ভেবেছিলাম টি এস সি কেন্দ্রিক বাতচিত শেষ করবো, কিন্তু কিছু ভাই-বোন আর হলুদ মিডিয়া চুপ থাকতে দিলোনা।
কিছু দ্বীনি ভাইও বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন কিছু ভিডিও নিয়ে, আমাদের কয়েকজন দুঃখিবোন তাদের ক্ষোভ ঝেরেছেন যে সব ভিডিওতে!
না দেখলেও শুনেছি বক্তব্যগুলো এমন;
=সৌদীআরব থেকে একবোন বলেছেন; মেয়েদের পোষাক যাই হোক পুরুষরা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি চেঞ্জ করলেই কেবল এসব বন্ধ হবে! কারণ সৌদীআরবে বোরকা পড়েও মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়।
তিনি আরও বলেছেন, নোংরা পোষাক জড়ানোর কারণে কাউকে এভাবে শাস্তি দেয়া উচিৎ হয়নি।
= বাংলাদেশের এক মডেল বলেছেন, প্রটেস্টের জন্যে অস্ত্র নয়, তিনি ফার্মেসী থেকে জীবাণু প্রতিরোধক পেকেট(!!!!! বুঝে নিবেন) রাখবেন! কেউ তাকে ধর্ষণ করতে আসলে পেশ করবেন; নিন এটা ব্যবহার করুন, যেনো আপনার শরীরের জারম আমার মধ্যে প্রবেশ নাকরে।
= আরেকজনের বক্তব্য, আর নয় প্রতিরোধ, এবার হবে প্রতিশোধ!
= বোরকার প্রসঙ্গ টেনে একজন বলেছেন, ছয় বছরের শিশুও ধর্ষিতা হয়, তাহলে কি বাচ্চা ভূমিষ্টের সময়ই বোরকা পড়িয়ে দেবো?!!
= ওয়াজের ঢঙে একজনের বক্তব্য, আপনার দৃষ্টি নীচে করুন। তিনি আবার হুমকিও দিয়েছেন; তাকালেই আক্রমণ!
বাহ্ কি চমৎকার মনোভাব!
আমাদের কথাগুলোও একটু শুনুন;
= প্রথম কথা হচ্ছে আমরা এবং আমাদের পরিবার এ সমাজের বাইরে!
কাজেই বোরকা আর দাড়ি নিয়ে বক্তব্য বন্ধ করুন!
হামলাকারী এবং তার শিকার প্রায় সবাই একই পরিবারভূক্ত!
= সেঞ্চুরিয়ান কেউ মাদ্রাসার ছাত্র বা ইসলামপন্থী নয়, সেতো আপনাদেরই সোনার ছেলে!
= কাউকে শাস্তি দেয়ার জন্য এমনটি করা হয়েছে বলে যে বক্তব্য আসছে সে ব্যপারেও আপনারাই ভালো জানেন!
কারণ এলাকা আপনাদের, নিরাপত্তারক্ষী আপনাদের, শাস্তিদাতা সোনার ছেলেরাও আপনাদের, শাস্তিভোগও আপনারাই করলেন!
আমরাতো বরাবর শেয়ালের সামনে মুরগি হতে নিষেধ করেই আসছি বার বার, কাজেই শেয়াল-মুরগি সবইতো আপনারা!
= দৃষ্টি অবনত করার কথা ১৪০০ বছর থেকেই বলে আসছি, এটা নতুন কিছু নয়, সূরা নূর খোলে দেখুন!
আর আপনি বলছেন শিকারের পর!
= আচ্ছা আপনার দামি গহনাগুলো ঘরের বাহিরে রেখে কোনোদিন কি কাউকে দৃষ্টি অবনত করতে বলেছিলেন?
উফ্ফু আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম আপনাদের কাছে যে নিজের সম্মানের চেয়ে অর্থকড়িই মূল্যবান; তাইতো বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অর্থের বিনিময়ে নিজের ইজ্জত-আব্রু সব বিক্রি করে দিচ্ছেন!
= বোরকা পড়লেই নারী নিরাপদ হয়ে যাবে এটাকি আমরা বলেছি? তাহলেতো শুধু আপনাদেরকেই বোরকা পড়তে বলা হতো!
পর্দা নারী-পুরুষ সকলের জন্যেই, তবে আপনাদের দায়িত্বটা একটু বেশি, সে জন্যে ইসলাম আপনাদের সৌন্দর্যটাকে গোপন করতে বলেছে, প্রিয় বোন এটা কার নিরাপত্তার জন্যে?
বোরকা পড়েও যারা আক্রান্ত হয়েছে সেটাতো বিভিন্ন কারণেই হতে পারে;
ইদানিং যেসব ফ্যাশনাবল বোরকা আমরা দেখি, এ অবস্হায়ও যদি কেউ আক্রান্ত হন তবে বোরকার দোষ না দিয়ে বোরকার ধরণকেই দায়ী করা যেতে পারে!
শরঈ পরদা করেও কেউ আক্রান্ত হতে পারেন, সে জন্যেইতো রয়েছিলো মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তি, তখন আবার সেই আপনারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে চেচামেচি করতে থাকেন!
প্রিয় বোন আপনারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ! সে সম্মান আমরা আপনাদের দিতে চাই, দরকার আপনাদের একটু সহযোগিতা!
প্রতিশোধ আর প্রতিরোধের হুমকি নয়, কুরআনের পথে আসুন এতেই আছে আপনার আমার সকলের নিরাপত্তা!
আমরা আপনাদের শত্রু নই, প্রকৃত হিতাকাঙ্ক্ষি! আপনার সম্মান আমাদের সম্মান!
আপনি আমার মা-বোন-কন্যা, কেউবা জীবন সঙ্গিনী, বিশ্বাস করুন আপনি অসম্মানিত হলে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়!
আপনার কাছেই শুনতে চাই দ্বীনের বাণী, আপনাকেই বানাতে চাই হৃদয় রানী!!
প্লিজ হেল্প!!!!
উৎস