বন্ধুত্ব ! চরম পাওয়া। বন্ধু নাই, এমন দূর্মুখ কথা কেউ প্রকাশ করতে পারবে বলে মনে হয় না। বউ আসে জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে,কিন্তু বন্ধু বাল্যকাল থেকেই। বউ গ্রহণ করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে তারে কোথায় কোন সময় কী করতে হবে তাও বন্ধুরাই সবক দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই বউ কোন কোন সময় বন্ধুত্বের সামনে পর্দা হয়ে নেমে আসে। যৌক্তিক কখনো অযৌক্তিকভাবে বন্ধুদের সময় দেয়া নিয়ে অনেকের বাড়িতে প্যাচালের খই ফুটতেই থাকে।তো এমন বউ' এর রসালো এক ঘটনা একজন শুনালো----
--তোমার একটা ভাল দোস্ত আছে,অথচ তুমি তাকে কোন দিন আমার বাসায় দাওয়াত দিলে না যে
--তোমার ভয়েই তো দাওয়াত দেই না।
---ওরে দাওয়াত দেও। একদিন আমাদের বাসায় যেন থাকে। বেচারা তো বিয়ে শাদী করেনি সময় নিয়ে অসুবিধা কী?
---ওকে তুমি যখন বলছো তো একদিন দাওয়াত দিমু।
--শুক্রবার। আমি তোমাদের জন্য রাতে ভাল খাওয়ার আয়োজন করব।
---আমার দোস্ত কিন্তু আসবে। দেখ কোন যেন আদর যত্নে ক্রটি করনা।
--হুম আমারে কইতে হবো না।
এদিকে স্বামীর বন্ধুত্বের গোরা কেটে দেয়ার জন্য বাড়ির কেয়ারটেকারের সাহায্য নিল। যুদ্ধের সরন্জাম রেডি করে বুয়ারে ট্রেনিং দেয়া হলো বার কয়েক।
বন্ধুর জন্য র্যাম ড্যাম খাওয়ার আয়োজন। রাত অবধি আড্ডা। ২টা বাজে। ঘুমানোর পালা। আগত বন্ধুর আবদার দোস্ত আমার বউ নাই আমি তোমার বাড়িতে তুমি আজ তোমার বউরে নিয়া ঘুমাইতে পারবা না আমার সাথে থাকতে হবো।
বন্ধুর বউ দ্রুত সম্মতি দিয়ে বলল হুম ঠিকই তো। তুমি দাওয়াত দিয়ে তারে একা রাখতে পার না। (এটাই চাচ্ছিল সে) অগত্যা বন্ধুত্বের আবদারে গেষ্টরুমের খাটে দু'জন।
বন্ধুর বউ অপেক্ষায় কখন তারা তাদের কাজে নামবে।
দেরি করে শোয়ায় তারাতারি ঘুমালো দোস্তদ্বয়! নির্ঘুম শেষরাতে গেষ্টরুমের দুই দোস্তকে আবিষ্কার করল দুজনেরই লুঙ্গি মাথা বরাবর। ভাগ্য ভাল দুজনের একজন কাইত,অন্যজন উপর হয়ে।
ভাগ্যিস!তাল গাছ এক পায়ে দাড়ানো অবস্থা' দেখা থেকে বাঁচা গেল।
পরিকল্পনানুযায়ি বাজারের ৬টাকার অস্ত্র দুজনের পশ্চাদ দেশে ঢেলে দেয়া হলো। এক্কেবারে সফল হয়ে দোস্তর বউ সোজা তার রুমে গভির ঘুম।
কিছুক্ষণ পর এক দোস্তর ঘুম ভেঙ্গে গেল পেছনে ভেজা ভেজা দেখে। হাত দিয়ে দেখল আঠালো জাতিয় একধরনের কী যেন। জায়গা মত আঠালো কিছু দেখে লজ্জায় কিছু না বলে পরিচ্ছন্ন কর্মটি লুঙ্গি দ্বারাই সেরে নিল।
বাড়ির দোস্ত ভাবল-শালা আমার বাড়িতে এসে আমার.......মারল।
একই অবস্থা বেড়াতে আসা দোস্তের । বাতরুমে গিয়ে ধুয়ে আসলো। নিজে নিজে আউড়ালো শালা ডাইক্যা আইন্যা আমারে....করলো।
নাস্তা না করেই বন্ধু বাজারের কথা বলে বিদায়। বাড়িতে ডেকে এনে... আর আমার বাড়িতে এসে.....এই ধারণায় কোনদিন আর মুখ দেখাদেখি নাই বন্ধুদের। আড়ালে থেকে বন্ধুর বউ বেশ হাসি খুশি । পরিকল্পনায় সে সাকসেস। কিন্তু হলোটা কী