( এমন কবিতা যেন আর একটিও লিখতে না হয়)
তৃষিত প্রাণের মৃত্যুক্ষুধা সুখের নিদ্রায়-
অবিরাম গোঙানিতে রাতেরা লজ্জা পায়।
আমিও অবলীলায় মাতৃপ্রেমে, জায়াপ্রেমে
নিমগ্ন সব সম্ভাবনার মৃত্যু দর্শনে।
ধর্ষিতা সার্বভৌমত্বের গায়ে কালযুগের নখের আঁচড়
বেমালুম অদৃশ্য হয় আতশবাজির ঝলকে।
চোখের ভেতর সর্ষের ফুলগুলো ভুল হয়ে বেরিয়ে আসে
লালপরী নীলপরীর বেশে (নি)ষিদ্ধ জলসায়।
আমি তখনও চেতনাহীন অচেতন শরীরে
ঘুমন্ত চেতনা বুকে ধরে কুলাঙ্গার হই!
প্রেয়সীর দিনব্যবধান বিচ্ছেদে বিরহ খুঁজি
মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে বেঈমানের অবয়বে।
অথচ, বিরহ এখন সীমান্তে জেগে ওঠা
হরিৎ ঘাসের গায়ে লেগে থাকা রক্তের ফাঁকে-
যখন গুলি খেয়ে দামাল ছেলে লুটিয়ে পড়ে,
ঘুমিয়ে পড়ে মায়ের কোলে।
শেষ কামড় পড়ার আগে জিহ্বাটা নড়ে ওঠে-
মা গো... বিদায় দাও!
চোখ দু'টো উল্টে যাওয়ার আগে আরেকবার দেখে নেয়-
জননীর এলোকেশী বেশ!
হায় দেশ!
কেবলই রক্ত স্নান!
রক্তইতো দিয়েছিলাম,
নিয়েছিলাম অধিকার।
তবু সেই ভিত কেন কাঁপছে বারংবার?
আজ সেই রক্ত মাটিতে মেশার আগে
খুঁজে ফিরে উত্তরাধিকার!
(ভেবেছিলাম কবিতাটি ব্লগে দিবো না। কারণ এ রকম কবিতা লেখাও এক ধরনের লজ্জা। আগেই লেখা কবিতাটি এখন দিয়ে বিলম্বেই লজ্জিত হলাম)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




