ছবিটি ইন্টারনেট থেকে কপি পেস্ট করা ।
ইতিহাস -
হুমায়ুন সাহেবের বাড়িটি আমার বরতমান বাসার ঠিক সামনে । আমার বাসার বারান্দা থেকে যেটা কিয়দাংশ দেখা যায় । যেটি পুরোনো ঢাকার টিকাটুলির কে এম দাস লেনে অবস্থিত । আমার জীবনের পুরোটা সময় কেটেছে এবং কাটছে এখানে । এই বাড়ীটির অনেক ইতিহাস আছে যেটি ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে দেয়া আছে , আমি আজ আমার জীবনে ঘটে যাওয়া মজার একটি লিখবো শুধু ইতিহাস নিয়ে টানা টানি করবো না ।
চাইলে আপনারা এই লিঙ্ক থেকে কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন ।
সেই ‘রোজ গার্ডেন’ এখন শ্যুটিং স্পট
আমার ছেলেবেলার ঘটনা –
এখন আমার বাসা টিকাটুলির হুমায়ুন সাহেবের বাড়ীর ভেতরে, সেখানে এখন পুরনো অনেক কিছুই নেই , সীমানার ভেতরে তৈরী হয়েছে আধুনিক ফ্লাট সেখানের একটার অধিবাসি এখন আমি । যাক এখন মুল বিষয়ে আসি। সময়টা ঠিক মনে নেই, সালটা হয়তবা ১৯৯৭ – ১৯৯৮ হবে । আমাদের এলাকাতে হই হই পড়েছে হুমায়ুন সাহেবের বাড়ীর ভেতরে শুটিং হচ্ছে
নায়ক ওমর সানী এবং নায়িকা মৌসুমী, আমরা পাড়ার ২-৩ জন মিলে প্লান করলাম শুটিং দেখতে যাবো , কিন্তু আমাদের তো ভেতরে ঢুকতে দিবে না সুতরাং বাধ্য হয়ে অ বৈ ধ উপায় অবলম্বন করতে হলো । ভবনের পেছন দিকের দেয়াল টপকে ঢুকে গেলাম ভেতরে । সেটাই আমার জীবনের প্রথম কোন শুটিং দেখা , দেখলাম ভেতরে বিশাল একটা প্রাচীর তৈরী করেছে বোরড দিয়ে দেখতে অবিকল আসলের মত , চারিদিকে বোরড আর একটা জমিদার বাড়ির গেট ও রয়েছে । এবার মিশন হল এই প্রাচীর ভেদ করে একেবারে শুটিং স্পটের ভেতরে যাব । সিনেমাটা হলো জমিদার এবং গরীব প্রজাদের নিয়ে এবং যথারীতি জমিদার কন্যা নায়িকা মৌসুমী হল সেই গরীবের রানী এবং সাধারন প্রজা হল নায়ক ওমর সানী । সিনেমার নাম- “গরীবের রানী” । যাক এবার ভেতরে ঢুকতে হবে এই চিন্তা মাথায় ঠিক তখনি অফার আসলো নায়ক সহ সাথে অনেক প্রজা নিয়ে জমিদার বাড়ীর গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকার একটা সিন হবে আর সাথে সাথে প্রজা হিসেবে আমরা মনোনয়ন পেয়ে গেলাম শুরু হলো শুটিং – একশ্যান – ক্যমেরা দিলাম সবাই মিলে দৌড় গেট ভেঙ্গে ভেতরে , আর তখনি আওয়াজ এলো “ কাট” আর সাথে সাথে আমরা ২ জন শুটিং স্পট থেকে হাওয়া এক দৌড়ে মুল ভবনের ভেতরে ঢুকে গেলাম ঃ) তার পর সিড়ি বেয়ে ২ তলা তে উঠলাম এবং ভেতরে দেখলাম অশংখ্য ভাঙ্গা মুরতি এবং ঘর গুলো ছিল অন্ধকার আমরা বেশ ভয় পেয়েছিলাম । তারপর ২ তলার জানালার ফাক দিয়ে সারাদিন শুটিং দেখলাম অনেক সিনেমার আরটিস্টদের দেখলাম অটোগ্রাফ নিলাম তারপর বাড়ী ফিরে সে কি গল্প করেছিলাম সবার সাথে তাদের নিয়ে । এবং পরবরতীতে স্কুল ফাকি দিয়ে গুলিস্থান সিনেমা হলে এই সিনেমা টা দেখেছিলাম এবং অনেক মজা পেয়েছিলাম ।
এখন আমার বাসার বারান্দা থেকে এই বাড়ী টা পুরো দেখা যায় মাঝে সাঝে এই ঘটনা টা ভেবে খুব ই ভাল লাগে , অথচ এখন প্রতিদিন ই শুটিং হয় এখানে অথচ একবারের জন্য ও যেতে ইচ্ছে করে না । শুধু তাই নয় বিয়ে অথবা যে কোন অনুস্টানের জন্য ও এই স্পট ভাড়া দেয়া হয়ে থাকে । লাগলে আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন ।
এই তো কিছু দিন আগে আমাদের ফ্লাটের একটা অনুস্টান হলো কিছু ছবি দেখুন কি অসাধারন লাগে এটাকে । ছবিগুলো আমার নিজের হাতে তোলা । রাতের আধারে আলোকিত বাড়ির ছবি গুলো কি চমতকার ।
ফোয়ারা
আমি প্রথম ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে এখানে আমার ছবিটি তুলি
পোস্টের কোন অংশ কারো কোন লেখা বা পোস্টের সাথে আংশিক অথবা হুবুহু মিলে যায় তাতে আমি আন্তরিক ভাবে দুক্ষিঃত ।
আমার অভ্র তে সমস্যার কারনে যুক্তাক্ষরে কিছু সমস্যা আছে ক্ষমা সুন্দর দ্রিস্টিতে নেবেন ।
স ক ল কে অ নে ক ধন্যবাদ ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৯