somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২০০'তম পোস্টে নিজের কথা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনকে নিয়ে সিরিয়াস হওয়ার মতো বয়স এখনো হয়নি। রু্ইতন আর হরতনের সিম্বলিক বিকেল অথবা সন্ধ্যার প্রতি মায়া কেটে যাবার চান্সও এখনো হয়নি। যতোবার নিজেকে বাঁধতে চেয়েছি ততোবারই ছিঁড়েছে। এখন নিজেকে খালি ছিঁড়তে চাই। ভালো থাকবো না-কি খারাপ থাকবো তা নিয়ে ভাবতে আগ্রহী নই মোটেও। এধরণের ভাবনাকে নোংরা বলেই মানি। ভালো থাকতেও রাজি নই, খারাপ থাকতেতো নয়ই। কেবল আমার মতোই থাকতে চাই- থাকিও তাই।

পরিবারভুক্ত মানুষগুলোকে দেখলে খুব মায়া হয়। কি সব ভিত্তিহীন সম্পর্ক নিয়ে মেতে থাকে! আবার রাতে পাগলা গোড়ার পিঠে শুয়ে শুয়ে ভাবি- আমার জন্যও বোধহয় তাদের মায়া হয়। মানব সন্তান কিভাবে জন্ম নেয় তা জানার আগেই প্রাকৃত পিতৃত্বের স্বাধ পেতাম। মমতার স্তরগুলো খুব ভারী ছিলো। কারো সন্তান হিসেবে প্রাপ্তির হিসেব কষে সে ইচড়ে পাকা পিতৃত্বে ভয় চলে আসে। আগুনে পুড়ে মরার মতো অসহায়ত্বে ভুগি তখন। একজন পিতা হিসেবে নিজেকে ভাবতেই চোখ দু'টো ঠেলে বেরিয়ে আসে।

নিজেকে মানসিক রোগি হিসেবে ভাবার আগে একবারও আয়না দেখার প্রয়োজনবোধ করি না। কারণ পাগলের চেহারা খুব জীবন ঘনিষ্ঠ বলে ভয়ানক অশ্লীল দেখায়। স্বাধীনতা অথবা পরিপূর্ণ মুক্তির স্বাদ পেতে নগ্ন হয়ে ঘরে পায়চারি করতে রাজি আছি তবুও আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে রাজি নই। রাতে যা ঘটে- সকালে ঘুম ভাঙার পর মনে পড়লে বিশ্বাস হতে চায় না। নিজেকে তখন মস্তিষ্ক বিকৃত ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

আমি যে অন্যের জন্য খুবই বিরক্তির কারণ - তা বুঝেও নিজেকে বদলে ফেলার মতো কষ্ট ভোগ করতে চাই না। কারণ আমি কখনোই সবার কাছে প্রিয় থাকাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবি না। নিজস্ব চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষে ফেলেছি অনেক আগেই। এখন কারো থেকে খারাপ কিছু পেলে ইগনোর করি আর ভালো কিছু পেলে নক্ষত্র ভাবি। আমার প্রচুর নক্ষত্র আছে, আমি সুখী। রাতের সর্বশেষ সিগারেটের স্পঞ্জ পোড়া গন্ধ নাকে আসতেই মাথা খারাপ হতে শুরু করে। কারণ তখনো রাতের অনেক বাঁকি থাকে। সংগ্রহের সংখ্যা বাড়িয়েও কখনো পুরো রাত সিগারেটের সাথে কাটাতে পারিনি। ও শালা আমাকে খুব বেশি করে খেতে পছন্দ করে। এই মুহুর্তে মাত্র ৭টা সিগারেট আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

কয়েকটি টিনের ঘর, দু'টো বড় উঠোন, পাকা ঘাটলার পুকুর, সুস্বাধু জলের টিওবয়েলসহ একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশের কথা চিন্তা করতেই মায়ের কাছে শুনা নরকের দৃশ্য চোখে ভাসে। বিষাক্ত সাপ, আগুন আরো কি কি সব কষ্টের বর্ণনা। ......... হ্যাঙ্গারে ঝুলানো সব ভদ্রতা ওখানেই রেখে পকেটে কতগুলো বসন্ত পুরে নিয়ে মাতাল ছেলের মতো জ্যোৎস্না কিনে ঘরে ফিরবো... এমনই একটি চকলেট অনবরত চুষে খাচ্ছি।

এ লেখার কোথায় যেন বলেছি - "এখন কারো থেকে খারাপ কিছু পেলে ইগনোর করি আর ভালো কিছু পেলে নক্ষত্র ভাবি। আমার প্রচুর নক্ষত্র আছে, আমি সুখী।"


০৭.১২.০৯
রাত ১২.৩৫মি.
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১২ রাত ২:০২
৩৭টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×