বিষণ্ণ ল্যাম্পপোস্ট হয়ে গেঁথে আছি সময়ের স্তনবৃন্তে
স্বার্থান্ধতার পদাঘাতে থেঁতলে যাওয়া সময় রক্তাক্ত
ধূসর হয়ে আসা ইচ্ছেগুলো
মরীচিকার খোলসে মরচে পড়া ভঙ্গুর মাটি
অহর্নিশ ভ্রুকুটির শিকার।
সুখের অপসৃয়মাণ অবয়ব ক্রমশঃ যেন
বাতাসে ঝুলে থাকা প্রত্যাশার শীকর
আশা-নিরাশার আঁকাবাঁকা চোরাগলিতে ক্লান্ত পথিকের
গোধূলিবেলায় হিসাবের খাতায় আস্ত একটি অশ্বডিম্ব।
মধ্যরাতের মন্দ্রিত স্খলন
নাগরিকতার সুশোভিত পোশাকে চিরচেনা
হতাশার আঁজলায় চুমুক দিয়ে শিরায় প্রবাহিত
করে রিক্ততার নীল স্রোত।
এখনও বয়ে চলেছে বিশ্বাসহীনতার ঘোলাজল
মননে, মগজে, বিরামহীন
ভরসার খোলনলচে পাল্টে যাওয়া
এই নাট্যশালায় আমি এক পুরনো দর্শক।
এ যেন দোয়াতের কালি,
চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকারের দুর্লঙ্ঘ্য প্রাচীর;
মাথা কুটে মরার জন্য এরচেয়ে শক্ত কিছুর প্রয়োজন নেই।
যদি কল্পনা করি, নিমিষেই সেটা কূল-কিনারাহীন অথৈ সমুদ্র
সাঁতরাতে সাঁতরাতে এ জনম শেষ হয়ে যাবে।
খড়কুটোর মত ভেসে যাই সময়ের চোরাস্রোতে
অবলম্বনহীন, ক্লান্ত
গোটা অস্তিত্ব ধরে ঝাঁকি দেয় অনিশ্চয়তার অবয়ব
আসুরিক শক্তি নিয়ে অবিরাম।
পলকহীন চোখে চেয়ে থাকি উৎসের পানে
দেখা যাবে কি?
বিচ্ছুরিত হবে? উদ্ভাসিত হবে চারিদিক?
আরাধ্য, স্বর্গীয়?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫০