somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হার্ট এ্যাটাক: হবার আগেই ব্যবস্থা নিন।

২৬ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজের শরীরটা সুস্থ্য সবল থাকুক তা কে না চায়! তাই জেনে নেওয়া দরকার কিভাবে এটাকে ঠিকঠাক রাখা যায়। একসময় ধারনা ছিল হার্টের রোগ হচ্ছে বড়লোকদের এবং বয়ষ্কদের বিষয়। কিন্তু এখন পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। বাংলাদেশে সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যেই এ রোগের বিস্তার বেড়ে চলেছে। সম্ভবতঃ খাদ্যাভাস, জীবনযাত্রা এর একটা বড় কারন। তাই আসুন জেনে নেই এর কারন ও প্রতিকার।
আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তবে হৃদপিন্ড কয়েকটা কারণে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অধিকাংশ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাময়িকভাবে বিকল হয়ে গেলেও প্রান সচল থাকে। এমনকি মস্তিষ্কের অধিকাংশ অংশ অচল হয়ে গেলেও কৃত্রিম যন্ত্রের সাহায্যে দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরকে চালু রাখা যায়। কিন্তু হৃদপিন্ড কয়েক সেকেন্ড বন্ধ থাকলেই মৃত্যু অনিবার্য। তাই হৃদরোগে মৃত্যু one of three leading causes of death. /:)

প্রথমেই আমাদের জানা দরকার হৃদপিন্ডের কাজ কি?
হৃদপিন্ড একটা পাম্প যা সমস্ত শরীরে রক্ত সরবরাহ করে। এই রক্ত প্রধানতঃ অক্সিজেন যুক্ত রক্ত। সমস্ত শরীরে ব্যবহারের পর অক্সিজেন বা বাতাস যখন নিঃশেষ হয়ে যায় তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত পুনরায় হৃদপিন্ডে প্রবেশ করে। একথা অবশ্য সকলেরই জানা যে, হৃদপিন্ড বুকের বাম দিকে অবস্থান করে। যদিও হৃদপিন্ডের সঠিক অবস্থান বুকের ঠিক মাঝখানে এবং এর অংশ বিশেষ বাম দিক পর্যন্ত প্রসারিত। একারণে হার্টের ব্যথা সব ক্ষেত্রেই বুকের বাম দিকে হবে, একথা ঠিক নয়। বরং বুকের মাঝখানে শুরু হয়ে বাম কাধ, চোয়াল এবং বাম হাতের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে ডান দিকে এমনকি শরীরের অন্যত্রও এই ব্যথা অনুভূত হবে পারে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, বুকের ব্যথা মানেই হার্টের ব্যথা। আনুষঙ্গিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকগণ হার্টের ব্যথাকে অন্য ব্যথার থেকে পার্থক্য করে থাকেন। যা ক্ষেত্র বিশেষে আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষার সাহায্য ব্যতীত নিশ্চিত হওয়া যায় না। বুকে ব্যথা অন্য যে সব কারণে হতে পারে তার মধ্যে প্রধান তিনটা কারন হচ্ছে-
১. এ্যাসিডিটি যা গ্যাষ্ট্রিক বলে বেশি পরিচিত।
২. মাংসপেশী কিংবা বুকের খাঁচার ব্যথা। (musculoskeletal pain)
৩. মানসিক- যেমন রোগীর মনে এই চিন্তা ঢুকে যাওয়া যে তার হার্ট দুর্বল।:-*

এখন কাদের ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা প্রয়োজন ? X(
এ কথা ঠিক যে, বয়স নির্বিশেষে সবারই হার্টের অসুখ হতে পারে, তবে বিশেষতঃ হার্ট এ্যাটাক বয়স্ক এবং পুরুষদের হয়ে থাকে। মহিলাদের হরমোনজনিত কারণে হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি অনেক কম থাকে। তবে পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের এই ঝুকি অনেকটা পুরুষদের কাছাকাছি পর্যায়ের। বুকে ব্যথা হলে যদি রোগীর মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ পাওয়া যায়, তবে দেরী না করে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিৎ।
১. বয়ষ্ক (সাধারনতঃ পুরুষদের পয়তাল্লিশের অধিক, মহিলাদের ক্ষেত্রে পঞ্চান্ন এর অধিক)
২. পুরুষ
৩. রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের মধ্যে যদি হার্ট এ্যাটাকের ইতিহাস থাকে।
৪. শরীরের ওজন বেশি হওয়া
৫. উচ্চ রক্ত চাপের (হাই ব্লাডপ্রেসার) রোগী হওয়া
৬. ডায়াবেটিসের রোগী হওয়া
৭. ধূমপায়ী হওয়া।

হার্ট এ্যাটাক হলে সাধারণতঃ কয়েকটা লক্ষন প্রকাশ পায়:-/
১. বুকের পূর্বে উল্লেখিত স্থানে তীব্র ব্যথা অথবা চাপ।
২. অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
৩. বমি হওয়া।

প্রধানত উক্ত তিনটা জিনিষের এক বা একাধিক লক্ষন হার্ট এ্যাটাকে প্রকাশ পায়। তবে, ডায়াবেটিস রোগী অথবা বৃদ্ধ বয়সে এ রকম তীব্র ব্যথা নাও হতে পারে। এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দেরি না করে দ্রত রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিৎ।

এখন আমাদের জানতে হবে হার্ট এ্যাটাক কি?


প্রকৃত পক্ষে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ট এ্যাটাক বলে কিছু নেই। সাধারণ মানুষের কাছে যা হার্ট এ্যাটাক বলে পরিচিত তা আসলে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction) বা সংক্ষেপে এম.আই.। হার্ট যদিও সারাদেহে রক্ত সরবরাহ করার পাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এই কাজের জন্য তার নিজের মাংসপেশীতেও খানিকটা রক্তের প্রয়োজন পড়ে। এই রক্ত সরবরাহ করার জন্য যে রক্তনালীগুলো থাকে এই গুলো যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন হার্টের খাকিটা অংশ মরে যায়। এটাকেই এম.আই বা সাধারণ ভাষায় হার্ট এ্যাটাক বলে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে ষ্ট্রোক এবং হার্ট এ্যাটাক সমন্ধে ধারণা পরিস্কার নেই। দুটোকে এক করে দেখা হয়। এটা ঠিক যে, দুই ক্ষেত্রেই রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, তবে ষ্ট্রোক বলা হয় যখন এটা ঘটে মস্তিষ্কে এবং এর ফলে সাধারণত রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় কিংবা এক দিকে অসারতা অনুভব করে। পক্ষান্তরে হার্ট এ্যাটাকের ফলে রোগী সাধারনতঃ অজ্ঞান হয় না, অসারতা বা প্যারালাইসিসও হয় না। উল্লেখ্য যে, যখন রক্তনালীগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ না হয়ে আংশিক বন্ধ হয়, তখন রোগীর সময়ে সময়ে ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষতঃ পরিশ্রমের কাজে কিংবা দুঃচিন্তা করলে, এটাকে এ্যানজিনা (Angina) বলে। এই পর্যায়ে রোগী এম.আই. এর ঝুকির মধ্যে থাকে। কারণ যে কোন সময়ে রক্তনালী সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন কারণে রক্তনালীগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বয়সের
কারণে সাধারন নিয়মেই এটা হয় যা অপ্রতিরোধযোগ্য কিন্তু যে সব কারণ আমাদের হাতে (অর্থাৎ মোটা হওয়া, চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান) সেগুলো সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। অপরদিকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ যদিও প্রতিরোধযোগ্য নয় এবং নিরাময়যোগ্যও নয়, তবে সচেতনতা, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি আমরা অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারি যদি নিম্নোল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলি-B-)
১. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম
২. ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা
৩. চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা
৪. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রনে রাখা এবং
৫. অল্প অল্প বুকে ব্যথা হলে বিশেষতঃ চল্লিশোর্ধ পুরুষ এবং পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে বুকে ব্যথার কারণ নির্ণয় করা।

সাধারণতঃ যাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ সন্দেহ করেন বুকের ব্যথার প্রকৃতি হার্টের কারণে হওয়ার সম্ভাবনা, তাদের ইসিজি করানো হয়ে থাকে। ইসিজি অনেকাংশেই হার্টের ব্যথাকে প্রকাশ করে থাকলেও সবক্ষেত্রে পারে না। এদের জন্য আরেক ধরনের ইসিজি করার প্রয়োজন যাকে ষ্ট্রেস ইসিজি বা ইটিটি (ETT) বলে। এই ইসিজি করার সময়ে রোগীকে একটা মেশিনের উপর দৌড়াতে হয়। এই পরিশ্রম চলাকালীন সময়ে অনবরত ইসিজি হতে থাকে। অর্থাৎ সাধারণ ইসিজি করাকালীন যেহেতু রোগী বিশ্রামরত থাকে, অল্প বিস্তর হার্টের সমস্যা এক্ষেত্রে ধরা নাও পড়তে পারে। এদের জন্যই পরিশ্রমরত অবস্থায় ইসিজি বা ইটিটি করা হয়। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বহুল প্রচলিত এবং নিখুত পরীক্ষা হচ্ছে এনজিওগ্রাম যা হার্টের রক্তনালীর ব্লক প্রায় নিশ্চিতভাবেই সনাক্ত করে। এটা একটা বিশেষ এক্সরে যা সামান্য ইনজেকশনের প্রয়োগের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। বছর কয়েক আগেও এর জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার রোগী বিদেশে পাড়ি জমাত। বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হরহামেশাই এ পরীক্ষা হচ্ছে। খরচ মোটামুটি বার হাজার টাকা। তবে, এই খরচ যদিও এনজিওগ্রামের জন্য যা একটি পরীক্ষা মাত্র। বর্তমানে MRI Angiogram নামে আরেকটি পরীক্ষা করা হচ্ছে যেখানে প্রচলিত Angiogram থেকেও ঝুকিমুক্ত উপায়ে ব্লক দেখা হয়। রোগ সনাক্ত করার হার প্রচলিত Angiogram এর মত। তবে সমস্যা দুটো। এক এখানে খরচ বেশী (প্রায় ৩০,০০০ টাকার মত )। দ্বিতীয়ত যাদের কিছু একটা procedure এ যাওয়াই লাগবে বলে ধারনা করা হয় তাদের জন্য এটা বাড়তি খরচ ছাড়া কিছুই নয়।
এই সব পরীক্ষায় হার্টের রক্তনালীতে ব্লক না পাওয়া গেলে তো ভাল অন্যথায় এই রক্তনালীকে পরিষ্কার রাখার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয় তা দুই রকমের।

1) ষ্টেন্টিং বা বেলুনিং: একটা বেলুন আকৃতির জিনিষ প্রবেশ করিয়ে রক্তনালীর চুপসে যাওয়া অংশকে প্রসারিত করা । এই প্রক্রিয়ায় রোগীকে বড়জোর দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হয়, রোগী একটা ইনজেকশনের মত ব্যথা ছাড়া আর কিছুই টের পায় না। কোনরকম অজ্ঞানও করা হয় না। খরচ ক্ষেত্রভেদে এক থেকে তিন লাখ কিম্বা আরো বেশী হতে পারে।

২) বাইপাসঃ যদি একাধিক জায়গায় ব্লক থাকে বা স্থানটি জটিল অবস্থায় থাকে সে ক্ষেত্রে বেলুন বা ষ্টেন্ট ঢুকাবার সুযোগ থাকে না এ ক্ষেত্রে বাইপাস অপারেশনের মাধ্যমে ঐ জায়গাকে কেটে ফেলে ভাল রক্তনালী জোড়া দেওয়া হয়। রোগীকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়, কয়েক ব্যাগ রক্ত অথবা ডোনার প্রস্তুত রাখতে হয়। যদিও এই প্রক্রিয়ায় খরচ ষ্টেন্ট বা বেলুনিং থেকে অনেক কম। সাধারণতঃ এক থেকে দেড় লাখ।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই এনজিওগ্রাম, বেলুনিং কিংবা বাইপাস না করলেই কি নয়? রোগীরা প্রায়ই এ প্রশ্ন করে থাকেন যে, শুধু ঔষধ দিয়ে কি সারানো যায় না? এর উত্তর হচ্ছে, একটা পর্যায় পর্যন্ত ঔষধের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ। বাইপাস কিম্বা স্টেন্টিং ই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত চিকিৎসা। ঔষধের মধ্যে কয়েকটা ঔষধ গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে চর্বির পরিমান বেশি থাকলে কমানোর ঔষধ, আর রক্ত পাতলা রাখার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ যা উন্নত দেশে প্রতিটি বয়স্ক লোকেই সেবন করে থাকে। এছাড়া প্রেসারের ঔষধগুলো সাধারণতঃ হার্ট এ্যাটাক বা angina কিছু মাত্রায় প্রতিরোধ করে। কিন্তু রক্তনালী যখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, তখন এ্যানজিওগ্রাম করে এর প্রকৃতি নির্ণয় করে ষ্টেন্ট কিংবা বাইপাস অপারেশন ছাড়া বুকের ব্যথা কমাবার কিংবা হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমাবার বিকল্প থাকে না। এগুলো অনেকটা নদীতে পলি পড়লে ড্রেজিং করার মত। ঔষধ ছাড়াও আরও একটা বিষয় হার্টের চিকিৎসায় সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। তা হল জীবনযাপন ব্যবস্থার পরিবর্তন। এর কিছুটা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন- ধূমপান ত্যাগ করা, টেনশনমুক্ত থাকা, শারীরিক পরিশ্রম করে শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখা। একই সাথে চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করাও প্রয়োজন। সকলের সুবিদার্ধে এখানে চর্বি যুক্ত খাবারের উল্লেখ করা হচ্ছে। যার প্রথমগুলো সর্বোচ্চ চর্বিযুক্ত, শেষেরগুলো সর্বনিম্ন চর্বিযুক্ত(descending order) । তবে হার্টের রোগীর অবস্থা অনুযায়ী এর সবগুলোই কিংবা অধিকাংশই বর্জনীয়। :((
১. মগজ
২. ডিমের হলুদ অংশ
৩. কলিজা (গরু/খাসি)
৪. চিংড়ি-বিশেষতঃ বড় চিংড়ি
৫. আইসক্রীম, চকোলেট
৬. খাসির মাংস
৭. হাসের মাংস
৮. গরুর মাংস
৯. মুরগীর চামড়া
১০. দুধ।
প্রশ্ন হতে পারে তাহলে খাওয়া যাবে কি? খেতে বাধা নেই কিংবা কোন ক্ষেত্রে বেশি খাওয়া প্রয়োজন এমন খাবারের মধ্যে-
১. সকল ধরনের শাকসবজি
২. ফল
৩. সব রকম মাছ বিশেষতঃ সামুদ্রিক মাছ
৪. সব ধরনের তেল (পাম ওয়েল এবং নারকেল তেল/দুধ ব্যতীত)
:)পরিশেষে হার্টের রোগীদের জন্য সুখবর হচ্ছে, বড় বড় রোগের যেমন- ক্যান্সার, কিডনী নষ্ট হওয়া, লিভার সিরোসিস অথবা ডায়াবেটিস এ সবের মধ্যে হার্টের চিকিৎসা যেমন সবচেয়ে সহজলভ্য তেমনি সর্বাধিক কার্যকর। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করলে হার্ট এ্যাটাককে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা যায় অথবা একবার হার্ট এ্যাটাক করলেও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা সম্ভব। হার্ট এ্যাটাক একবার করলে এর একটা অংশ চিরস্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। দুই বা তিনবারে গোটা হৃদপিন্ডই অকেজো হয়ে পড়ে, তখন জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণে উপযুক্ত সময়ে অর্থাৎ হার্ট এ্যাটাক একবারও হয়নি কিন্তু ঝুকির মধ্যে রয়েছে এ রকম প্রত্যেকেরই ইসিজি, ইটিটি এবং এনজিওগ্রাম করে নেয়া উচিত।
চেষ্টা আমাদের কিন্তু নিরাময় সম্পূর্ণরূপেই আল্লাহর হাতে।
....ডা. জুবায়ের হোসেন
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৪
৩১টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×