে। সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। এয়ারপোর্টের বুক শপ থেকে একটা বই কিনলাম। তারপর ইমিগ্রেশন ও কাষ্টমস্ শেষ করে ওয়েটিং এরিয়াতে চলে এলাম। ভালই কেটেছে এই কয়েকটা দিন।
বিমানের বোডিং শুরু হলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই বিমান মালোশিয়ার রাত্রের আকাশে উড়াল দিল। আমরা ফিরে যাচ্ছি আমাদের ভালবাসার বাংলাদেশে।

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×