somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গাজা হত্যাকান্ড ২০১৪ এবং অপপ্রচারের জবাব . পর্ব-2

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গাজা হত্যাকান্ড ২০১৪ এবং বিভ্রান্ত বাঙ্গালীদের অপপ্রচারের জবাব . পর্ব-১-
আজ 03/08/2014, ফিলিস্তিনের গাজা শহরে ইসরায়েলী হানাদারদের হামলায় প্রায় ১৮০০ নারী পুরুষ ও শিশু নিহত হলো ।

গত পর্বে বলেছিলাম যে “ বেশীর ভাগ ফিলিস্তিনী বলে এবং বিশ্বাস করে যে এটা ১৫ই জুনের হত্যার বদলা । কে করেছে সেটা বললাম না। কারণ এই অপহরণ কে করেছে তা এখনোও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসরায়েলী পুলিশও বলেছে এর সাথে হামাস জড়িত নয়। হামাস ও বলেছে এই অপহরণের সাথে তারা জড়িত নয়। “

কেউ কেউ এই কথার বিরোধিতা করে বলে যে হামাসই এই ঘটনার জন্য দায়ী । আর হামাসকে শায়েস্তা করতেই ইসরায়েল গাজাতে হামলা করেছে। কিন্তু বিষয়টা প্রমানিত নয়।
ইসরায়েলী পুলিশও হামাস কর্তৃক অপহরণের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত। ফিলিস্তিনে হামাস ছাড়াও আরো কিছু সংগঠন আছে যারা যুদ্ধ করছে। তারা গণতান্ত্রিক দল নয় এবং যুদ্ধের মাধ্যমেই মুক্তি এই তত্বে বিশ্বাসী । ইসরায়েলী তিনজন অপহৃত হওয়ার পর প্রথমে Al-Aqsa Martyrs' Brigades (পরে অস্বীকার), Islamic State in Iraq and the Levant েএর পশ্চিম তীর শাখা, Brigades of Global Jihad, Ahrar ar-Khalil (Liberators Battalion of Hebron), এবং Regiments of Hezbollah এই অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে। তবে এর মধ্যে Islamic State in Iraq and the Levant েএর পশ্চিম তীর শাখা, Brigades of Global Jihad, Ahrar ar-Khalil (Liberators Battalion of Hebron), এর দাবীকে বাতিল করা হয়। হামাস বরাবরই এই অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে বটে তবে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুক্তির দাবীকে সমর্থন করে। কিন্তু এটা দ্বারা হামাসের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমানিত হয় না।

ইসরায়েলের তিন ছাত্রকে অপহরণের জন্য যে দুইজন ফিলিস্তিনীকে (Marwan Qawasmeh এবং Amer Abu Aisha) সন্দেহ করা হয়েছিলো তারা উভয়েই কোয়াশামেহ গোত্রের এবং হামাসের ভাষ্যমতে তারা সবসময়ই হামাসের নীতির বিরুদ্ধে কাজ করত এবং সবসময় ইসরায়েলের সাথে আতাতের চেষ্টায় লিপ্ত থাকতো। এটা ঠিক যে কোয়াসামেহ গোত্রের লোকেরা হামাসের সাথেই অন্তর্দ্বন্দে লিপ্ত থাকে এবং ঘন ঘন বোমা আক্রমন এবং অপহরণের সাথে যুক্ত থাকতো।
দেখুন- http://en.wikipedia.org/wiki/2014_kidnapping_and_murder_of_Israeli_teenager s এর ২য় প্যারা।

আমার ব্যক্তিগত অভিমত যে যেহেতু হামাস পরোক্ষভাবে এই অপহরণকে (অপহরণের পর খুনকে নয়) সমর্থন জানিয়েছিল সেহেতু যদি ঘটনাটা হামাসের কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকতো তাহলে বিষয়টা অস্বীকার করতো না বরং এই অপহৃতদের বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দী হামাস কর্মীদের মুক্তি চাইতো। আসলে এই বছরের শেষদিকে হামাস এবং ফাত্তাহ এর মিলিত সরকার প্রতিষ্ঠার ভয়েই ইসরায়েল হামাসের উপর দায় চাপায়।

যাই হোক, ৩০শে জুন অপহৃত তিনজনের লাশ পাওয়া যায় কোয়াশেমাহ পরিবার কর্তৃক কিছুদিন আগে ক্রয় করা একটা খালি জমিতে যা Khirbet Aranava, Wadi Tellem এলাকায় অবস্তিত, Halhul এবং Karmei Tzur এর মধ্যে অবস্থিত, হেবরনের ঠিক উত্তরে।
একটা এম্বুলেন্সে করে যখন ওই তিন অপহৃতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন স্থানীয় ফিলিস্তিনীরা বাধা দেয়, ইট পাটকেল এবং রং ছুড়ে উইন্ডশীল্ড আর জানালা ভেঙ্গে ফেলে কিন্তু এম্বুলেন্সটা আটকাতে পারেনি।
৩০ তারিখ পর্যন্ত অভিযানে ৬ জনকে গুলি করে মারা হয়, ২ জন ষ্ট্রোক করে মারা যায় প্রায় দেড়শো জন মারাত্মক আহত হয়, আর গাজায় হামাসের সকল নেতাদের সহ প্রায় সাড়ে ছয়শজনকে আটক করে।

অপহৃতদের মৃতদেহ পাওয়ার পর ২/৭/১৪ তারিখে ১৬ বছরের Mohammed Abu Khdeir কয়েকজন বসতি স্থাপনকারী অপহরণ করে জেরুজালেম জঙ্গলের দিকে নিয়ে অত্যাচার করে এবং ফুসফুসে গুলি করে, কিন্তু তখনও না মরার কারণে তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে মারা না যায়। তারপর তকে েগ্যাসোলিন খাওয়ানো হয় এবং শরীরের ৯০% পুড়িয়ে ফেলা হয়।



তার পরের কয়েকদিন কয়েকজন শিশুকে বসতি স্থাপনকারীরা অপহরণের চেষ্টা করে।

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×