মনে আছে সেই ১৯৯১ সালে যখন একটা কম্পিউটার হাতে আসে, তখনো windows এর জমানা আসেনি। DOS based program ই ছিল ভরসা। সেই সময় আমাদেরই সহপাঠী অংক আর সোহেল 'বর্ন' নামে একটা বাংলা software বের করে। সেটাও ছিল খুব smart। অনেকটা phonetic স্টাইল। T দিলে ট shift T দিলে ঠ, alt T দিয়ে ত , ctl T দিয়ে থ, আনেকটা এরকম। আবার D দিয়ে ড,ঢ,দ,ধ এই চারটা বর্ন পাওয়া যেত। windows based না হওয়াতে বর্নে alt/ctl এর আর কোন ব্যবহার ছিল না।
যাই হোক এরপর ওরাও বোধহয় আমেরিকা চলে যায়, windows আসাতে বর্নও বিলুপ্ত হয়ে যায়। জায়গা দখল করে বাচ্চা কোলে নিয়ে মোস্তফা জব্বার সাহেবের 'বিজয়' । বাধ্য হয়ে আগের keyboard ভূলে, নতুন layout রপ্ত করি। এরপরও কত কত ইন্টারফেইস আসতে থাকে ( লেখনী,....আরো কি কি যেন )! ওদিকে ওপার বাংলায় ও চলতে থাকে ওদের স্টাইল।
মাঝে মাঝে শুধু লেখালেখি পড়তাম একটা unified keyboard layout এর প্রয়োজনীয়তার কথা। ASCII সংক্রান্ত সেই জটিলতা আজো শেষ হ্য়নি। এখনো, google, wikipedia য় বাংলা লেখা সহজবোধ্য নয়। mobile দিয়ে হিন্দী, আরবী অন্যান্য অনেক ভাষা পড়া গেলেও, বাংলা ফন্টের ক্ষেত্রেই যত বিড়ম্বনা।
তবু somewhere in এ এই ফোনেটিক ফন্টের applicability দেখে আশান্বিত হয়েছিলাম এই ভেবে যে, এবার বোধহয় সুদিন এসেছে। সার্বজনীন একটা ফন্ট উদ্ভাবিত হয়েছে। কিন্তু সা.ইন এর এই বাংলা লেখা তো শুধুমাত্র ওয়েবপেজ ওপেন করা থাকলেই লেখা যায়। সুতরাং জটিলতা পুরোপুরি কাটল না। সরকারী ওয়েবপেজের কিছু জায়গায় বাংলা লেখার জন্য 'অভ্র' নামের একটা software use করতে বলাতে ওটাও download করলাম। ভাবলাম এবার আর নতুন keyboard মুখস্থ করতে হবে না। এখানেও তো phonetic keyboard । হায় আল্লাহ ! কিসের কি ? বুঝলাম বাঙালীর কষ্টের এখনো পরিসমাপ্তি হয় নাই, যখন দেখলাম avro phonetic এ similarities থাকলেও difference ও কম নয়।
এখন প্রশ্ন হোল এই মারপ্যাচের শেষ কোথায়? এইসব জটিলতায় শুধু নিজের ই যে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে তাই তো নয়, বরং google, wikipedia তেও এ সমস্ত উদ্ভট বাংলা হজম করতে হচ্ছে। যে জাতি ভাষার জন্যও যুদ্ধ করে, যে ভাষায় বিশ্বের কোটি কোটি লোক কথা বলে, যে দেশের হাজার হাজার ছেলে IT sector এ বিশ্বে দাপটের সাথে বিচরন করছে তাদের এই দুরবস্থা কেন ?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



