somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের অভিজ্ঞতা

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গেলামতো বছর খানেক পর।। এই একটি বছর একদিকে কেটেছে নিরূদ্বেগ, ভয়হীন (একমাত্র চিন্তা আপনজনদের অসুস্থতা ছাড়া )।। যাওয়ার পরই বদলে গেলো সব।। দূর্ঘটনা(এখানেও যে হয় না, তা না।। তবে পার্থর্ক থাকে), ছিনতাই, “অহেতুক” একটা ভয়, সাথে পুরানো শত্রুতারও।। ঘনিষ্ট বন্ধুদের সংখাতো কমেই গেছে স্বাভাবিক ভাবেই।। বিরোধীরাও অনেকে নেই।। ভয় ছিলো যে কেউ ক্ষতি করতে পারে।। আর আমার বয়স হলেও যৌবনের সেই উদ্দাম আর উত্তাল দিনগুলি এখনো পিছু টানে।। ঘনিষ্ট যাদের পেয়েছি ,তাদের তেমন সময় হয় নি স্বভাবতই।। কেউ ব্যস্ত সংসার-ব্যাবসা আর কাজ নিয়ে।। বাকীরা ব্যস্ত তাদের “নূতন সমাজ” নিয়ে।। মনে পড়ছে খোকা ,পিলটা আর টমের কথা।। যাদের একসময় আমি ভার্সিটির বই, বাচ্চার দুধ আর বউয়ের শাড়ি পর্যন্ত কিনে দিতাম।। দিয়েছিলাম এলাকার নির্বাচনের সব ক্যাম্পের বেড়া দিয়ে ঘর তুলতে সাহায্য করে।। আরো অনেক আছে, মিছেমিছি বললাম না লেখাটা বড় হয়ে যাবে বলে।। কাউকে মৃতুর হাত থেকে বাচিয়েছি, কেউবা আমার সাথে এগিয়ে গেছে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে।। সেসময় শপথ না নেওয়া সত্বেও, একে অপরের বিপদে এগিয়ে যেতাম।। আজ আমরা শেষ বেলায়।। টান আছে সংসারের, সন্তানদের, মৃত্যুকেও, যেমনটা আমারও।। তাই কাউকে দোষ দেই না।। সব দায়ভাগ বয়সের।। যারা সুযোগসন্ধানী তারা উপদেশ কান পেতে শুনি।। আর ভাবি।। আজ তারা প্রতিষ্ঠিত।। গাড়ি-বাড়ির মালিক।। আর আমি কি না সংসারকে টিকিয়ে রাখতে (এতো কিছু করার পরও) পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন!! ’৭৭ থেকে!! মানুষের জীবনে আর থাকে কি??
আপনজনরা আমার স্বভাব জানে, তাই একেলা ছাড়ে নি।। ভাগনা-ভাগ্নী,ভাতিজী, স্ত্রী বা বোনদের কেউ না কেউ থাকতো আমার সাথেই।। অজুহাত গাড়ি!!
বাধ্য হয়েই এড়িয়ে চলতে হয়েছে অনেক কিছুই, মন টানা সত্বেও।। পুরানো ইতিহাস ঘাটতে কার না ভাল লাগে?? তবুও চলেছি সবার ইচ্ছেমতই।। বানিজ্যমেলায় তো ১০/১২জন, বই মেলায়ও গিন্নী (যে কি না একটা বইও পড়ে দেখে না।। শুধু সাথে ছিলো,পুরানো কারো সাথে মিলি কি না দেখতে।।
তবে পরিজনদের আপ্যায়ন মন ছুয়ে যাওয়ার মত।। সব মতভেদ ভুলে সবাই নিজের মতই করে নিয়েছিলো।। সুস্থতায়,অসুস্থতায়।। আমিই ছিলম সব আসরের মধ্যমনি।। ভাইটি প্রথমেই বরন করে নিলো আগমন,,নববর্ষ,কয়েকদিন পর তার মেয়ের জন্মদিন।। বোন করলো ভাগনীর বিয়ের কথা ,জ্যাঠাইসের ছেলে করলো এটাও।। সবারই ইচ্ছে আমি যেন আরো কিছুদিন থেকে যাই।। অথচ পারি নি কারন মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ১৫দিন এক্সটেশন করেছিলাম বলে।। দূ্র্ভাগ্য আমার।।
আর খাবার-দাবার?? শীতকাল বলে পিঠা আর খাবারের বাহুল্যে গ্লকজের পরিমান ১৫ থেকে ১০য়ের নীচে নামেই নি (এর দায় আহমেদ জী এস)।। দুঃখিত জী এস আপনাকে দায়ী করছি বলে।। একেও ফান বলে ভাবুন।।
এবার কিন্তু পরিবার থেকে ভাল রেন্সপন্স পেয়েছি।। হয়তো সবারই বয়স হয়েছে।। এখন শুধু হারানোর ভয়।। এই ঝুকি কেউ নিতে চায় নি।। আসলে সব পেয়েছি কিন্তু সময়কালে না।। আরো আগে পেলে এখন আর কাউকে নিঃসঙ্গ হতে হতো না।। গিন্নীটা আসার পর থেকেই অসুস্থ।। অথচ আমি ১০ থেকে ১২টেষ্ট করিয়েও করিয়েও কিছু পাই নি।। ডাক্তার অল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে।। তারপরও??
বোন/ জ্যাঠাইস দুঃখ করছে।। কিন্তু আমার কিছু কি করার আছে??
দেশটাতে ঘুরে এলাম।। যানযট এখানেও থাকে।। কারন সেই নূতন রাস্তা আর পুরো কুয়েতব্যাপি নূতন ফ্লাওভার।। সুতরাং নিজ দেশের যানযটের কথা বলা বৃথা।। তবে ভাবছি দেশেই কি এটা প্রকট, ভুল নীতির কারনে!! আজ পত্রিকায় দেখি হলমার্ক,বেসিক ব্যাংক,শেয়ারবাজার,সোনালীও সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ার কথা।। সমাধান হয়েছে কি একটিরও?? এমন,]সাথে মায়ার মেয়ের জামাইর কথা।।এমনকি জোসেফেরও মেডিক্যালের আয়েসী জীবন?? বিকাশ,প্রকাশ আজ কোথায় সাথে লিয়াকত-হান্নান?? আওরঙ্গতো আর মুরাদতো, দুর্ঘনায় শেষ!! আগে নাম শুনতাম খসরু,মুরাদের্ু,মন্টু, *গুপীবাগের) তারও আগে খোকা,পাচপাত্তু((ভার্সিতে বিখ্যাত, ইসলামপুরের ভুলুগুন্ডা নাম ।।মুরাদের মত চুনোপুটির বিচার হয়, হয় না মানিকের।। সাথে আরো অনেকের!! আসলেই দূর্ভাগা আমাদের দেশ।। অনেককেই দেখেছি আজ ক্ষমতাসীনদের হাতের পুতুল হতে।।কত নাম বলবো?? নামগুলিতেই শুধু পাতা ভরে যাবে।। অথচ যারা সত্যিকার দেশপ্রেমিক, তারা আজ নির্বাক।।
এতো ইস্যু থাকা সত্বেও আজ বিরোধীদল নির্বাক।। কারন লুলা মানুষের হাটতে পারে না,তার কাজই ভিক্ষা।।
দেশের “বাহ্যিক” উন্নতি যে হচ্ছে না, তা আমি অস্বীকার করতে পারছি না।। কিন্তু তেমনই পারছি ন দূর্নীতির কথা।। ওয়ার্ড কমিশনার থেকে কোথায় নেই?? এরশাদ এটাকে সার্বজনীন করেছে, আর বর্তমান সরকার করছে তৃনমূল পর্যায়ে।। আজ একজন নেতার ছেলেও ওসিকে ধমকাতে শাহস পায়।। তাও স্থানীয় পর্যায়ের!!
দেশটা কেমন যেন থমকে আছে।। সব আছে, তবু কিছই নেইর মত।। আসলে আমরা বোধহয় আগে চলার চেয়ে পিছনে হাটতেই পছন্দ করি বেশী?? ভুতের মত!!
আরো অনেক কিছূই বলার ছিলো, বয়স বাধা দিলো।। তাই এখানেই আজকের মত কথা শেষ।।
বোকা মানুষের মন্তব্যে এটা লেখা।। উত্সগ তাকেই।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৩০
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×