somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিমান বন্দরে লাগেজ না আসলে কিংবা কোন কারনে হারিয়ে গেলে যা করণীয়ঃ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা অনেকেই আছি যাদেরকে প্রতিনিয়ত বিমানে যাতায়াত করতে হয়।আর বিমানে যাতায়াত বা ভ্রমণকালীন সময়ে শুধু হ্যান্ড ব্যাগ ছারা আর কিছুই নিজের আয়ত্তে রাখা যায় না, যেহেতু নিজের ব্যাগপত্র কিংবা লাগেজ নিজের তত্তাবধানে রাখা যায়না তাই বিপত্তিটা ঘটে সেই জায়গায় এসেই। দেখা যায় নিদ্রিষ্ঠ বিমানবন্দরে আপনি ঠিকই পৌছে গেছেন কিন্ত আপনার লাগেজ আপনার সাথে পৌছেনি।যারা প্রবাসী তাদের মধ্যে খুব কম লোকই আছেন যারা এই সমস্যার মুখোমুখি হননি বাংলাদেশ বিমানবন্দরে এসে। তাই নিজের সাধের লাগেজ আর প্রিয়জনদের জন্য নিয়ে আসা সখের উপহারাদি না খুঁজে পেলে,হা-হুতাশ কিংবা মুখ গোমড়া না করে যা করবেনঃ

১. আগমণী তারিখেই এয়ারলাইন্স অফিস কিংবা লস্ট-এন্ড-ফাউন্ড ডেস্কে কমপ্লেইন করে PIR (Property
Irregularity Report) রশিদ বুঝে নিতে হবে। এয়ারলাইন্স নিজে অথবা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট(বাংলাদেশ বিমান) এর মাধ্যমে পিআইআর ইস্যু নিশ্চিত করবেন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিজস্ব
নিয়মে ইন্টেরিম রিলিফ বা আইআর প্রদান করবেন।পিআইআর ইস্যুর মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ব্যাগেজ ট্রেসারে মিসিং লাগেজের ইমপুট প্রদান করা হয় এবং ট্রেস করা গেলে ডেস্টিনেশনে প্রেরণ করা হয়।

২. সাত দিনের মধ্যে লাগেজ না আসলে অথবা এয়ারলাইন্স বা লস্ট-এন্ড-ফাউন্ড ডেস্ক থেকে যাত্রির সাথে যোগাযোগ করা না হলে এয়ারপোর্টস্থ এয়ারলাইন্স অফিসে গিয়ে লাগেজের মালামালের ফিরিস্তি (ইনভেন্টরি) নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।অনেক সময় লাগেজের ট্যাগ ছিঁড়ে যায়। স্ক্যানিং
করে মালামালের সাদৃশ্য থেকে লাগেজ চিহ্নিত করার জন্য ইনভেন্টরি নেয়া হয়।

৩. সাতদিনের মধ্যে লাগেজ না আসলে এয়ারলাইন্স ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য উর্ধ্বতন অফিসে অগ্রায়ন করবেন, যাতে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ
নির্ধারিত হয়।এয়ারলাইন্স পরবর্তী ১৪ দিন একই সাথে ট্রেসিং এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের কাজ চলমান রাখবে।

৪. একুশ দিনের মধ্যে লাগেজ না আসলে লাগেজ মিসিং বলে গণ্য হবে এবং এয়ারলাইন্স যাত্রিকে ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিবে।পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে লাগেজ আসলে যাত্রি লাগেজও পাবেন, ক্ষতিপূরণ ফেরত চাওয়া যাবে না। অন্যদিকে ২১ দিনের মধ্যে লাগেজ আসলে যাত্রি শুধু লাগেজ পাবেন, ক্ষতিপূরণ পাবেন না।বুকিং এর সময় মুল্যমান ঘোষণাপূর্বক চার্জ দিয়ে
বীমাকৃত লাগেজের ক্ষেত্রে ঘোষিত মুল্যমানেই ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হয়। অঘোষিত লাগেজের ক্ষেত্রে ওজন ২০ কেজির মধ্যে হলে সবটুকুর জন্য এবং
ওজন ২০ কেজির উপরে হলে কমপক্ষে ২০ কেজির জন্য প্রতি কেজি ২০ ইউএস ডলার হারে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হয়।


এয়ারক্রাফ্টে স্থান সংকুলান না হওয়া, ট্যাগ ছিঁড়ে যাওয়া বা মিস-হ্যান্ডলিং এর কারণে লাগেজ নির্ধারিত ফ্লাইটে না এসে পরবর্তী যেকোন সময় আসতে পারে। এমনকি নাও আসতে পারে।তাই উপরিউক্ত তথ্যানুযায়ী কোন যাত্রী যদি এয়ারলাইন্স অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলে তবে,লাগেজ কিংবা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত।এরপরেও কোন এয়ারলাইন্স প্রতারণামূলক কোন
ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিলে কিংবা লাগেজ অথবা ক্ষতিপূরণ দিতে অপারগতা জানাইলে এয়ারপোর্টস্থ মেজিস্ট্রেটদের সাহায্য পেতে পারেন।

এয়ারপোর্টস্থ মেজিস্ট্রেটদের সাথে যোগাযোগের নম্বরঃ

০১৭৮৭৬৬১১৪৪
০১৭৮৭৬৬১১৬৬
০১৮৬৬৫৪৪৪৪৪
০১৮৬৬৫৬৬৬৬৬

(উপরোক্ত তথ্যাদি এয়ারপোর্ট মেজিস্ট্রেট এবং এয়ারলাইন্স তথ্যকোষ থেকে সংগৃহীত )
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×