somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগার আড্ডা থেকে ফিরেই হাসান বিপুলের শততম পোস্ট (সম্পূর্ণ রঙিন চিত্রযুক্ত)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একবার নিজের জন্মদিনের অনুভূতি বিশেষভাবে লিখে আমার এক বন্ধুকে পড়তে দিয়েছিলাম। সে দুই পাতা পড়ে মুখটি লেখা থেকে ওঠাল, চশমার ফ্রেমের ওপর দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
-এইটা তর লেখা?
-আমি বললাম- না, অন্য একজনের। তুই পড়ে বল লেখাটা কেমন হয়েছে।
বন্ধুটি কপাল কুঁচকে বলল, ুদির ভাই এতো তেনা প্যাচায়ে লেকছে ক্যান?

সেই থেকে জানি, বিশেষ উপলক্ষে বিশেষ করে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না। অথচ বাংলা ব্লগে কারো শত পোস্ট হলে নাকি আলাদা করে একটি বিশেষ পোস্ট দেয়া দরকার পড়ে। কেন জানিনা, এটাই নাকি রেওয়াজ। সমস্যা হলো, শততম পোস্টে আমার লেখা পড়ে কোনো ব্লগার মনিটরের দিকে তাকিয়ে আমাকে বিশেষ কিছু একটার ভাই সম্বোধন করে মনে মনে একটি কমেন্ট করবেন, এটা ভাবতেই অসুস্থ লাগে। তার চেয়ে আমি যেটা পারি, অর্থাৎ ছবি তোলা, সেটা দিয়েই যদি পোস্ট দেয়া যায়, ক্ষতি কি?

এবার আজই প্রথমবারের মতো গিয়েছিলাম বই মেলায়। সেখনে এমন বইয়ের ঘোমটা খোলা হবে, যেটি ব্লগারদের জন্য বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক। এর পাশাপাশি আরো একটি উদ্দেশ্য ছিল। আমি সামুতে প্রায় সব ব্লগারকেই পছন্দ করি (মানে, চরম বিরক্তিকর দুই একজন ছাড়া)। ফলে, আগে পোস্টের শিরোনাম দেখি, তারপর গোটা লেখা পড়ি। অমুকের লেখা এজন্য পড়ব না, তমুকের লেখা তাই পড়তেই হবে- এমন কোনো সমস্যা আমার কোনো কালে ছিল না, চাইনা হোক। ফলে আশা ছিল বইয়ের ঘোমটা খোলার আয়োজনে এমন বেশ অনেকজনকে নিশ্চয়ই পাব, যাদের মনে মনে কাল্পনিক একটি চেহারা দিয়ে এসেছি। লেখার পেছনের মানুষদের চেনার আগ্রহটা আমাকে তেজগাঁওয়ের অফিস থেকে ঠেলে নিয়ে গেল বই মেলায়।

তাহলে আসুন এবার নজর দেই আজকের ব্লগার আড্ডা ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আয়োজনের সচিত্র প্রতিবেদনে।

এখানে একটি কথা বলে রাখি, আমি জানি অনেক ব্লগার নিজের পরিচিতি ছবির মাধ্যমে দিতে চাননা। তাদের সে চাওয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমিও ছবির সঙ্গে ব্যক্তি পরিচিতি দেয়া থেকে দূরে থাকলাম। যারা যারা এসব ছবিতে আছেন, তারা নিজেরা চাইলে কমেন্টে নিজেদের পরিচিতি দিতে পারেন, সেটা ভালোই হয়-

প্রথমে মেলায় গিয়েই পেলাম কয়েকজন স্টার ব্লগার জম্পেস আড্ডা দিচ্ছেন



দু একজন দেখা গেল ছবিও তুলছেন



স্বাক্ষর দিলাম যুদ্ধাপরাধী বিচরের দাবীতে গণস্বাক্ষর নেয়ার বইতে। কোনো কোনো আয়োজনে স্রেফ ‌‌‌‌`মিছিলের একজন' হতে পারাটাও আনন্দের।



এরপর আমরা চলে এলাম বর্ধমান হাউসের সামনে নজরুল মঞ্চে



চলছে আলোচনা



দু-একজন দেখা গেল তরুণীদের পাশে পজিশন নেয়ার ব্যাপারে বেশ সচেতন।
জয় গুরু-



একদিকে আলোচনা, অপরদিকে অনেকেই তুলে রাখছিলেন এ আয়োজনের স্মৃতি



নিজেও চেষ্টা করছিলাম নানা অ্যাঙ্গেল থেকে বিভিন্ন শট নিতে



অবশেষে বউয়ের থুক্কু বইয়ের ঘোমটা খোলা হইল



তাহার পর লেখক মহাশয়ের অটোগ্রাফ প্রদান ও ফটোগ্রাফ সেশনে আবির্ভাব



এই পরিবারটির পরিচয় না দিলেও চলে। এদের চেনে না, ব্লগে এমন কে আছে? স্বয়ং আরিল এবং তার পরিবার



দুই একজনের রিকোয়েস্টে শাটার ক্লিক



এক ফাঁকে গিয়েছিলাম উন্মাদের স্টলে। সেখানে দেখা গেল উন্মাদীয় স্টাইলে বইয়ের বিক্রি-বাট্টা। দোকানের মালিক কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব বাইরে আর সব কাস্টমার দোকানের ভেতরে!



এরপর আবার যথারীতি নজরুল মঞ্চ ছেড়ে পুরোনো আড্ডায় ফেরত। সেখানে গান শোনালেন একজন ব্লগার



এবং রাত নটায় মেলা সাঙ্গ হবার আগ পর্যন্ত চলছিল বিচারের দাবী


এখন পর্যন্ত আমার হিসাব হলো-
* পোস্ট করেছেন: ১০০টি
* মন্তব্য করেছেন: ১০৬৩টি
* মন্তব্য পেয়েছেন: ১৯১৮টি
* ব্লগ লিখেছেন: ১ বছর ১১ মাস
* ব্লগটি মোট ৩৮৪৪২ বার দেখা হয়েছে।
আর মডারেটর মাহশয়কে জিজ্ঞেস করা লাগে না- তিনি অনায়াসে এখন পর্যন্ত বলছেন- "আপনি একজন নিরাপদ ব্লগার
আপনার লেখা সরাসরি সংকলিত পাতায় প্রকাশিত হবে।"
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫৮
৯২টি মন্তব্য ৭৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×