somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কালো জাদু এবং আমার অন্য এক জগতে রহস্যময় বিচরণ

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দিন দিন সমাজে কালো জাদু যেমন বেড়েছে তেমনী বেড়েছে সংসার জীবনে অশান্তি। বেশ কিছুদিন আগেও কালো জাদু অনেকটা কমে গিয়েছিল। বিজ্ঞানের এই যুগে জাদু বিদ্যা হাস্যকর হলেও আমাদের অন্তর এখনো আলোহীন রয়ে গেছে। তাই ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিষয়টি আবারো মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে। এই ব্লগে আমি সম্পূর্ণ আমার মতামত তুলে ধরছি। আমার সাথে কেউ একমত বা দ্বিমত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে কেউ যদি সুন্দর কোন ব্যাখ্যা দিতে চান, সেটা হবে সব থেকে ভালো কাজ।

যাই হোক, আমাদের অন্তর ছিল কুসংস্কার আর অবিদ্যায় ঢাকা। মহান স্রষ্ট্রা দয়া করে আমাদের জ্ঞান দিলেন। আমাদের কাছে তিনি শিক্ষক প্রেরণ করলেন। আমরা শয়তানের পুজা বাদ দিয়ে আবার আমাদের রবকে চিনলাম। কিন্তু আমাদের অন্তরে সেই শয়তানই কোন একটি কোণে ঘাপটি মেরে বসেছিল। সে সব সময় সুযোগ খুজছিল কিভাবে আবার আমাদের অন্তর কুলষিত করবে।

এই ব্লগটি লিখতে বসে আমি বারবার আমার রবের কাছে সাহায্য চাইছি। কেননা শয়তান কখনই চায় না তার স্বরুপ মানুষ চিনে ফেলুক। কেবলমাত্র আড়ালে থেকেই সহজে ধোকা দেয়া যায়। আমার অন্তরকে আমি আমার স্রষ্ট্রার কাছে সমর্পন করছি। আমার অন্তরের বিশ্বাস আমি যেন সুন্দরভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি তাই আমার অন্তরের মালিকের কাছে নিজেকে সমর্পণ করাই শ্রেয়। আমার মধ্যেও এমনকি এই ব্লগের লেখার মধ্যেও শয়তান ঢুকে পড়তে পারে। পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই আপনারাও বিশ্বপ্রতিপালকের কাছে সব সময় আশ্রয় প্রার্থনা করুন। তিনিই একমাত্র পথ প্রদর্শক।

মূসার কথা মনে আছে? আল্লাহ তা আলা মূসার ভাই হারুনকে তার সহযোগী করেছিলেন। আল্লাহর মনোনীত বন্দা তারা। ফেরাউনের হাত থেকে তিনি তার অনুসারীদের আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্ত করে নিয়ে এসেছিলেন। আল্লাহর সুস্পষ্ট নিদর্শন তারা দেখেছিল। নীলনদে ফেরাউনের পরিণতি এবং আল্লাহর কুদরত তারা স্বচক্ষে দেখেছে। তারা মূসার আল্লাহকে বিশ্বাস করত আবার তারা মিশরের সব মজার মজার খাবার ফেলে আসায় আফসুস করত। শয়তান কিভাবে অন্তরের কোণে ঘাপটি মেরে বসে থাকে তা লক্ষ্য করুন। মিশরের উন্নত জীবন যাপন তারা ছেড়ে আল্লাহর হুকুমে এক পানিশুন্য সমতলে তাবু ফেলে বসবাস করতে লাগল। বালু আর পাথরের মাঝে থাকা নিয়ে তারা মূসার কাছে নালিশ নিয়ে এল। মূসা তাদের একটি পাথরের উচু টিলা দেখিয়ে বললেন এটা কাটো। পাথর ফেটে পানির ঝরণা বেরিয়ে এল। আল্লাহ তাদের জীবন যাপনের সব কিছুই দিলেন। তারা সেখানে আবাদ শুরু করল। কিন্তু তাদের অন্তরে শুকরিয়া কতটুকু ছিল। তারা তাদের রবের প্রতি কতটুকু আনুগত্য ছিল? আল্লাহ তাদের আনুগত্যের পরীক্ষা নিলেন। মূসাকে তূর পাহাড়ে ডাকলেন। ৪০ দিন পর তিনি ফিরে এসে কি দেখলেন? তার অনুসারীরা একটি মূর্তি বানিয়ে সেটির পূজা করছে। একবার ভাবুন। সেই সময়ে চলে যান। সেই প্রকৃতি অনুভবে নিয়ে আসুন। মনে মনে ভাবুন সেই অনুসারীদের মধ্যে আপনিও একজন। সেই সময়ে সেই সমাজে থাকলে আপনি কি করতেন? কেন তারা এমনটা করেছে? আপনি কি তাদের বাইরের কেউ? আমরা নিজেরাও আমাদের বর্তমান অবস্থানে থেকে আল্লাহর কতটা অনুগত? সেটা বুঝতে হলে সেই সময়ে সেই পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে। যারা আল্লাহর এতো এতো নিয়ামত পেয়েও কুফরী করেছে। আমরা কি তাদের মত নিয়ামত পাচ্ছি না। বিনিময়ে আমরা কি কুফরী থেকে নিজেদের বাচাতে পেরেছি


সেই মূর্তি কে বানিয়েছিল? মূসার ভাই হারুন। চিন্তা করুন। একদিন তারা হারুনের কাছে এসে বলল, আমুদ প্রমোদের জন্য তারা গান বাজনা মদ পান করতে চায়। তারা একটি রাতের জন্য সেসব কাজের অনুমতি চাইল। তারা মিশরে অবাধ্য জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিল। এই সমতলে কি আছে তাদের? না আছে সরাইখানা। না আছে সুন্দরী নারীর সঙ্গ। শয়তান তাদের অন্তরে মিশরের সেসব দিনগুলো বারবার মনে করিয়ে দিল। তারা মূসার অবর্তমানে সে পবিত্র ভূমিতে পাপাচার শুরু করল। আল্লাহর নিয়ামত পানি সেভূমির জন্য বন্ধ হয়ে গেল। আল্লাহ তাদের উপর নিয়মতের দরজা বন্ধ করে দিলেন। তারা পানির অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়ল। হারুনের কাছে এসে বলল, আপনি আমাদের একটি মূর্তি বানিয়ে দিন। যে মূর্তির কাছে তারা পানি চাইতে পারে। হারুন ভয় পেলেন, তাদের কথা না শুনলে তারা তাকে হত্যা করতে পারে বলে তিনি মনে করলেন। বাধ্য হয়েই তিনি তাদের কথামত একটি মূর্তি বানিয়ে দিলেন। আর তারা আবারো মূর্তিপূজা শুরু করল। আসলে তারা তো তাই ছিল। আল্লাহ এজন্যই আল কোরআনে বারবার বলেছেন, মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ।

উপরের বিবরণ থেকে আমরা কি শিখলাম? মূসার ভাই হারুনের মতোই আমরা অনেকে অনেক কিছু ঠিক নয় জেনেও বাস্তবতার চাপে অনেক কাজ করে ফেলি যা করা আমাদের মোটেও ঠিক নয়। আবার সেই অনুসারীদের মতোই আমরা অকৃতজ্ঞ। আমাদের অন্তর পাপে পূর্ণ। আমাদের না আছে ধৈর্য, না আছে শুকরিয়া। অন্তরে সন্তুষ্টী না থাকলে শয়তান কিভাবে আপনাকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে নিবে তা আপনি ভাবতেও পারবেন না

এবার আসুন আলোকপাত করি আমাদের বর্তমান সমাজ এবং আমাদের নিজেদের জীবনের দিকে। সংসারে এতো অশান্তি কেন? কোন পরিবারে অশান্তি নেই? সব পরিবারেই অশান্তি। তার মানে সব পরিবারের ভেতরেই শয়তানের বসবাস। আমরা শয়তানকে নিয়েই আছি। যেখানেই অশান্তি , মনে রাখবেন সেখানেই শয়তান। শয়তান কুমন্ত্রনা দেয় আমাদের অন্তরে।

সূরা নাসের বাংলা অর্থ দেখুন - আল কোরআনে ১১৪ নং সূরা হচ্ছে সূরা নাস। ১। বল, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, ২। মানুষের অধিপতি, ৩। মানুষের ইলাহ-এর কাছে, ৪। কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্ম গোপন করে। ৫। যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রাণা দেয়। ৬। জিন ও মানুষ থেকে।

শয়তান দ্রুতই নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে পারে। ফলে আমরা বুঝতে পারি না, আমাদের অন্তরের এই মনোভাব শয়তানের দেয়া। কেননা, শয়তান কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে। ফলে সেটা দেখা যায় না। শয়তান শুধু শয়তান নয়। সে কেবল একা একজন নয়। তার অনুসারীও হাজার কোটি। মানুষ ও জীনদের মধ্যে অনেকেই শয়তানের অনুগত। কালো জাদু ইসলাম ধর্মে নিষেধ। কোন মানুষ যদি তা করে তবে সে শয়তানের অনুসারী। একজন মানুষ একাধারে মুসলমান আবার কালো জাদু করে সেটা কখনই সম্ভব নয়। আচ্ছা , এটা কি সম্ভব যে, আপনি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন আবার মূর্তিপূজা করেন? দিন আর রাত কি একসাথে সম্ভব? না তা কখনই সম্ভব না। তাই মানুষের মধ্যেও অনেকেই আছে যারা শয়তানের অনুসারী। জীনদের মধ্যেও তেমনী আছে। আর তাদের সরদার হচ্ছে শয়তান।

কালো জাদু কিভাবে কাজ করে? আপনি যখন একজনকে খারাপ ভাষায় গালি দিবেন তখন সে কি করবে? আপনাকেও গালি দিবে। নয়ত আপনার উপর হাত তুলবে। আবার সে যদি বুদ্ধিমান হয় তবে বলবে, আপনার এই কথাগুলো রাখার মতো জায়গা আমার কাছে নেই। দয়া করে আপনার কথাগুলো আপনার কাছেই রেখে দিন। শুরুটা কিভাবে হয়েছে লক্ষ্য করুন। মুখ দিয়ে কয়েকটি শব্দ বের হলো্। সম্পূর্ণ পরিবেশ চেঞ্জ হয়ে গেল। যারা সেসব খারাপ শব্দের প্রভাব থেকে মুক্ত তারা খুবই শান্তভাবে যেদিক থেকে খারাপ শব্দগুলো এসেছিল সেদিকেই ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা কোন রাগ বা অভিমানও ধরে রাখে নি। ফলে তারা সেসব থেকে মুক্ত। আবার যাদের অন্তর অশান্ত তারা পাল্টা গালি দিল এবং খারাপ শব্দগুলোর শক্তি তখন শয়তানী শক্তিতে পরিণত হয়ে গেল।

তেমনী অনেক দূরে থেকেও যদি আমরা কোন মানুষকে স্বরণ করি তাহলে দেখা যায় সেও সেসময় অস্তির হয়ে আমার কথা মনে করে। আসলে মোবাইলের নেটওয়ার্ক যেমন একটা আরেকটার সাথে কানেকটেড তেমনী আমরা মানুষজাতীও একজন আরেকজনের সাথে কানেকটেড। আমি আজ সিলেটে বসে যদি আমার মাকে স্বরণ করি তবে আমি নিশ্চিত আমার মাও একই সময়ে আমাকে স্বরণ করছেন সুদূর গ্রামে বসে। এটা আমি নিশ্চত কারণ আমি আর আমার মা সব কাছের স্মৃতি। আমার মায়ের ভেতর থেকেই আমি পৃথিবীতে এসেছি। আমার নিউরণগুলো সব থেকে বেশী স্পর্শ পেয়েছে আমার মায়ের। গর্ভে থাকাকালীন দীর্ঘসময় আমরা একই সাথে ছিলাম। আসলে তার কার্বন কপি আমি। তার থেকেই তো আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে আমাদের কানেকশন অনেক শক্তিশালী। তেমনী কিছু মানুষ চর্চা করে বা দীর্ঘদিন স্বাধনা করে সেই শক্তি লাভ করে। তারা তখন শুধু তাদের কাছের মানুষের সাথে কানেকটেড হয় না। তারা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের মানুষের সাথে কানেকটেড হয়ে যেতে পারে। আমাদের সবাই তো একই বিন্দু থেকে এসেছি। সবাই আদম আর হাওয়া থেকে সৃষ্টি । তাই স্বাধনার মাধ্যমে আমরা সেই শক্তি পেয়ে যেতে পারি। বিজ্ঞানে ট্যালিপ্যাতি নামক একটি বিষয় আছে। এটা অনেকটা সেরকম কিন্তু কিছুটা ভিন্নতা আছে। দূরে থেকে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে অস্তির করে তুলতে পারে। পাশাপাশি থাকাকালীন অবস্থায় যেমন বাজে মন্তব্য করে অন্যকে অস্তীর করে তুলা যায়। তেমনী দূরে থেকে অন্তরকে অস্তির করে তুলা যায়। শব্দ কখনই বিলীন হয়ে যায় না। প্রকৃতির গভীরে শব্দেরে কম্পাংক রয়ে যায়। আমি হয়ত সে শব্দ শুনতে পাই নি , কিন্তু আমার অন্তর ঠিকই সেটা শুনতে পেয়ে গেছে। ফলে আমার অন্তর তখন অশান্ত হয়ে উঠে।


একজন মানুষের কানের কাছে কিছুদিন যদি ২৪ ঘন্টাই বলা হয় তুই তোর শত্রুকে হত্যা কর, হত্যা কর। তাহলে কি ঘটবে? কোন না কোন সময় সে ভায়েস্ট হয়ে তার শত্রুকে হত্যা করতে মনস্থির করবে। তেমনী শয়তানী কালো বিদ্যার মাধ্যমে মানুষও জীনদের মধ্য থেকে খারাপ জীনের সাহায্যে অন্যের অন্তরে কুমন্ত্রনা দিতে থাকে। হয়ত আপনার শত্রু, আপনার স্ত্রীর অন্তরে এই বলে কুমন্ত্রনা দিচ্ছে - তুই এই স্বামীর কাছে সুখী হতে পারবি না, একে ছেড়ে চলে যা। কিংবা তর স্বামী অন্যের দিকে কুনজর দিচ্ছে একে বিশ্বাস করিস না। অন্তরে আরো হাজারভাবে হাজার ভাষায় কুমন্ত্রণা দেয়া হয়। সবই আমি এখানে বলতে চাই না। কেউ কেউ সেশক্তি খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারে তাই আমি সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই না।

কথা হচ্ছে, এভাবে কুমন্ত্রণা দিলেই কি মানুষ ভায়েস্ট হয়ে যাবে ? এতো সহজ? সব সময় অন্তরে কুমন্ত্রনা দেয়া হয় না। অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়া হচ্ছে শয়তানের সব থেকে প্রথম প্রদক্ষেপ। এভাবেই সে একজন মানুষকে বাধ্য করতে শুরু করে। আর সে এভাবেই সম্পূর্ণ বশ করে ফেলে। হিপনোটাইটিস করে যেমন একজন মানুষ অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করে তেমনী শয়তানী শক্তির মাধ্যমে আমরাও আরেকজনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাই। আমাদের অন্তরের মালিক তখন আল্লাহর পরিবর্তে শয়তান হয়ে যায়। এর থেকে বড় নাফরমানী আর কি হতে পারে? এজন্য যারা কালোজাদু করে তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করেন না। কেননা, আল্লাহ ও রাসূল তাদের দ্বায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত। তারাতো শয়তানকে তাদের রবে পরিণত করেছে। এজন্য সূরা নাসে মানুষের অন্তরকে শয়তান থেকে নিরাপদ রাখতে মানুষের রবের কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে।

অন্তরকে শয়তানের আবাসস্থল বানাবেন না। আমরা যখন মুসার অনুসারীদের মতো অন্তরে লোভ লালসা জমিয়ে রাখি তখন তো পরোক্ষভাবে আমরা শয়তানকেই আমাদের অন্তরে আমন্ত্রণ করি। শয়তানকে আমরা দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসি। মূসার অনুসারীরা ছিল অকৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাদের বারবার সুসংবাদ দেয়ার পরও তারা অন্তরে মিশরকে লালন করছিল। এখন সময় এসেছে আমাদের অন্তরের দিকে তাকানোর। আমরা কতটা আমাদের অন্তরকে শয়তান থেকে নিরাপদ রেখেছি? সেটা আপনারা নিজেরাই চিন্তা করে দেখুন।

কিভাবে বুঝবেন শয়তানী শক্তি আপনার উপর প্রভাব বিস্তার করছে? প্রথমে একটু একটু তারপর অধিকমাত্রায় নিজেকে অস্তির লাগবে। কাজে মন বসবে না। শারীরিক অসুস্থতা শুরু হবে। নেগেটিব চিন্তা ও কাজের দিকে মন দ্রুত চলে যাবে। মন ভুলে যাবে আল্লাহর উপস্থিতি। আল্লাহর উপর ভরসা কমতে থাকবে। আর এভাবেই নিজেই আমরা নিজেদের ক্ষতি বা ধ্বংস ডেকে নিয়ে আসব। কোন জীন এসে আপনার সংসার ভাঙ্গবে না। আপনার নিজেরই কাজে আপনার নিজের সংসার ভাঙ্গবে। তবে আপনি যে কাজটি করবেন সেটা অন্তরে বসে শয়তান নিয়ন্ত্রণ করবে।

মুক্তির উপায়। অন্তরকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করুন। নিয়মিত সূরা নাস , ফালাক বাংলা অর্থসহ পড়ুন নিয়মিত সকাল - সন্ধ্যা। অর্থগুলো অন্তর থেকে অনুভব করুন। আয়াতুল কুরসী পড়ুন। আয়াতুল কুরসী অন্তরকে নিরাপদ করার জন্য পাহাদার হিসেবে কাজ করবে। ভুলের জন্য ক্ষমা চান। খতমে ইউনুস পড়ুন। রাগ, ক্ষোভ, ঘৃনা, লোভ অন্তর থেকে মুছে ফেলুন। সামান্য পরিমাণ অহংকার অন্তরে আশ্রয় দিবেন না। পৃথিবীর কোন কালোজাদু আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×