ভুমিকা না টেনে কয়েকটি প্যারা তুলে ধরি যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত শিক্ষকদের নোংরামি কোথায় এবং কিভাবে তা প্রকাশ পাবে। সংগত কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে বলব। কম বেশি এই একই চিত্র অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও।
জানোয়ারুল নামে ঢাবির এক ভিসি ছিলেন যিনি মধ্যরাতে ভিসি চেয়ারে বসে তার রুচিহীনতার বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। গুনধর ছেলেকে আইনষ্টাইন বানানোর আশায় ভর্তি করিয়েছিলেন ঢাবিতে। অনার্সে খুব খারাপ ফলালফল করেও এখন ঢাবির শিক্ষক হয়েছেন সেই হকিং সাহেব। তত্তাবধায়ক সরকারের সময়কার এক প্রভাবশালি আর্মি জেনারেল সেই হকিং সাহেবের শ্বশুর। তাহলে আর বলতে? নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের সিলেকশনটা তো তাকেই দিতে হয়! তবে তিনি তা পেয়েছিলেন। শামসুন্নাহার হলে কি জঘন্য ঘটনাটাই না ঘটিয়েছিলেন তিনি। জানোয়ার নামে জাতির বিবেককে তো পুরষ্কিরিত করতেই হয় তাই জুতো খেয়ে ঢাবি থেকে বিদায় হয়ে ভিনদেশে রাষ্ট্দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি।
হ নামে প্রভাবশালি এক ডিন সাহেব তার মেয়েকে ঢাবিতে ভর্তি করাতে তথ্য গোপন করে হয়ে যান ভর্তি পরিক্ষার চেয়ারম্যান। নৈতিকভাবে পরাজিত কুৎসিত মানসিকতার ঐ লোকটি আজ ঢাবি প্রশাসনে বেশ ক্ষমতাবান।
আ নামে ধুর্ত এক প্রফেসর নিজের ইচ্ছে মত মেধাতালিকা তৈরি সহ প্রশ্ন ফাঁসের অগনিত অভিযোগে অভিযুক্ত । মেয়ের স্বামী বড় আর্মি অফিসার হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন তিনি ক্ষমতাবানদের অতি আস্হাভাজন হিসেবে ছিলেন এবং জাতির উন্নতিকল্পে বিভিন্ন ফর্মুলা বাতিয়েছেন।
ইম নামের এক প্রভোষ্ট একদা সদ্য হল দখল করেছে এমন ক্যডারদের সাথে কোলাকুলি করে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এমনি সময় অপরপক্ষের আকস্মিক আক্রমনে হতবিহবল ঐ প্রভোষ্ট পালিয়ে চলে। তিনি এখন একটি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ঢাবি প্রশাসনে প্রভাবশালী ।
অসংখ্য বদ ঘটনার নায়ক ই নামের এক প্রফেসর তার রাজনৈতিকে সহকর্মির বউ কে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দানের নিমিত্তে একদা অন দ্যা স্পটে একটি শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে দেন, অথচ ২৪ জন আবেদনকারি এবং সমস্ত বোর্ড মেম্বার তখন উপস্হিত ছিলেন। ৪ বৎসর মেয়াদী অনার্স কোর্সকে পুর্ববর্তী মাষ্টার্সের সমমানের দাবীর সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন যখন পিকে ঐ প্রফেসর তার ক্যাডার বাহিনীকে বুড়ো আন্গুল দেখিয়ে বললেন তোমারা এইটা ছেড়? তোমরা থাকতে এই আন্দোলন করার সাহস ওরা পায় কোত্থেকে? এরপর শুর হয় সাধারন ছাত্রদের উপর নির্যাতন। সরকারের এই চামচা প্রায় ৮ বছর ছিলেন ঢাবির এক ক্ষমতাদর ব্যাক্তি।
বিরোধী দলে থেকে হতাশায় নিমজ্জিত ক্যাডারদেরকে উৎসাহ দিতে আ নামের প্রফেসর গোপন এক সভায় বলেলেন, তোমরা ভেব না বরং কাজ চালিয়ে যাও। তোমাদের সব বিসিএস পোষ্ট দেওয়া হবে। নেত্রী আমাদেরকে এই আশ্বাস দিয়েছেন। ইতর এই মানুষটি ৮ বছর ঢাবির ভিসি ছিলেন।
শা নামের এক প্রফেসর একদা আপোষহীন নেত্রীর উপর ক্ষেপে গিয়ে বললেন তার ব্যারিষ্টার স্বামী আপোষহীন নেত্রীর পক্ষ নিতে চাচ্ছে কিন্তূ তিনি (শা) বলে দিয়েছেন যে তুমি যদি তার পক্ষ নাও তাহলে আমাকে আর তোমার বেডে পাবে না! কয়েকদিন পরে ব্যারিষ্টার স্বামী যখন আপোষহীন নেত্রীর পক্ষ নিলেন তিনি ভোল্ট পাল্টে বললেন নেত্রীর প্রতি অবিচার চলছে। ঢাবির ফুল টাইম প্রফেসর হওয়া সত্তেও তিনি বেশিরভাগ সময় তার নিজের তৈরি শিক্ষাপ্রতিষ্টানেই কাটান। সাবধান! তিনি কিন্তূ বর্তমানে একজন ডিন।
নি নামের প্রফেসরকে মাঝে মাঝে মীরজাফরের সাথে তুলনা করা হয়। জনৈক প্রফেসরের মতে নি নামের ঐ প্রফেসর তখনি কেবল মন খুলে হাসেন যখন বাংলাদেশের দু:সময় যায়। তিনি একাধারে প্রভোষ্ট, চেয়ারম্যান, পরিচালক সব হয়ে চলেছেন।
তাকে খুজে পাওয়া যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মিটিং মিছিলে। মি নামে এই প্রফেসরের আবার এক রাজনৈতিক দলের সহ-সভাপতি। কি অবাক কান্ড! রাজনৈতিক দলের সহ-সভাপতি পরিচয়ে তিনি হয়ে গেলেন ঢাবি প্রশাসনের রোল প্লেয়ার।
মন্ত্রীর বোন তা নামের প্রফেসর নাকি তার নিজ দলের ছাত্র সংগঠনের মা! ছেলেরা গেলে মা কোন ভাবেই তাদের আবদার ফিরিয়ে দিতে পারতেন না। সেরকম এক ছেলে ঢাবিতে মাষ্টার্সের ফুল টাইম ছাত্র হয়েও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন ১ বছর। তাহলে ঐ এক বছর শিক্ষকতাটা অবৈধ হবে নাকি ছাত্রত্ব? যাই হোক মায়ের ছেলে তাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখলে মায়ের মায়া লাগে, নিয়ে নিলেন নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঐ প্রফেসর ডিন, প্রভোষ্ট, সিন্ডিকেট মেম্বার আর ও কত কি!!
মাহ নামের প্রফেসর আবার বেশ স্মার্ট। বিরোধী দলে থাকতে একদিন বিপক্ষ দলের এক ক্যাডরকে পুলিশে ধরিয়ে দিলেন। প্রসংশা কুড়ানোর মত কাজ, ক্যাডারকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া! ক্ষমতার পালা বদলের পর নিজ দলের ক্যাডারদের সাথে রুমে রুমে গিয়ে কুশলাদী বিনিময় করতেন!! একদিন তাকে একটি বিভাগের ফার্ষ্ট ক্লাস ফার্ষ্ট স্টুডেন্টটি সাহস করে জিজ্ঞাসা করলো স্যার কিছু মনে করবেন না, আপনি কয়জন ফার্ষ্ট ক্লাস পাওয়া স্টুডেন্টকে চিনেন? আর যাই কোথায় সে হয়ে গেল বেয়াদব! সে যাই হোক জাতির বিবেক বলে কথা, তাকে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বানানো হয়েছিল।
ও নামের প্রফেসর আবার শিক্ষক সমিতির একজন সম্পাদক। তিনি একদা এক সাধারণ শিক্ষককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন কারন তিনি ডিন নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলেন না।
মো নামের সাহসী ছেলেটি কয়েক বছর আগেও একটি হলের গেটে বসে পাহার দিত। আর্মস ওস্তাদ এই ক্যাডারকে কি হাতছাড়া করা ঠিক? মোটেও না, তাকে সম্মান দিয়ে বানানো হলো জাতির বিবেক। অভিজ্ঞাতার আলোকে তাকে প্রক্টরিয়াল বডিতে স্হান দেওয়া হলো। অবশেষে, ঢাবির ভর্তি জালিয়াতিতে তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে অনেকেই মনে করে!!
আন নামে একজন প্রফেসরের নামের আগে ডাল (ফেনসি) শব্দটি ব্যবহার না করলে তাকে ঢাবিতে কেউ চিনতে পারে না। ডাল আন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাবান প্রফেসরদের একজন তিনি আবার একটি হলের প্রভোষ্ট ও বটে। নিজের বউকে খুব সহজে প্রফেসর ও বানিয়েছেন তিনি।
এরকম অসংখ্য অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, আমার হাত ব্যাথা করতেছে, আমি বাংলা টাইপিং এ এত ভালো ও না, তাই এখানেই শেষ করছি...................
নোট: ঢাবিতে অনেক অনেক ভালো শিক্ষক রয়েছেন যারা আসলেই জাতির গর্ব। এই লেখা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাদেরকে নিয়ে অন্য একটি লেখা লিখব আশা রাখি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০০৯ সকাল ১০:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




