somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পথ হতে পথে
আমার নাম - এম. জুবের রহমান। পেশায় একজন প্রকৌশলী। এ পর্যন্ত বাসা পরিবর্তন করেছি ২৪ বার , বাংলাদেশের পাড়া গাঁ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত । জেলা শহর, রাজধানী সব জায়গাতেই বসবাস করেছি ,বস্তিবাসী থেকে মিলিওনেয়ার সবার সাথেই মিশেছি।

স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা - মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিদেশী হয়েও বৈষম্যের শিকার হতে হয়না । তাই তো বিশ্বের অধিকাংশ গুনীজন পাড়ি জমান মার্কিন দেশে। তবে সিভিল রাইটস মুভমেন্ট এর আগে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন । ষাটের দশকে বাংলাদেশে যখন চলছে পাকিস্তানী শাসন শোষণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঠিক সেই সময়ে মার্কিন রাজপথ উত্তাল ছিল সিভিল রাইটস মুভমেন্ট এর কারণে । আর এই আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র । রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল নাগরিকের সম- অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি এই আন্দোলন গড়ে তোলেন যার ফলশ্রুতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিভিল রাইটস একট পাস্ হয় । সকল অফিস আদালতে রচিত হয় নো -ডিসক্রিমিনেশন পলিসি , যার সারবত্তা হলো ধর্ম , বর্ণ , গায়ের রং , জন্মস্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা যাবেনা । এই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানের কারণে জীবন দিতে হয় তাকে , ১৯৬৮ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন এই মানবাধিকার কর্মী । পরিসংখ্যানের অধ্যাপক মহোদয় পপ আপ কুইজে প্রশ্ন দিয়েছিলেন মার্টিন লুথার কিং কত বছর বয়সে নিহত হন ? এতো বড় আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তার বয়স ষাটোর্দ্ধ হবে ভেবেছিলাম , পরে জানলাম মাত্র উনচল্লিশ বছর । তিনি প্রেসিডেন্ট বা প্রধান মন্ত্রী ছিলেন না , রাষ্ট্রীয় কোনো বড় পদও ছিল না তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অতি অল্প সংখ্যক যেসব দিবসে ফেডারেল রাষ্ট্রীয় ছুটি পালন করা হয় , যার মধ্যে মার্টিন লুথার কিং দিবস অন্যতম ।

১৯২৯ সালের ১৫ ই জানুয়ারী তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এক যাজক দম্পতির ঘরে মার্টিন লুথার কিং জন্ম গ্রহণ করেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তখনো বর্ণ বৈষম্য চরমে , কালো মানুষদের ছিলোনা ভোটাধিকার , একই স্কুল বা ভার্সিটি তে পড়ার অধিকার , এমন কি একই বাসে সাদাদের পাশাপাশি বসার অধিকার । আশ্চর্য হলেও সত্য যে বাইরে থেকে কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করলে , সাদা চামড়া হলে তবেই সে নাগরিকত্ব পেত নতুবা নয় । বৈষম্য ও নিপীড়ণে ভরপুর সমাজ ব্যবস্থা দাগ কাটে মার্টিন এর মনে । বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করার পর পারিবারিক প্রথা মতো ব্যাপটিস্ট মিনিস্টার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তার মনোযোগ নিবদ্ধ ছিল মানবাধিকার প্রতিষ্টার দিকে । ধর্ম , বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক যেন সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে সেজন্য তিনি গড়ে তুলেন একের পর এক আন্দোলন ।

মানুষের অধিকার প্রতিষ্টায় তিনি চষে বেড়িয়েছেন সারা দেশ , একের পর এক সমাবেশ করেছেন , বিরোধিতা করেছেন ভিয়েতনাম যুদ্ধের । ' আই হ্যাভ এ ড্রিম ' নামে তার দেয়া ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসাবে আজও স্বীকৃত । ১৯৬৮ সালের ২৯ ই মার্চ এমন ই এক সমাবেশে যোগ দিতে তিনি যান টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে । সেখানে হোটেলে অবস্থান কালীন সময়ে একজন হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট এর খুব কাছে থেকে করা গুলিতে তিনি নিহত হন ।

বিশ্বের তাবৎ স্থানে দূর হোক হানাহানি ও বৈষম্য এই কামনা করি তার ৯০ তম জন্ম বার্ষিকীতে ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×