কোন ধর্মই হিংসাত্মক কার্যকলাপকে সমর্থন করে না।। (যদি না দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়), কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় অস্তিত্ব রক্ষার।।যেন কোন স্বাধীন দেশের নাগরিকদেরই অধিকার আছে মুক্ত বাক-স্বাধীনতার।।কিন্তু এর সংজ্ঞা এটা বলে না যে,তোমার এই স্বাধীনতা অন্যকে বা ধর্মকে আঘাত বা ছোট করার জন্য ব্যবহৃত হোক।।মুক্তমনের প্রকাশ এই নয় যে তা আরেকধর্মকে আঘাত করুক।।এটা অবশ্যই অগ্রহনযোগ্য।।প্রতিটি ধর্মেই তাদের প্রচার এবং প্রকাশের অধিকার রয়েছে কিন্তু তা অন্য ধর্মকে ছোট না করে।। রক্তে মিশে যাওয়া ধর্ম প্রতিটি নাগরিকের অধিকার।। একে অস্বীকার করার কিছুই নেই। না অস্বীকার করা যায় অতিবড় নাস্তকের বেলায়ও(দু’একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া)।।
প্যারিসের শার্লি হেবদো পত্রিকায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড(যা একান্তই অনভিপ্রেত এবং অপ্র্যাশিত) নিয়ে ঘটে যাচ্ছে পুরোবিশ্বে তোলপার।। বেশীর ভাগই একবাক্যে দায়ী করছে ধর্মকে।। অথচ ইসলাম কখনো এইধরনের ম্যাসাকারকে সমর্থন করে না তাও ফুটে উঠছে কম হলেও কিছু পশ্চিমা নাগরিকদের ভাষায়।। তাদের কথায় এই পত্রিকা বরাবরের মতই ইসলাম বিরোধী মতামত প্রকাশ করে চলেছে, এবং পত্রিকান্তরে প্রকাশ বাংলাদেশও এর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ থেকে মুক্তি পায় নি।।কিন্তু দুঃখের সাথে দেখতে হচ্ছে পশ্চিমা শক্তিগুলি মুক্তমত প্রকাশকেই প্রাধান্য দিচ্ছে পরধর্মকে আঘাতের পরিবর্তে।।কিন্তু এখানেই তাদের ব্যর্থতা।। এটা ইচ্ছেকৃত না উপেক্ষিত না অন্য লক্ষন তা আমার বোধগম্য নয়।। তাই বলে দয়া করে কেউ ভাবতে যাবেন না আমি এই চরমপন্থাকে সমর্থন করছি বা “ট্যাগ” প্রত্যাশী।।লেখার উদ্দেশ্য অনুধাবন না করলে দয়া করে তুর্কির প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেখুন এব্যাপারে।।
সম্প্রতি ব্রাসেলসে এক ভাষনে তুর্কির প্রধানমন্ত্রী(যা ন্যাটোর সহযোগী দেশও)বলেন পশ্চিমের উচিৎ দৈত্বনীতি পরিহার করতে,যখন তা ট্যারোরিজমের ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়।তিনি আরেকটু এগিয়ে বলেন,পশ্চিমের উচিৎ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একই নীতি আরোপ করতে।।উদাহরন টানেন ২০১৪সালে বার্লিন এবং পুরো জার্মানীতে ৯০টা মসজিদ আক্রান্ত হয়েছে বিরুদ্ধ ধর্মের হাতে,যার কোন বিচারতো দুরের কথা,সন্ত্রাসের প্রশ্নই উঠে নাই তখন।।প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন যে,ইসরাইল যখন খেলাধুলায় মত্ম শিশুদের এবং দেশরক্ষার নামে নারী-শিশু,যুবক তথা নির্বচারে গনহত্যা চালায় তখন তা হয় বৈধ!! পশ্চিম প্রতিবাদের ভাষাও খুজে পায় না!!তাই বলে আমি নিজেও শার্লি হেবদোর হত্যাকান্ডকে কোনভাবেই,কোন দৃষ্টিকোন থেকেই সমর্থন করতে পারছি না।। আবার পারছি না এই ম্যাগাজিনটির কার্যকলাপও।। এটা যেন বিদ্রোহ ঘোষনা করছে ইসলামের তথা মুসলিমদের প্রতি?? আর এর সব কিছুই হচ্ছে বাক-স্বাধীনতার নামে।। তাহলে আমাদের স্বাধীনতা কোথায়?? না ধর্মের না মতপ্রকাশের।। (ট্যাগ অনিবার্য)।। তা না হলে ফ্রান্সের মত একটি শান্ত দেশে কেন এই রক্তের হোলী।।আর জার্মানীতে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল,যা কি না বাতল করা হয়েছে মুসলিম সন্ত্রাসী হামলার নিঃশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্টে!! আমাদের কি দেখতে হবে আমেরিকা-বৃটেনের মত,ফ্রান্স-জার্মানী যুগল??বিশ্ব-রাজনীতির শক্তির পরিবর্তন না কি রাজনীতির বিচিত্র নিয়মে বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর বলী?
মূল কথা শার্লি হেবদোর এই উস্কানীও চাই না র চাইও না ইসলামের নামে এই হত্যাকান্ড।। ইসলাম কাচের চুড়ির মত ভঙ্গুর নয় যে দু’একটা লেখায় বা কার্টুনে তা ভেঙ্গে যাবে।। অনেক ঝড়-তুফান এমনকি ক্রুসেদও জয় করে তা আজো টিকে আছে।। থাকবেও।।
বেশী বড় লেখা অনেকের বিরক্তির কারন বলে সংক্ষেপেই শেষ করলাম।।
শুভকামনা পাঠকদের প্রতি।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




