আট বছর আগে ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে গেল তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক, লিবিয়া, আফগান মানুষগুলো যেন আশার আলো দেখেছিল। বুশের মধ্যপ্রাচ্যে নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখেছিল তারা। মানুষ ভেবেছিল বিশ্বে এবার বুঝি শান্তি আসবে। আজ যখন ওবামার ক্ষমতার পালাবদল হচ্ছে তখন আট বছর আগে আশা দেখা লাখ লাখ মধ্যপ্রাচ্যের নাগরিক তার দেয়া গিফট - বোমাতে মারা গিয়েছে, আহত হয়েছে আর ভাগ্য যদি একান্ত ভালো থাকে তাহলে রিফিউজি কোন দেশে হিসেবে বেচে আছে। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা তো বন্ধ হয়ইনি বরং সেটা আল কায়দা থেকে আইসিস নামে আরও ভয়ংকরভাবে ট্রান্সফর্ম হয়েছে। ওবামা-হিলারির এই আট বছরে বিশ্ব আরও নতুন নতুন ধ্বংসলীলা দেখেছে। তারপরও ওবামা কিন্তু শান্তির জন্য নোবেল প্রাপ্ত .... আজব
.
আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ?? কিছু না করেই বিশ্ব মিডিয়ায় ভিলেন। ওবামা যদি তার কথার জন্য মানুষের মন জয় করে থাকে তাহলে ট্রাম্প ঠিক একই কারনে ভিলেন। সমস্যা হচ্ছে ওবামা প্রেসিডেন্ট হবার পরে মিসরে যেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বন্ধুত্বের ভাষণ দিয়ে আরব বসন্ত উপহার দিয়েছে, শেষ করে দিয়েছে সম্পূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য; ট্রাম্প হলে হয়তো এইসব ভুংভাং না করে সরাসরি বোম্বিং শুরু করতো। শুধু এই জন্য ট্রাম্প খারাপ। অনেকটা এরকম, খারাপ কাজ করো সমস্যা নাই, মুখে বলার দরকার কি !!!
.
এখন দেখার বিষয় সেই ভিলেন আজ কি ক্ষমতা পাচ্ছে... NSA, CIA, FBI, NASA, Biggest Military in the world, পেন্টাগন... সাত হাজারের বেশি পারমাণবিক বোমা... ভাবা যায় !!! সব কিছু চলবে এখন থেকে তার কথায়। সিনেট কংগ্রেসেরও আছে তার সমর্থন। ১৯২৮ সালের পর এতো ক্ষমতা আর কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পায়নি, এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টও না... আর কি লাগে ট্রাম্পের... এখন সে যা বলেছে তাই যদি করে তাহলে তো দুনিয়াই ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব ?? শুধু একটা তথ্য দেই, ওবামা-হিলারি শুধু গত বছর কমপক্ষে ২৬,১৭১ বোম্বিং করেছে, অর্থাৎ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৭২টি। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর এতো ভয়ংকর রুপ বিশ্ব আর কখনও দেখেনি।
.
ট্রাম্পের জন্য নিপাট ভদ্রলোক ওবামাকে ওভারটেক করা অত সহজ হবে না !!!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০